
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

এস আলম পরিবারের আরও ৮ হাজার কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

বাধ্যতামূলক অবসরে এবার ৪ ডিআইজি

‘আমার লোকজন খাজনা ওঠাবে, বাধা দিলে ভয়াবহ পরিণতি’

ডেভিল হান্টেও থামেনি ডাকাতি চুরি ছিনতাই

অভিভাবকহীন নগরীতে পদে পদে ভোগান্তি

বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি: যে কারণে দেরিতে মামলা

আসামি গ্রেফতারের ক্ষমতা পাচ্ছেন প্রসিকিউটররা
পিডব্লিউডির ডিপ্লোমা নেতাদের ‘কৌশল’

পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি। ক্ষমতার সাধ নিতে সমিতির নামের আগে বঙ্গবন্ধু যুক্ত করে বঙ্গবন্ধু পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ করা হয়। এরপর সমিতির নেতারা মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের গা ঘেঁষে দখলদারিত্ব, বদলি বাণিজ্য ও অনিয়ম-দুর্নীতির শীর্ষে ওঠেন। সিন্ডিকেটের পাল্লা ভারী করতে পরিচিত সদস্যদের ঢাকায় পোস্টিং করা হয়। সংগঠনের নাম দুটি হলেও পরিচালিত করেন একই ব্যক্তিরা। এই সমিতি ও পরিষদের নেতারা দীর্ঘ ১৫ থেকে ১৮ বছর ঢাকায়; কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সংগঠনের নেতারা কেউ কেউ ভোল পাল্টাচ্ছেন। আবার কেউ গা ঢাকা দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য এবং শেখ রাসেল ও শিশু-কিশোর পরিষদের তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল
ইসলাম বলেন, স্বার্থের জন্য বঙ্গবন্ধুর পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ করছি। অন্যপক্ষকে চাপে রাখতে বঙ্গবন্ধুর নাম দিয়ে সংগঠনটি করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি মোহাম্মাদ রায়হানের দাবি, তারা কখনো আওয়ামী লীগ করতেন না। দলের নেতাদের চাপে ও গা বাঁচাতে তাদের সঙ্গে মিশে মিটিং, মিছিল ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সংগঠনে যুক্ত হয়েছেন। মূলত সংগঠনের প্রতিপক্ষ নেতাদের তোপের মুখে রাখতে আওয়ামী লীগ বনে গেছেন বলে দাবি করেন সমিতির এই নেতা। অভিযোগ আছে, বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির বেশিরভাগ নেতাই বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ক্ষমতার প্রভাব আর লেনদেনের বিনিময়ে ইচ্ছেমতো বদলি ও পদায়ন করতেন। মতের বিরোধিতা করলেই গণপূর্ত অধিদপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা
কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন। এমনকি প্রকৌশলী সমিতির নেতাদের কথা মতো কাজ না হলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া, অফিস ও গাড়ি ঘেরাও করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন নেতারা। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম বা কাজ না করে যারা সরকারের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তাদেরও রক্ষা করছেন সমিতির নেতারা। এমনকি তাদের অনিয়ম তদন্তে কমিটি করা হলেও রিপোর্ট প্রকাশ করতে বাধা দেওয়া হতো বা নিজেদের আশীর্বাদপুষ্ট লোক দিয়ে তদন্ত করানো হতো। বিভিন্ন প্রকল্পের দায়িত্বে থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি করার কারণে সাময়িক অব্যাহতি, কারণ দর্শানোর নোটিশ, বদলিও করা হয়। কিন্তু বিগত সরকার পতনের পর অনেক নেতাই গা ঢাকা দেন। এমনকি প্রায় এক মাস সমিতির অফিসে তালা
ঝুলানো ছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের রাজনৈতিক সংগঠনে যুক্ত হওয়ার বিধান না থাকলেও বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির বেশিরভাগ নেতা বঙ্গবন্ধু পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের হয়ে বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক সংগঠনের মিটিং মিছিল ও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কোনো কোনো নেতা শেখ রাসেল শিশু-কিশোরসহ এমন একাধিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিটি এবং বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টারও করে দেন নেতারা। তাদের এসব অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য তুলে গণপূর্ত অধিদপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সমিতির কমিটির কাগজ ঘেঁটে দেখা গেছে, বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি মোহাম্মাদ রায়হান বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য। এ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান এবং
