ট্রাম্পের ১২ পোস্টে ১২ দিনের যুদ্ধ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৫ জুন, ২০২৫
     ৫:০৫ অপরাহ্ণ

ট্রাম্পের ১২ পোস্টে ১২ দিনের যুদ্ধ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৫ জুন, ২০২৫ | ৫:০৫ 88 ভিউ
১২ দিনের টানা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও পাল্টা হামলার পর ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে—এমনটাই ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই সংঘাতের প্রতিটি ধাপে ট্রাম্পের সরাসরি মন্তব্য ও সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় উপস্থিতি নজর কেড়েছে বিশ্বজুড়ে। ১২ দিনের এই সংঘাতকে ট্রাম্প নিজেই অভিহিত করেছেন “১২ ডে ওয়ার” বা ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ নামে। Truth Social-এ দেওয়া তাঁর টানা ১২টি পোস্ট যুদ্ধ পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা। ট্রাম্পের ১২টি পোস্ট: কী বলেছিলেন তিনি? ২১ জুন (রাত): ‘ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ও সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। একই দিন: ‘যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ইরানের যেকোনো প্রতিশোধের জবাবে তারা যা দেখেছে, তার চেয়েও অনেক বড় শক্তির মুখোমুখি হতে হবে।’ ২৩

জুন: ‘যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কেউ এটি লঙ্ঘন করবেন না!’ একই দিন: ‘ইরান ও ইসরায়েলকে অভিনন্দন, ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ শেষ হয়েছে।’ ২৪ জুন: ‘এটি এমন একটি যুদ্ধ যা বহু বছর চলতে পারতো… কিন্তু আমি এটি থামিয়েছি।’ ২৪ জুন সকাল: ‘ইসরায়েল ও ইরান জানে না তারা আসলে কী করছে!” – যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।’ ২৪ জুন দুপুর: ‘নেতানিয়াহুকে বলেছি, এখনই থামতে হবে।’ ২৪ জুন সন্ধ্যা: ‘আমার বড় সম্মান এই যুদ্ধ থামানো।’ ২৪ জুন: ‘যুদ্ধবিরতি এখন স্থায়ী ও চূড়ান্ত। আমি নাম দিয়েছি ‘১২ দিনের যুদ্ধ’।’ ২৫ জুন: ‘উভয় পক্ষ আবার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস হয়েছে।’ ২৫ জুন: ‘আল-উদেইদ ঘাঁটিতে ইরানি হামলায় হতাহতের খবর নেই। যুদ্ধ শেষ। শান্তি

ফিরেছে।’ সর্বশেষ: ‘আমার সময়েই যুদ্ধ থেমেছে—এটিই হচ্ছে ট্রাম্পীয় কূটনীতি।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এসব পোস্ট শুধু মতামত নয়, বাস্তব কূটনৈতিক প্রভাবও ফেলেছে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এবং এর নামকরণ, এমনকি দু’পক্ষের প্রতি সরাসরি আহ্বান—সবই একটি নতুন ধরনের “ডিজিটাল যুদ্ধ-কূটনীতি”র ইঙ্গিত দেয়। তবে বিতর্কেরও অভাব নেই। অনেকেই বলছেন, ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি; বরং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য আরও বিপজ্জনক। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে একটি সামরিক সংঘর্ষের গল্প নির্মাণ করেছেন, যা বিশ্ববাসীর চোখের সামনে সরাসরি সম্প্রচারের মতো। এই “১২ দিনের যুদ্ধ” শুধুই একটি সংঘাত নয়, এটি ছিল এক অভূতপূর্ব কূটনৈতিক নাটকের প্রদর্শনী—যেখানে প্রেসিডেন্ট নিজেই ছিলেন পরিচালক, ধারাভাষ্যকার এবং মুখ্য চরিত্র।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যে দেশে একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, সেখানে এখন পাকিস্তানের পতাকা কীভাবে ওড়ে? উগ্রপন্থী ওসমান হাদির কফিনে পতাকা থাকলেও ছিল না সুদানে নিহত সেনাদের কফিনে নজরুল-জয়নুল-কামরুল বনাম ছাপড়ি টোকাই হাদি: এ লজ্জা কোথায় রাখি! প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে মার্কিন পরিকল্পনায় নির্বাচন বানচালের দ্বারপ্রান্তে জামায়াত আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে আমরা রিকশাওয়ালারাও নামবো” — রিকশাচালক যারা লুটপাট, হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা, নির্যাতন করে, নারীদের ধর্ষণ করে তারা কি বেহেশতে যাবে?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা ভোট আওয়ামী লীগকেই দিবো, আর কাকে দিবো? শেখ হাসিনাকে আবারো চাই” –জনমত হাদির হত্যাকারী ভারতের পালিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। অবৈধ সরকারের উপদেষ্টা, সমন্বয়ক,রাতারাতি তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে কোটিপতি হয়ে গেছে বাংলাদেশের সংস্কৃতির মেরুদণ্ড ভাঙার এক নির্লজ্জ প্রচেষ্টা সরকার আসবে এবং যাবে, কিন্তু বাংলাদেশকে আমরা ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রে’ (Rogue Nation) পরিণত হতে দেব না বাংলাদেশে হিংসার নেপথ্যে পাকিস্তানের ‘ঢাকা সেল’? ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য কারা হেফাজতে ফের মৃত্যু: বিনা চিকিৎসায় আ.লীগ নেতাকে ‘পরিকল্পিত হত্যার’ অভিযোগ গণমাধ্যমের বর্তমান ভূমিকা ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শেখ হাসিনা: ‘আমার সময়ে সমালোচনার পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল’ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই বড় পদক্ষেপ! ৭১-এর যুদ্ধে লড়া ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন ত্রিপুরায় ধর্ম অবমাননা’র গুজবে সংখ্যালঘু নিধন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও মব জাস্টিসের ভয়াবহ বিস্তার ছাত্রনেতার মুখোশে গুন্ডামি: রাকসু জিএসের ‘সন্ত্রাসী’ আস্ফালন খুলনায় এনসিপির বিভাগীয় প্রধান মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ ‘মৌলবাদীরা ভারত-বিদ্বেষ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে’: টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে রোকেয়া প্রাচী