ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী হত্যা করেছে তাদের খুন সব মাফ সেটাই যদি হয় তাহলে আওয়ামী লীগের ক্ষমা চাওয়ার কী আছে? – সজীব ওয়াজেদ জয়
পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের ভিত্তিহীন কল্পকাহিনীর মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশপ্রণোদিত হয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জাতীয়তাবাদ না হলে কোন জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
ইউনুসের গ্রামীণ নেটওয়ার্কে আল-কায়েদা সংযোগ
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ: আইনজীবী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ
১৪,০০০ বর্গকিমি জুড়ে ‘নো-ফ্লাই জোন’! ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে! ‘অপারেশন সিন্দূর ২.০’ শুরু করতে প্রস্তুত ভারত
নোবেলের আড়ালে শ্রমিক শোষণ: জনসেবার নামে লুটপাট করে ব্যক্তিগত সাম্রাজ্য গড়ার অভিযোগ ইউনূসের বিরুদ্ধে
বিডিআর বিদ্রোহ: শেখ হাসিনার সদ্যগঠিত সরকারকে উৎখাতের এক গভীর ষড়যন্ত্র
টাইমিং ও মোটিভ: মাত্র ৫০ দিন বয়সী এবং বিপুল জনপ্রিয় একটি সরকারের জন্য এই বিদ্রোহ ছিল ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’র শামিল; এটি ছিল মূলত ১/১১-এর পরাজিত শক্তির শেষ কামড়।
গৃহযুদ্ধ প্রতিরোধ: তাৎক্ষণিক সামরিক অভিযান চালালে ঢাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতো এবং ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়া বিদ্রোহের ফলে দেশ এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত হতো।
প্রধানমন্ত্রীর ঝুঁকি: পিলখানা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছিল ‘ফায়ারিং জোন’-এর আওতায়; তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন।
স্বচ্ছ বিচার ও পুনর্গঠন: সরকার এফবিআই ও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে তদন্তে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং বিডিআরকে বিলুপ্ত করে বিজিবি গঠনের মাধ্যমে বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে এনেছে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্রাজেডি কেবল একটি বিদ্রোহ
বা হত্যাকাণ্ড ছিল না, বরং এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব এবং সদ্য বিকশিত গণতন্ত্রের ওপর এক ভয়াবহ আঘাত। দীর্ঘ দেড় দশক ধরে একটি বিশেষ মহল এই ঘটনার দায় আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপানোর চেষ্টা করলেও, প্রকৃত বিশ্লেষণ বলছে ভিন্ন কথা। এই বিদ্রোহ ছিল সদ্য ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার এবং সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার এক সুগভীর ষড়যন্ত্র। সাংবাদিক ও কলামিস্ট রুদ্র মুহম্মদ জাফর তার এক বিশ্লেষণে এই ঘটনাকে ‘সরকার উৎখাতের নীল নকশা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ষড়যন্ত্রের টাইমিং এবং রাজনৈতিক বাস্তবতা বিশ্লেষণে বলা হয়, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের বয়স তখন মাত্র ৫০ দিন। সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা
থাকা একটি সরকার কেন দেড় মাসের মাথায় এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেবে? রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সূত্র মতে, কোনো সরকার তার মেয়াদের শুরুতে অস্থিতিশীলতা চায় না। পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল সরকারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা। এটি ছিল মূলত ১/১১-এর পরাজিত অপশক্তি এবং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ, যাদের উদ্দেশ্য ছিল সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে নির্বাচিত সরকারকে বিপদে ফেলা। সামরিক অভিযান বনাম শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা বিদ্রোহ দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন তাৎক্ষণিক সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেননি—এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্লেষণে বলা হয়, পিলখানা কোনো উন্মুক্ত যুদ্ধক্ষেত্র ছিল না। এটি জনবসতিপূর্ণ এলাকার কেন্দ্রে অবস্থিত। তাৎক্ষণিক ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’-এ গেলে বিদ্রোহীরা পাল্টা আক্রমণ করত, যাতে
ধানমন্ডি ও আজিমপুর এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতো এবং হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ও জিম্মি সেনা সদস্যদের প্রাণহানি ঘটত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় এবং অসীম ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনার পথ বেছে নিয়ে রক্তপাত কমিয়ে এনেছিলেন। গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা ও চেইন অব কমান্ড বিডিআর বিদ্রোহ কেবল ঢাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না, তা দেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছিল। ঢাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিডিআরের যুদ্ধ শুরু হলে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ত, যা একটি পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে রূপ নিত। এর ফলে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে এই ‘চেইন রিঅ্যাকশন’ থামিয়ে দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ও স্বচ্ছ বিচার ষড়যন্ত্রকারীরা সবসময় নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে
রাখে। কিন্তু বিদ্রোহ চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাসভবনে চরম নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে অবস্থান করছিলেন। সরকার যদি জড়িত থাকত, তবে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে এমন ‘ফায়ারিং জোন’-এ রাখতেন না। এছাড়া, ঘটনার পরপরই সরকার এফবিআই, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এবং জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছিল, যা প্রমাণ করে সরকার সত্য উদঘাটনে কতটা আন্তরিক ছিল। পিলখানা ট্রাজেডি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। কিন্তু সেই চরম সংকটময় মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা, ধৈর্য এবং সাহসের পরিচয় দিয়েছেন, তা বাংলাদেশকে এক নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছে। যারা আজ সরকারকে দোষারোপ করছেন, তারা মূলত আবেগের বশবর্তী হয়ে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের আড়াল করতে চাইছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে
ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বা হত্যাকাণ্ড ছিল না, বরং এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব এবং সদ্য বিকশিত গণতন্ত্রের ওপর এক ভয়াবহ আঘাত। দীর্ঘ দেড় দশক ধরে একটি বিশেষ মহল এই ঘটনার দায় আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপানোর চেষ্টা করলেও, প্রকৃত বিশ্লেষণ বলছে ভিন্ন কথা। এই বিদ্রোহ ছিল সদ্য ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার এবং সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার এক সুগভীর ষড়যন্ত্র। সাংবাদিক ও কলামিস্ট রুদ্র মুহম্মদ জাফর তার এক বিশ্লেষণে এই ঘটনাকে ‘সরকার উৎখাতের নীল নকশা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ষড়যন্ত্রের টাইমিং এবং রাজনৈতিক বাস্তবতা বিশ্লেষণে বলা হয়, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের বয়স তখন মাত্র ৫০ দিন। সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা
থাকা একটি সরকার কেন দেড় মাসের মাথায় এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেবে? রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সূত্র মতে, কোনো সরকার তার মেয়াদের শুরুতে অস্থিতিশীলতা চায় না। পিলখানা হত্যাকাণ্ড ছিল সরকারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা। এটি ছিল মূলত ১/১১-এর পরাজিত অপশক্তি এবং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ, যাদের উদ্দেশ্য ছিল সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে নির্বাচিত সরকারকে বিপদে ফেলা। সামরিক অভিযান বনাম শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা বিদ্রোহ দমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন তাৎক্ষণিক সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেননি—এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্লেষণে বলা হয়, পিলখানা কোনো উন্মুক্ত যুদ্ধক্ষেত্র ছিল না। এটি জনবসতিপূর্ণ এলাকার কেন্দ্রে অবস্থিত। তাৎক্ষণিক ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’-এ গেলে বিদ্রোহীরা পাল্টা আক্রমণ করত, যাতে
ধানমন্ডি ও আজিমপুর এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতো এবং হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ও জিম্মি সেনা সদস্যদের প্রাণহানি ঘটত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় এবং অসীম ধৈর্যের সঙ্গে আলোচনার পথ বেছে নিয়ে রক্তপাত কমিয়ে এনেছিলেন। গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা ও চেইন অব কমান্ড বিডিআর বিদ্রোহ কেবল ঢাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না, তা দেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছিল। ঢাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিডিআরের যুদ্ধ শুরু হলে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ত, যা একটি পূর্ণাঙ্গ গৃহযুদ্ধে রূপ নিত। এর ফলে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে এই ‘চেইন রিঅ্যাকশন’ থামিয়ে দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ও স্বচ্ছ বিচার ষড়যন্ত্রকারীরা সবসময় নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে
রাখে। কিন্তু বিদ্রোহ চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাসভবনে চরম নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে অবস্থান করছিলেন। সরকার যদি জড়িত থাকত, তবে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে এমন ‘ফায়ারিং জোন’-এ রাখতেন না। এছাড়া, ঘটনার পরপরই সরকার এফবিআই, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এবং জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছিল, যা প্রমাণ করে সরকার সত্য উদঘাটনে কতটা আন্তরিক ছিল। পিলখানা ট্রাজেডি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। কিন্তু সেই চরম সংকটময় মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা, ধৈর্য এবং সাহসের পরিচয় দিয়েছেন, তা বাংলাদেশকে এক নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছে। যারা আজ সরকারকে দোষারোপ করছেন, তারা মূলত আবেগের বশবর্তী হয়ে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের আড়াল করতে চাইছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে
ঘুরে দাঁড়িয়েছে।



