ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
৪ দিনের সফরে ঢাকায় এলো মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল
নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানার সমালোচনায় বাইডেন
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা: গাজায় ন্যায়বিচারের আশার ঝলক
কলম্বিয়ায় গেরিলা হামলায় ৫ সেনা নিহত
আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা: ইসরাইল-আমেরিকা দূরত্ব কি বাড়বে?
কুয়েতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন
সিটির পাবলিক স্কুলের দেড় লাখ ছাত্রের স্থায়ী আবাস নেই
নানা নাটকীয়তায় মোড়ানো ডোনাল্ড ট্রাম্পের জীবন
নিউ ইয়র্কের কুইন্স-এ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, দিনটা ১৯৪৬ সালের ১৪ই জুন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তার দুই ভাই ফ্রেড জুনিয়র, রবার্ট এবং বোন মারিয়ান ও এলিজাবেথ। এদের মধ্যে একমাত্র এলিজাবেথই জীবিত।
বাবা ফ্রেড ট্রাম্প একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। নিউ ইয়র্কের আউটার বোরোতে একটা নির্মাণ সংস্থার মালিক ছিলেন তিনি।
এই ব্যবসায় ১৯৬৮ সালে যোগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে অবশ্য ম্যানহাটনে নিজেই একটা নতুন উদ্যোগ শুরু করেন।
ট্রাম্প ব্র্যান্ডের আওতায় কনডমিনিয়াম (একাধিক ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ফ্ল্যাটের ইউনিট নিয়ে তৈরি বড় আবাসন), গল্ফ কোর্স, ক্যাসিনো আর হোটেল রয়েছে। তার ব্যবসা আটলান্টিক সিটি, শিকাগো, লাস ভেগাস থেকে শুরু করে ভারত, ফিলিপাইনস্ ও তুরস্কেও ছড়িয়ে পড়ে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের
সাবলীল শৈলী তাকে নিউ ইয়র্কের ব্যবসায়ী জগতে নিজের একটা জায়গা তৈরি করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধীরে ধীরে তিনি বিনোদন জগতের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। রিয়েলিটি টিভি শো, ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’ তাকে ‘স্টারডম’ পেতে সাহায্য করে। তিনবার বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ট্রাম্প। তিনি পাঁচ সন্তানের পিতা। ইভানা জেলনিকোভাকে ১৯৭৭ সালে প্রথমবার বিয়ে করেছিলেন তিনি। ট্রাম্প তৃতীয়বার বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন মেলানিয়া নাউসের (এখন মেলানিয়া ট্রাম্প) সঙ্গে। সেটা ছিল ২০০৫ সাল। বছর সাতেক আগে প্রথম তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল মেলানিয়া নাউসের সঙ্গে। সেই সময় ট্রাম্পের বয়স ছিল ৫২ এবং মেলানিয়া নাউসের বয়স ছিল ২৮ বছর। তার রাজনৈতিক সফর শুরু হয় ২০১৫ সালে। ‘ট্রাম্প টাওয়ারে’ আয়োজিত
এক সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে ঘোষণা দেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চাইবেন তিনি। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ ছিল তার নির্বাচনি প্রচারের মূল স্লোগান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারাভিযানের সফর নানা বিতর্কে মোড়ানো ছিল। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে ভোটে পরাজিত করেন তিনি। তিনি ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের মেয়াদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের জন্য একটা ‘অনিশ্চিত’ সময় ছিল। প্রায়শই অন্য দেশের নেতাদের সঙ্গে তাকে প্রকাশ্যে বিবাদে জড়াতে দেখা গিয়েছে। তিনি প্রধান জলবায়ু ও বাণিজ্য চুক্তি থেকে সরে আসেন
এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধও শুরু করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদের শেষের দিকটা বেশ বিতর্কে ঘেরা ছিল। মূলত যেভাবে তিনি কোভিড মহামারির সময়কালকে সামলেছেন, তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছিল। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ভোটের প্রচার থেকে তাকে বিরতিও নিতে হয়। জো বাইডেনের কাছে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হেরে যান ট্রাম্প। যদিও এই নির্বাচনি ফলাফল মানতে অস্বীকার করেন তিনি। তার অভিযোগ, ভোটে কারচুপি করা হয়েছে তাই নির্বাচনের এই ফলাফল তিনি মানবেন না। এরপর ২০২১ সালের ছয়ই জানুয়ারি ওয়াশিংটনে তার সমর্থকদের মিছিল করে জমায়েতের আহ্বান জানান। কিন্তু এই জমায়েত দাঙ্গায় রূপ নেয়। এই ঘটনায় তার ভূমিকাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে