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মিহির কুমার রায়ের মতো পাঁচ থেকে ছয়জন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর পিডব্লউডির ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের কমিটিতে যারা: উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল খালেক, হেমায়েত উদ্দিন ফকির, রায়হান মিয়া, মিহির কুমার রায়, আবু তাহের মো. খায়রুল বাসার, নুরুল ইসলাম তালুকদার, মিজানুর রহমান। উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান আকন্দ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইফুল ইসলাম সুজন, শওকত আলী, আসাদুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম, এসএম আবু সায়েম, মহিউদ্দিন মোল্লা, রাসেল মাহমুদ, মো. মনিরুজ্জামান, বোরহান উদ্দিন, মাহবুব উল আলম, রফিকুজ্জামান, আতাউর রহমান, এবিএম সায়েদুল ইসলাম, মুরাদ পারভেজ, মাসুদ রানা, গাপফার হোসেন, আল আমিন। সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক, মো. ইউনুছ, সেলিম হোসেন, আ.
রউফ সরকার। সমিতির প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে যারা ঢাকায়: দীর্ঘ ২০ বছর ঢাকায় সরকারি প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছেন বেগম মুন্নি পারভীন, ১৮ বছর ধরে মিজানুর রহমান, নুরুল ইসলাম তালুকদার। একইভাবে ১৪ থেকে ১৬ বছরে ক্ষমতার প্রভাবে ঢাকায় পোস্টিং নিয়েছেন আব্দুল খালেক, হেমায়েত উদ্দিন ফকির, এনামুল হক, মিজানুর রহমান, আব্দুল আল মামুন, মো. আসাদুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম, এস এম আবু সায়েম, মো. মনিরুজ্জামান, বোরহান উদ্দিন, বি এম সায়েদুল ও আল আমিন। ১০ থেকে ১২ বছর ঢাকায় রয়েছেন মোহাম্মদ গাপফার হোসেন, মাসুদ রানা, মুরাদ পারভেজ, রফিকুজ্জামান, মাহবুব উল আলম, মো. সেলিম, মো. ইউনুস, মো. রায়হান ও সাইফুল ইসলাম সুজন। এ ছাড়া সমিতির নেতারা সচিবালয়, সংসদ, রাষ্ট্রপতির
কার্যালয়, হাইকোর্ট, তেজগাঁওশিল্প অঞ্চলসহ ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে পোস্টিংয়ে আছেন। জানা গেছে, বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পিডব্লউডির ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের বেশিরভাগ নেতাই বিভিন্নভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। বিশেষ করে যারা সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তারাই রাজধানীর কেপিই জায়গায় আছেন। এসব নেতাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং এমপি-মন্ত্রীর সঙ্গে সখ্য করে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। সমিতির এক নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা সমিতির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং আওয়ামী লীগ সংগঠন বনে অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন তারাই এখন ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি সাজতে শুরু করছে। সমিতি ও পরিষদের নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপি ঘেঁষা নেতা বা গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের ম্যানেজ করে চলছেন। এমনকি ভোল পাল্টে বিএনপির বড় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নানা ধরনা দিচ্ছেন। সমিতির নেতা ও তাদের সিন্ডিকেট চক্রের সদসদ্যরা সচিবালয়, সংসদ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, হাইকোর্টসহ ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন। বদলি করার পরও বিভিন্ন কায়দায় তা বাতিল করে আবার ঢাকায় আসেন তারা। বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি মোহাম্মাদ রায়হান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সমিতির সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অধিকার নিশ্চিত করাই সংগঠনের কাজ। তবে কারও কাছে থেকে আর্থিক সুবিধা নিইনি। কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করিনি। সরকারি চাকরিজীবী হয়ে অন্য রাজনৈতিক সংগঠনের যুক্ত কি না—এর