ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মেট্রোরেল বন্ধের প্রভাবে রাজধানী জুড়ে তীব্র যানজট
কী ঘটছে সেন্ট মার্টিন্সে? পরিবেশ রক্ষার নামে ধ্বংসলীলা আর বিশেষ উদ্দেশ্যে জনমানবহীন করাই লক্ষ্য?
কী ঘটছে সেন্ট মার্টিন্সে? পরিবেশ রক্ষার নামে ধ্বংসলীলা আর বিশেষ উদ্দেশ্যে জনমানবহীন করাই লক্ষ্য?
ইউনূস সরকার ও তার মব বাহিনীর দমন-পীড়নে দেড়-দুই কোটি আওয়ামী লীগ কর্মী আজ ঘরছাড়া
মানবাধিকার সংকটে বাংলাদেশ: জাতিসংঘের নীরবতা কি ন্যায়বিচারের সহায়?
প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা
উচ্চমূল্যের চাপে মধ্যবিত্ত হয়ে যাচ্ছে নিম্নবিত্ত
নবজাগরণে জ্বলে উঠুক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়— এটি বাঙালির আত্মপরিচয়ের প্রতীক, মুক্তির পথপ্রদর্শক এবং রাষ্ট্রগঠনের মূলভিত্তি। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ— প্রতিটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে দলটি নেতৃত্ব দিয়েছে অবিচলভাবে। অসংখ্য বাধা ও ষড়যন্ত্র পেরিয়ে আওয়ামী লীগ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে।
২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পর থেকে দলটি এক অগ্নিগর্ভ সময়ের মুখোমুখি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করা জনসাধারণের রক্ত ঝরছে, লক্ষাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী কারান্তরীণ, পরিবারগুলো নির্যাতিত এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে করা হয়েছে নিষিদ্ধ। এ যেন জুলুম-অত্যাচারের এক কালো অধ্যায়! অপরদিকে বাংলাদেশ কার্যত অর্থনীতি, শিক্ষা, উন্নয়ন সবকিছুতে পিছিয়ে পড়ে অকার্যকর দেশে পরিনত হতে
চলেছে। এই মহা সঙ্কটেও আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা, সমর্থক ও সাধারণ জনগণ হাল ছাড়েননি। তারা গ্রামে–গঞ্জে, শহরে–বন্দরে প্রতিরোধের মশাল জালিয়ে রেখেছেন – তারাই আওয়ামী লীগের আসল প্রাণশক্তি, দলের অকৃত্রিম স্পন্দন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দুর্ভেদ্য প্রাচীর। তবে আজকের বাস্তবতায় দলের নেতৃত্ব কিছুটা বিচ্ছিন্ন। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কার্যকর সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে, ফলে অনেক কর্মী দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন না। এই অবস্থার পেছনে দীর্ঘদিন ধরে দলের ভেতরে আদর্শিক শৃঙ্খলার দুর্বলতা কাজ করেছে। নীতি ও আদর্শের জায়গায় কখনও কখনও ব্যক্তিস্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছে, ফলে সত্যিকারের কর্মীরা পেছনে পড়ে গেছেন। এখন সময় এসেছে আত্মসমালোচনার। দরকার সততা, ত্যাগ ও আদর্শের আলোয় নেতৃত্বকে নতুনভাবে গড়ে তোলা। আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনতে হবে সেই নীতিনিষ্ঠ
রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে, যা একসময় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— নবীন ও প্রবীণ নেতৃত্বের ভারসাম্য। দলের প্রবীণ নেতারা ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ হলেও আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা, নতুন প্রজন্মের সাথে যোগাযোগ, প্রযুক্তিনির্ভর রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে পিছিয়ে আছেন। অন্যদিকে নবীন প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিশ্বমঞ্চে দক্ষ হলেও তাদের হাতে নেতৃত্ব নেই। তাই সংগঠনের নেতৃত্বে তাদের অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। তাই এখন প্রয়োজন একটি সমন্বিত প্রজন্মান্তর ভারসাম্য। প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে অবমূল্যায়ন না করে তাঁদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা যেতে পারে, যারা ঐতিহ্য ও নীতির দিকনির্দেশনা দেবেন। অন্যদিকে নীতিনির্ধারণ, সাংগঠনিক পুনর্গঠন ও জনগণের সঙ্গে সংযোগের দায়িত্ব পালন করবে নবীন ও মধ্যম প্রজন্ম। আওয়ামী লীগকে আবারও তার হারানো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও
চিন্তাশক্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। একসময় এই দলই ছিল দেশের সেরা চিন্তাবিদ, লেখক ও শিক্ষকদের কেন্দ্র। আজ সেই মেধা ও চিন্তার ধারাকে পুনর্জাগ্রত করার সময় এসেছে। দলের নেতাকর্মীদের সাহস ও ত্যাগ এই অন্ধকার সময়েও আশার আলো জ্বালায়। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো— ঐক্য, সংগঠন ও সুশৃঙ্খল নেতৃত্বের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নবজাগরণ ঘটানো। এই কঠিন সময়ই নেতৃত্বের প্রকৃত পরীক্ষা। জনগণ যখন জেগে উঠছে, তখন আওয়ামী লীগেরও উচিত তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে, নতুন প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়া— ন্যায়, আদর্শ ও মানবতার আলোকিত পথে।
চলেছে। এই মহা সঙ্কটেও আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা, সমর্থক ও সাধারণ জনগণ হাল ছাড়েননি। তারা গ্রামে–গঞ্জে, শহরে–বন্দরে প্রতিরোধের মশাল জালিয়ে রেখেছেন – তারাই আওয়ামী লীগের আসল প্রাণশক্তি, দলের অকৃত্রিম স্পন্দন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দুর্ভেদ্য প্রাচীর। তবে আজকের বাস্তবতায় দলের নেতৃত্ব কিছুটা বিচ্ছিন্ন। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কার্যকর সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে, ফলে অনেক কর্মী দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন না। এই অবস্থার পেছনে দীর্ঘদিন ধরে দলের ভেতরে আদর্শিক শৃঙ্খলার দুর্বলতা কাজ করেছে। নীতি ও আদর্শের জায়গায় কখনও কখনও ব্যক্তিস্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছে, ফলে সত্যিকারের কর্মীরা পেছনে পড়ে গেছেন। এখন সময় এসেছে আত্মসমালোচনার। দরকার সততা, ত্যাগ ও আদর্শের আলোয় নেতৃত্বকে নতুনভাবে গড়ে তোলা। আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনতে হবে সেই নীতিনিষ্ঠ
রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে, যা একসময় জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— নবীন ও প্রবীণ নেতৃত্বের ভারসাম্য। দলের প্রবীণ নেতারা ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ হলেও আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা, নতুন প্রজন্মের সাথে যোগাযোগ, প্রযুক্তিনির্ভর রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে পিছিয়ে আছেন। অন্যদিকে নবীন প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিশ্বমঞ্চে দক্ষ হলেও তাদের হাতে নেতৃত্ব নেই। তাই সংগঠনের নেতৃত্বে তাদের অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। তাই এখন প্রয়োজন একটি সমন্বিত প্রজন্মান্তর ভারসাম্য। প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে অবমূল্যায়ন না করে তাঁদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা যেতে পারে, যারা ঐতিহ্য ও নীতির দিকনির্দেশনা দেবেন। অন্যদিকে নীতিনির্ধারণ, সাংগঠনিক পুনর্গঠন ও জনগণের সঙ্গে সংযোগের দায়িত্ব পালন করবে নবীন ও মধ্যম প্রজন্ম। আওয়ামী লীগকে আবারও তার হারানো রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও
চিন্তাশক্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। একসময় এই দলই ছিল দেশের সেরা চিন্তাবিদ, লেখক ও শিক্ষকদের কেন্দ্র। আজ সেই মেধা ও চিন্তার ধারাকে পুনর্জাগ্রত করার সময় এসেছে। দলের নেতাকর্মীদের সাহস ও ত্যাগ এই অন্ধকার সময়েও আশার আলো জ্বালায়। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো— ঐক্য, সংগঠন ও সুশৃঙ্খল নেতৃত্বের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নবজাগরণ ঘটানো। এই কঠিন সময়ই নেতৃত্বের প্রকৃত পরীক্ষা। জনগণ যখন জেগে উঠছে, তখন আওয়ামী লীগেরও উচিত তাদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে, নতুন প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়া— ন্যায়, আদর্শ ও মানবতার আলোকিত পথে।