দু’টো ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এরপর একসময় তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ বলেই অনেকে মনে করেছিলেন। তবে চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তিনি। রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে অনুমোদনও পেয়ে যান। প্রসঙ্গত, তিনি তার নির্বাচনি প্রচারের কর্মসূচি শুরু করেন তার বিরুদ্ধে থাকা ৯১টি অপরাধমূলক অভিযোগ নিয়ে। এ বছরের মে মাসে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে প্রাপ্তবয়স্ক-চলচ্চিত্রের তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে (মুখ বন্ধ রাখতে) অর্থ দেওয়া সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলার ৩৪টা অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প। গ্রীষ্মে নির্বাচনি প্রচারের পথে ফিরে আসার পর, পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে আয়োজিত এক সমাবেশে ২০ বছর বয়সি একজন বন্দুকধারী তাকে হত্যার চেষ্টা করে। হামলার দিন কয়েক পর রিপাবলিকান ন্যাশনাল
কনভেনশনে দলের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। এবার নির্বাচিত হওয়ায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হবেন। মেয়াদের শেষে তার বয়স হবে ৮২ বছর।
সাবলীল শৈলী তাকে নিউ ইয়র্কের ব্যবসায়ী জগতে নিজের একটা জায়গা তৈরি করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধীরে ধীরে তিনি বিনোদন জগতের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। রিয়েলিটি টিভি শো, ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’ তাকে ‘স্টারডম’ পেতে সাহায্য করে। তিনবার বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ট্রাম্প। তিনি পাঁচ সন্তানের পিতা। ইভানা জেলনিকোভাকে ১৯৭৭ সালে প্রথমবার বিয়ে করেছিলেন তিনি। ট্রাম্প তৃতীয়বার বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন মেলানিয়া নাউসের (এখন মেলানিয়া ট্রাম্প) সঙ্গে। সেটা ছিল ২০০৫ সাল। বছর সাতেক আগে প্রথম তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল মেলানিয়া নাউসের সঙ্গে। সেই সময় ট্রাম্পের বয়স ছিল ৫২ এবং মেলানিয়া নাউসের বয়স ছিল ২৮ বছর। তার রাজনৈতিক সফর শুরু হয় ২০১৫ সালে। ‘ট্রাম্প টাওয়ারে’ আয়োজিত
এক সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে ঘোষণা দেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চাইবেন তিনি। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ ছিল তার নির্বাচনি প্রচারের মূল স্লোগান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারাভিযানের সফর নানা বিতর্কে মোড়ানো ছিল। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে ভোটে পরাজিত করেন তিনি। তিনি ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের মেয়াদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের জন্য একটা ‘অনিশ্চিত’ সময় ছিল। প্রায়শই অন্য দেশের নেতাদের সঙ্গে তাকে প্রকাশ্যে বিবাদে জড়াতে দেখা গিয়েছে। তিনি প্রধান জলবায়ু ও বাণিজ্য চুক্তি থেকে সরে আসেন
এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধও শুরু করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার মেয়াদের শেষের দিকটা বেশ বিতর্কে ঘেরা ছিল। মূলত যেভাবে তিনি কোভিড মহামারির সময়কালকে সামলেছেন, তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছিল। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ভোটের প্রচার থেকে তাকে বিরতিও নিতে হয়। জো বাইডেনের কাছে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হেরে যান ট্রাম্প। যদিও এই নির্বাচনি ফলাফল মানতে অস্বীকার করেন তিনি। তার অভিযোগ, ভোটে কারচুপি করা হয়েছে তাই নির্বাচনের এই ফলাফল তিনি মানবেন না। এরপর ২০২১ সালের ছয়ই জানুয়ারি ওয়াশিংটনে তার সমর্থকদের মিছিল করে জমায়েতের আহ্বান জানান। কিন্তু এই জমায়েত দাঙ্গায় রূপ নেয়। এই ঘটনায় তার ভূমিকাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে
দু’টো ফৌজদারি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এরপর একসময় তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ বলেই অনেকে মনে করেছিলেন। তবে চলতি বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তিনি। রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে অনুমোদনও পেয়ে যান। প্রসঙ্গত, তিনি তার নির্বাচনি প্রচারের কর্মসূচি শুরু করেন তার বিরুদ্ধে থাকা ৯১টি অপরাধমূলক অভিযোগ নিয়ে। এ বছরের মে মাসে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে প্রাপ্তবয়স্ক-চলচ্চিত্রের তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে (মুখ বন্ধ রাখতে) অর্থ দেওয়া সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলার ৩৪টা অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প। গ্রীষ্মে নির্বাচনি প্রচারের পথে ফিরে আসার পর, পেনসিলভেনিয়ার বাটলারে আয়োজিত এক সমাবেশে ২০ বছর বয়সি একজন বন্দুকধারী তাকে হত্যার চেষ্টা করে। হামলার দিন কয়েক পর রিপাবলিকান ন্যাশনাল
কনভেনশনে দলের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। এবার নির্বাচিত হওয়ায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হবেন। মেয়াদের শেষে তার বয়স হবে ৮২ বছর।