উত্তরে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্বার্থের জন্য বঙ্গবন্ধুর পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ করছি। অন্য পক্ষকে চাপে রাখতে বঙ্গবন্ধুর নাম দিয়ে সংগঠনটি করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর আপনি একই অফিসে আছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাজনীতি করলে রাজধানীতে থাকতে হয়। বহু নির্বাহী প্রকৌশলীও ১৫ বছর, ১৭ বছর ধরে একই জায়গায় আছেন। ভালো কিছু লেখেন, না হলে আপনাকে ছাড়ব না বলেও হুমকি দেন এ কর্মকর্তা। বঙ্গবন্ধু পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সংগঠন করছি সমিতির সদস্য ও পিডব্লিউডর ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অধিকার নিশ্চিত করতে।
ইসলাম বলেন, স্বার্থের জন্য বঙ্গবন্ধুর পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ করছি। অন্যপক্ষকে চাপে রাখতে বঙ্গবন্ধুর নাম দিয়ে সংগঠনটি করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি মোহাম্মাদ রায়হানের দাবি, তারা কখনো আওয়ামী লীগ করতেন না। দলের নেতাদের চাপে ও গা বাঁচাতে তাদের সঙ্গে মিশে মিটিং, মিছিল ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সংগঠনে যুক্ত হয়েছেন। মূলত সংগঠনের প্রতিপক্ষ নেতাদের তোপের মুখে রাখতে আওয়ামী লীগ বনে গেছেন বলে দাবি করেন সমিতির এই নেতা। অভিযোগ আছে, বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির বেশিরভাগ নেতাই বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ক্ষমতার প্রভাব আর লেনদেনের বিনিময়ে ইচ্ছেমতো বদলি ও পদায়ন করতেন। মতের বিরোধিতা করলেই গণপূর্ত অধিদপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা
কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করতেন। এমনকি প্রকৌশলী সমিতির নেতাদের কথা মতো কাজ না হলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়া, অফিস ও গাড়ি ঘেরাও করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন নেতারা। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম বা কাজ না করে যারা সরকারের টাকা আত্মসাৎ করেছেন, তাদেরও রক্ষা করছেন সমিতির নেতারা। এমনকি তাদের অনিয়ম তদন্তে কমিটি করা হলেও রিপোর্ট প্রকাশ করতে বাধা দেওয়া হতো বা নিজেদের আশীর্বাদপুষ্ট লোক দিয়ে তদন্ত করানো হতো। বিভিন্ন প্রকল্পের দায়িত্বে থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি করার কারণে সাময়িক অব্যাহতি, কারণ দর্শানোর নোটিশ, বদলিও করা হয়। কিন্তু বিগত সরকার পতনের পর অনেক নেতাই গা ঢাকা দেন। এমনকি প্রায় এক মাস সমিতির অফিসে তালা
ঝুলানো ছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের রাজনৈতিক সংগঠনে যুক্ত হওয়ার বিধান না থাকলেও বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির বেশিরভাগ নেতা বঙ্গবন্ধু পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের হয়ে বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক সংগঠনের মিটিং মিছিল ও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কোনো কোনো নেতা শেখ রাসেল শিশু-কিশোরসহ এমন একাধিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার জন্য কমিটি এবং বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টারও করে দেন নেতারা। তাদের এসব অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য তুলে গণপূর্ত অধিদপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সমিতির কমিটির কাগজ ঘেঁটে দেখা গেছে, বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি মোহাম্মাদ রায়হান বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সদস্য। এ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান এবং
সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মিহির কুমার রায়ের মতো পাঁচ থেকে ছয়জন সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর পিডব্লউডির ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের কমিটিতে যারা: উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল খালেক, হেমায়েত উদ্দিন ফকির, রায়হান মিয়া, মিহির কুমার রায়, আবু তাহের মো. খায়রুল বাসার, নুরুল ইসলাম তালুকদার, মিজানুর রহমান। উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান আকন্দ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইফুল ইসলাম সুজন, শওকত আলী, আসাদুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম, এসএম আবু সায়েম, মহিউদ্দিন মোল্লা, রাসেল মাহমুদ, মো. মনিরুজ্জামান, বোরহান উদ্দিন, মাহবুব উল আলম, রফিকুজ্জামান, আতাউর রহমান, এবিএম সায়েদুল ইসলাম, মুরাদ পারভেজ, মাসুদ রানা, গাপফার হোসেন, আল আমিন। সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক, মো. ইউনুছ, সেলিম হোসেন, আ.
