দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার : টিআইবি – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
     ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ

আরও খবর

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার : টিআইবি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৬:৫০ 15 ভিউ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই সরকারের সময়ে আরও কঠোরভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সে ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থ হয়েছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।’ টিআইবি বর্তমান সরকারের পুরো মেয়াদের ওপর একটি বিশ্লেষণ তৈরির কাজ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন। রোববার (৭ ডিসেম্বর) টিআইবি কার্যালয়ে ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের ইশতেহার প্রণয়ণে টিআইবির সুপারিশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘সুশাসিত, বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের অঙ্গীকার : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের ইশতেহার প্রণয়নে টিআইবির সুপারিশ’ শিরোনামে এই সংবাদ সম্মেলন

হয়। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশে দুর্নীতি বেড়েছে অথবা কমেছে— সে তথ্য টিআইবির কাছে এখন নেই। তুলনামূলক তথ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে দুর্নীতি অব্যাহত আছে। আর তার দৃষ্টান্ত কিন্তু আমরা ৫ আগস্ট বিকালবেলা থেকে দেখেছি। দলবাজি, দখলবাজি ও চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও গভর্ন্যান্স স্পেসের ক্ষমতাকে অপব্যহার করে ঠিকই একটি মহল দুর্নীতিতে লিপ্ত রয়েছেন। সরকারের অভ্যন্তরীণ কোনো কোনো ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই মধ্যবর্তীকালীন সরকারের সময় সম্ভাবনা ছিল আরও কঠোরভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থানটা গ্রহণ করার। সেটি করতে তারা হয়তো ব্যর্থ হয়েছে, সেটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’ ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্ট নিরপেক্ষ, স্বনামধন্য, স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত, স্বাধীনভাবে কাজ করতে

সক্ষম এমন দক্ষ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন ব্যাংক কমিশন গঠন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান শীতল সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক। এর জবাবে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘ভারতের ইতিহাসে এটা (বর্তমান পরিস্থিতি) সবচেয়ে বেশি বিব্রতকর কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক পরাজয়— এটা স্বীকার করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে এখন পর্যন্ত। ভারত এমন দেশ নয়, যারা সহজে এটা স্বীকার করবে। সেটা একটা বাস্তবতা। কিন্তু সেটার অর্থ এই নয় যে এটার কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে না। উন্নতি ঘটার সুযোগ আছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই পক্ষের উচ্চ অংশীদারত্ব ও সহযোগিতার ক্ষেত্র আছে। সেটা উভয় পক্ষের ওপর নির্ভর করে।

তবে ভারত যদি আরও বেশি বস্তুনিষ্ঠ অবস্থান নিতে পারত, কর্তৃত্ববাদের পক্ষে অবস্থান থেকে যদি সরে আসতে পারত, তাহলে সেটি বাংলাদেশের পক্ষে সহজতর হতো।’ টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ব্যবসায় খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা শুধু আইনি কাঠামো দিয়ে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, এটি খাতের ভেতর থেকেই আসতে হবে। এজন্য টিআইবি তাদের প্রস্তাবনায় ‘বিজনেস ইন্টেগ্রিটি প্রোগ্রাম’-এর কথা বলেছে, যেখানে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় নিজেরাই উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা, স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেবে। গত ১৫ বছরে দেখা গেছে, স্বচ্ছতার অভাবে কিছু ব্যবসায়ী গোষ্ঠী লাভবান হলেও বৃহত্তর অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ফলে রাষ্ট্রকাঠামো দখল ও কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর একটি অংশ ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, ‘সংস্কার

কমিশনের প্রতিবেদনে ব্যবসায় খাতের দুর্নীতি দুদকের শিডিউলের আওতায় আনার যে প্রস্তাব ছিল, সরকার নীতিগতভাবে সম্মত হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ব্যবসায় খাতে শুদ্ধাচার নিশ্চিত করা শুধু রাষ্ট্র বা জনগণের স্বার্থে নয়, ব্যবসায়ীদের নিজেদের টিকে থাকা ও দীর্ঘমেয়াদি লাভের জন্যও জরুরি।’ আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে রাখা উচিত এমন ৫২টি প্রস্তাব সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরে টিআইবি। এর মধ্যে প্রথম সাতটি প্রস্তাব পড়ে শোনান ইফতেখারুজ্জামান। এগুলোর মধ্যে আছে জুলাই জাতীয় সনদ ও এর বাইরে থাকা সংস্কার কমিশনগুলোর বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা; জুলাই সনদসহ অন্যান্য সংস্কার কমিশনের ওপর ভিত্তি করে যেসব অধ্যাদেশ জারি ও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো ও কার্যকর ও অব্যাহত রাখার

অঙ্গীকার করা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলের সব হত্যা, অপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার অব্যাহত রাখা। বাকি প্রস্তাবগুলো পড়ে শোনান টিআইবির জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা মো. জুলকারনাইন এবং গবেষণা ও নীতি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান। এসব প্রস্তাবে অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধ, দলের কার্যক্রমে গণতন্ত্র, সুশাসন ও শুদ্ধাচারের চর্চা, সমঅধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যাংক-আর্থিক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ও পরিবেশ-জলবায়ু খাতে সংস্কার, বেসরকারি খাতে সুশাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার করার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের এবং আউটরিচ ও কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বছর শেষে জোড়া ধামাকা নিয়ে পর্দায় ফিরছেন তানজিকা মধ্যরাতে শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তসহ আরও যা আছে নতুন এমপিও নীতিমালায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার : টিআইবি ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষককে দুঃসংবাদ দিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা এক সপ্তাহে ১১ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠাল সৌদি ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ অস্ত্র সমর্পণের জন্য নতুন শর্ত ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা নিয়ে ‘সুখবর’ দিলেন সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ নেতাকে শোকজ নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.২৯ শতাংশ গ্রিস উপকূলে অভিবাসী নৌকাডুবি, নিহত ১৮ ‘১৯৭১ সালের মার্চ মাস। “কত টাকা থাকলে কারও ৬৬৬ কোটি টাকা ট্যাক্স হয়? এই লোকটার এত টাকার উৎস কি?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে তাদের দোসর রাজাকার জামাত শিবির গং, এদের সবগুলোই কমন শত্রু একজনই- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তান ও ইউনুস সরকারের গোপন ঘনিষ্ঠতা,বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ঝুঁকিতে নোয়াখালীতে কবরস্থান থেকে ৫টি রাইফেল ও ১টি এলজি উদ্ধার পুলিশের নতুন পোশাক কেনাকাটায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ ১১ মাসে ১৭০ ধর্ষণ মাগুরায় পেট্রোল বোমায় পুড়ল সাব-রেজিস্ট্রি ও ভূমি অফিস