ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শহিদ আলিফের পরিবারের জন্য কোটি টাকার তহবিল
জান্তাপ্রধানকে গ্রেফতারে পরোয়ানার আবেদন, স্বাগত জানাল বাংলাদেশ
বিচারে সরকারের উদ্যোগ নেই
শিশু বলাৎকারের জন্য কখনো ক্ষমা চায়নি ইসকন
স্বাধীন ও নির্ভরযোগ্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন
ইসকনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
লগি-বৈঠা দিয়ে জামায়াত নেতাদের পিটিয়ে হত্যা: ১৮ বছর পর হাসিনার নামে মামলা
বেঞ্চে রাখা হচ্ছে না ১২ বিচারপতিকে
দলবাজ, দুর্নীতিবাজ বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে বিচার কাজ থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্র সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা শেষে বুধবার বিকালে বিক্ষোভস্থলে এসে এ তথ্য জানান সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। তবে ১২ বিচারপতির নাম তিনি ঘোষণা করেননি। তার এ ঘোষণার পর আন্দোলনকারীরা হাইকোর্ট এলাকা ছাড়েন। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা রোববার বিকাল পর্যন্ত দেখব।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা বলেন, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষ হচ্ছে। ২০ অক্টোবর (রোববার) ওইদিন থেকে নিয়মিত বেঞ্চে বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। নিয়ম অনুযায়ী এর আগেই
হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ গঠন করা হবে। সেইদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে যে, কোন ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চে রাখা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টা থেকে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে একই সময়ে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। আর ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারপতিদের অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি-লিগ্যাল উইং। সব মিলিয়ে দিনভর মিছিল মিটিংয়ে উত্তাল ছিল সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ। সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে দক্ষিণ গেট দিয়ে ঢুকে তারা হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন। সঙ্গে ছিলেন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।
আদালত প্রাঙ্গণে হাসনাত-সারজিসসহ অন্য শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার বক্তৃতায় বলেন, বিচারপতি অপসারণের সংশোধনী নিয়ে মামলাটি চলমান। ২০ তারিখ ওই মামলায় যদি সমাধান চলে আসে, তাহলে বিচারপতি অপসারণের দায়িত্ব হচ্ছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের। সেক্ষেত্রে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিচারপতিদের পদত্যাগ করতে হবে। অপসারণ করা হবে। এখন রোববার বিকাল পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। আমরা অবজার্ভ করব। তাদের অপসারণের জন্য কী রায় আসে। তারপর হচ্ছে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, বিচারালয়ে মঙ্গলবার খুনি হাসিনার পুনর্বাসনের দাবিতে মিছিল হয়েছে। তাদের বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের করার কিছু নেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিও ফুটেজ দেখে
তাদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানান হাসনাত আবদুল্লাহ। কর্মসূচিতে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের অপসারণের দাবির পাশাপাশি ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করে তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। আওয়ামী প্যানেলের আইনজীবীদের অপসারণ করতে হবে। না হলে আমরা হাইকোর্ট চত্বর ছাড়ব না। এই কর্মসূচি চলার মধ্যে বেশকিছু বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ছয় বিচারপতির সাক্ষাৎ : বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে কয়েকজন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন। যারা দেখা করেছেন, তারা হলেন বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ
হোসাইন দোলন। তবে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক বিচারপতি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। দুজন ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া দুজন বিচারপতি ছুটি নেওয়ার কথা বললেও সময়সীমা উল্লেখ করেননি। ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না : বুধবার বিকালে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সামনে এসে এ ঘোষণা দেন আজিজ আহমদ ভূঞা। বিচারপতি অপসারণে রিভিউ শুনানি ২০ অক্টোবর : বিচারপতিদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানি হবে ২০ অক্টোবর।
বুধবার সাংবদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। তিনি জানান, বিচারপতি পদত্যাগ বা অপসারণের একটা প্রক্রিয়া আছে। বর্তমানে দেশে এ সংক্রান্ত কোনো আইন বিদ্যমান নেই। বিগত সরকার সংসদের মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছিল। একটা সংশোধনী হয়েছিল। সুপ্রিমকোর্ট সেটি বাতিল করে দিয়েছেন। সরকার সেটা রিভিউ আকারে পেশ করেছে। রোববার সেটি আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগে শুনানি হবে। এক নম্বর আইটেমে রাখা হয়েছে সেটি। ১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে
সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে। মার্শাল প্রক্লেমেশনে করা পঞ্চম সংশোধনীতে এক্ষেত্রে ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ষোড়শ সংশোধনীতে সেটা বাতিল করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয় সংসদকে। বিলটি পাশের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৯ নভেম্বর এ সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুল শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত রায়টি দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। পরে একই বছরের ১ আগস্ট ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে আইনজীবীদের হাতাহাতি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে আইনজীবীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এক ভিডিওতে দেখা যায়, সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তবে সেখানে উপস্থিত অন্য ছাত্ররা সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন। কিন্তু কি কারণে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ গঠন করা হবে। সেইদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে যে, কোন ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চে রাখা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টা থেকে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ দাবিতে একই সময়ে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। আর ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারপতিদের অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি-লিগ্যাল উইং। সব মিলিয়ে দিনভর মিছিল মিটিংয়ে উত্তাল ছিল সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ। সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে দক্ষিণ গেট দিয়ে ঢুকে তারা হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেন। সঙ্গে ছিলেন আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।
আদালত প্রাঙ্গণে হাসনাত-সারজিসসহ অন্য শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়। আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার বক্তৃতায় বলেন, বিচারপতি অপসারণের সংশোধনী নিয়ে মামলাটি চলমান। ২০ তারিখ ওই মামলায় যদি সমাধান চলে আসে, তাহলে বিচারপতি অপসারণের দায়িত্ব হচ্ছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের। সেক্ষেত্রে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিচারপতিদের পদত্যাগ করতে হবে। অপসারণ করা হবে। এখন রোববার বিকাল পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। আমরা অবজার্ভ করব। তাদের অপসারণের জন্য কী রায় আসে। তারপর হচ্ছে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ। তিনি আরও বলেন, বিচারালয়ে মঙ্গলবার খুনি হাসিনার পুনর্বাসনের দাবিতে মিছিল হয়েছে। তাদের বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের করার কিছু নেই। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিও ফুটেজ দেখে
তাদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দাবি জানান হাসনাত আবদুল্লাহ। কর্মসূচিতে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ফ্যাসিস্ট বিচারপতিদের অপসারণের দাবির পাশাপাশি ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করে তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। আওয়ামী প্যানেলের আইনজীবীদের অপসারণ করতে হবে। না হলে আমরা হাইকোর্ট চত্বর ছাড়ব না। এই কর্মসূচি চলার মধ্যে বেশকিছু বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ছয় বিচারপতির সাক্ষাৎ : বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে কয়েকজন বিচারপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেন। যারা দেখা করেছেন, তারা হলেন বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ
হোসাইন দোলন। তবে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক বিচারপতি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। দুজন ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া দুজন বিচারপতি ছুটি নেওয়ার কথা বললেও সময়সীমা উল্লেখ করেননি। ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না : বুধবার বিকালে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সামনে এসে এ ঘোষণা দেন আজিজ আহমদ ভূঞা। বিচারপতি অপসারণে রিভিউ শুনানি ২০ অক্টোবর : বিচারপতিদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানি হবে ২০ অক্টোবর।
বুধবার সাংবদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। তিনি জানান, বিচারপতি পদত্যাগ বা অপসারণের একটা প্রক্রিয়া আছে। বর্তমানে দেশে এ সংক্রান্ত কোনো আইন বিদ্যমান নেই। বিগত সরকার সংসদের মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছিল। একটা সংশোধনী হয়েছিল। সুপ্রিমকোর্ট সেটি বাতিল করে দিয়েছেন। সরকার সেটা রিভিউ আকারে পেশ করেছে। রোববার সেটি আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগে শুনানি হবে। এক নম্বর আইটেমে রাখা হয়েছে সেটি। ১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে
সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে। মার্শাল প্রক্লেমেশনে করা পঞ্চম সংশোধনীতে এক্ষেত্রে ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ষোড়শ সংশোধনীতে সেটা বাতিল করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয় সংসদকে। বিলটি পাশের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ৯ নভেম্বর এ সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুল শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত রায়টি দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। পরে একই বছরের ১ আগস্ট ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে আইনজীবীদের হাতাহাতি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে আইনজীবীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এক ভিডিওতে দেখা যায়, সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। তবে সেখানে উপস্থিত অন্য ছাত্ররা সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন। কিন্তু কি কারণে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।