রউফ সরকার। সমিতির প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে যারা ঢাকায়: দীর্ঘ ২০ বছর ঢাকায় সরকারি প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করছেন বেগম মুন্নি পারভীন, ১৮ বছর ধরে মিজানুর রহমান, নুরুল ইসলাম তালুকদার। একইভাবে ১৪ থেকে ১৬ বছরে ক্ষমতার প্রভাবে ঢাকায় পোস্টিং নিয়েছেন আব্দুল খালেক, হেমায়েত উদ্দিন ফকির, এনামুল হক, মিজানুর রহমান, আব্দুল আল মামুন, মো. আসাদুজ্জামান, আমিনুল ইসলাম, এস এম আবু সায়েম, মো. মনিরুজ্জামান, বোরহান উদ্দিন, বি এম সায়েদুল ও আল আমিন। ১০ থেকে ১২ বছর ঢাকায় রয়েছেন মোহাম্মদ গাপফার হোসেন, মাসুদ রানা, মুরাদ পারভেজ, রফিকুজ্জামান, মাহবুব উল আলম, মো. সেলিম, মো. ইউনুস, মো. রায়হান ও সাইফুল ইসলাম সুজন। এ ছাড়া সমিতির নেতারা সচিবালয়, সংসদ, রাষ্ট্রপতির
কার্যালয়, হাইকোর্ট, তেজগাঁওশিল্প অঞ্চলসহ ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে পোস্টিংয়ে আছেন। জানা গেছে, বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পিডব্লউডির ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের বেশিরভাগ নেতাই বিভিন্নভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। বিশেষ করে যারা সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তারাই রাজধানীর কেপিই জায়গায় আছেন। এসব নেতাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং এমপি-মন্ত্রীর সঙ্গে সখ্য করে নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। সমিতির এক নেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা সমিতির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং আওয়ামী লীগ সংগঠন বনে অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন তারাই এখন ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি সাজতে শুরু করছে। সমিতি ও পরিষদের নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপি ঘেঁষা নেতা বা গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের ম্যানেজ করে চলছেন। এমনকি ভোল পাল্টে বিএনপির বড় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে নানা ধরনা দিচ্ছেন। সমিতির নেতা ও তাদের সিন্ডিকেট চক্রের সদসদ্যরা সচিবালয়, সংসদ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, হাইকোর্টসহ ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন। বদলি করার পরও বিভিন্ন কায়দায় তা বাতিল করে আবার ঢাকায় আসেন তারা। বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি মোহাম্মাদ রায়হান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সমিতির সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অধিকার নিশ্চিত করাই সংগঠনের কাজ। তবে কারও কাছে থেকে আর্থিক সুবিধা নিইনি। কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করিনি। সরকারি চাকরিজীবী হয়ে অন্য রাজনৈতিক সংগঠনের যুক্ত কি না—এর উত্তরে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, স্বার্থের জন্য বঙ্গবন্ধুর পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ করছি। অন্য পক্ষকে চাপে রাখতে বঙ্গবন্ধুর নাম দিয়ে সংগঠনটি করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর আপনি একই অফিসে আছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাজনীতি করলে রাজধানীতে থাকতে হয়। বহু নির্বাহী প্রকৌশলীও ১৫ বছর, ১৭ বছর ধরে একই জায়গায় আছেন। ভালো কিছু লেখেন, না হলে আপনাকে ছাড়ব না বলেও হুমকি দেন এ কর্মকর্তা। বঙ্গবন্ধু পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সংগঠন করছি সমিতির সদস্য ও পিডব্লিউডর ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অধিকার নিশ্চিত করতে।