
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ট্রাম্পের ‘চিরশান্তি’র প্রত্যাশা কি টিকবে

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিরকাল স্থায়ী হওয়ার প্রত্যাশা করেছেন। তিনি আশা করেন, দুই দেশের মধ্যে তিনি যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন, তা দু’পক্ষের সামরিক শত্রুতার চির অবসান ঘটাবে। কিন্তু ট্রাম্পের এই প্রত্যাশা কি টিকবে? নাকি দুই দেশ আবারও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণে বলা হয়, ইরানের পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার একটি বিল অনুমোদন করেছে।
ট্রাম্পও স্পষ্ট করে বলেছেন, তিনি কর্মসূচি ফের শুরু হতে দেবেন না। তেহরান তা করলে ওয়াশিংটন হামলা করবে। দুই পক্ষের এই অনড় অবস্থান আবারও যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত দেয়।
মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসিতে ট্রাম্প ফোনে এক সাক্ষাৎকার
দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই যুদ্ধবিরতি সীমাহীন ও তা চিরকাল স্থায়ী হবে। যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে কিনা– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি না, তারা আর কখনও একে অপরের দিকে গুলি চালাবে।’ এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বলেন, ‘দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে।’ দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে ব্রিফ করা একজন কূটনীতিক বলেন, ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা নেন। অবশেষে তারা সফল হন। কাতারের মাধ্যমে ইরানকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়। হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার
মতে, ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন এবং স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ‘আর যুদ্ধ নয়, আর যুদ্ধ নয়। ইরানিরা প্রকৃতপক্ষে দুর্বল হয়ে পড়েছে।’ ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ওভাল অফিস থেকে ট্রাম্প যখন ইসরায়েলের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা দল মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইরানের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছিল। ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করান এবং তারপর ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইরানিদের কাছে ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চায় এবং ইরানিদের এতে সম্মত হওয়া উচিত। ট্রাম্পের প্রস্তাব ছিল, ইরান ১২ ঘণ্টার জন্য হামলা বন্ধ করবে, অন্যদিকে ইসরায়েলও একই পন্থা অবলম্বন করবে। ইসরায়েলের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পের শঙ্কা ছিল, ইরান শেষ পর্যন্ত হয়তো
চুক্তি ধরে রাখবে না। বিদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে– এমন আরেকটি সূত্র জানায়, ট্রাম্প সোমবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘কাতার যদি ইরানকে রাজি করাতে পারে, তাহলে তিনি ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করাতে পারেন।’ তখন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয় করেন। মঙ্গলবার ভোরে নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর ইসরায়েলও সম্মত হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মতে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগ মুহূর্তে ইসরায়েলে শেষ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, অনেক মানুষ মারা যাচ্ছিল এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি
পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এই অভিযানে ছয়টি বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমানসহ অন্তত ১২৫টির বেশি বিমান অংশ নেয়। মার্কিন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে আরও শক্তিশালী পাল্টা হামলা ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইরান। পরে দেশটি কাতারের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল উদেইদে হামলা চালায়। এই ঘাঁটিতে হাজার হাজার মার্কিন সেনার অবস্থান। তবে কাতার জানায়, হামলার আগেই সেখান থেকে সব জনবল ও উপকরণ সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইরানের এই হামলাকে ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে ‘দুর্বল প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে অভিহিত করেন। পরে এক পোস্টে তিনি বলেন, তেহরান এখন শান্তির দিকে এগিয়ে যেতে পারে এবং ইসরায়েলকে একই পথ অনুসরণ করতে তিনি উৎসাহিত করবেন। এ
সময় তিনি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পরে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানান, এই যুদ্ধের নামটি একান্তই ট্রাম্পের দেওয়া। এখনও কি সংঘাতের শঙ্কা আছে আইএইএর সঙ্গে ইরান সহযোগিতা স্থগিত করায় সংঘাত শুরু হওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, শান্তি চুক্তি নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দুটি পথ খোলা আছে। একটি হলো, জাতিসংঘের পরিদর্শনের মাধ্যমে নতুন করে চুক্তি করা, যা ২০১৫ সালে করা চুক্তি ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ)’-এর মতো হতে পারে। এই পথে ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সম্মতি পাওয়ার সম্ভাবনা
কম। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া এবং সদ্য শেষ হওয়া যুদ্ধে সরাসরি হামলায় অংশ নেওয়ার বিষয়টিকে ইরান কীভাবে নেবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই যুদ্ধবিরতি সীমাহীন ও তা চিরকাল স্থায়ী হবে। যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে কিনা– জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস করি না, তারা আর কখনও একে অপরের দিকে গুলি চালাবে।’ এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে বলেন, ‘দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে।’ দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে ব্রিফ করা একজন কূটনীতিক বলেন, ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে কাতারের আমির ও প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা নেন। অবশেষে তারা সফল হন। কাতারের মাধ্যমে ইরানকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়। হোয়াইট হাউসের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার
মতে, ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন এবং স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, ‘আর যুদ্ধ নয়, আর যুদ্ধ নয়। ইরানিরা প্রকৃতপক্ষে দুর্বল হয়ে পড়েছে।’ ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ওভাল অফিস থেকে ট্রাম্প যখন ইসরায়েলের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা দল মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইরানের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছিল। ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করান এবং তারপর ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইরানিদের কাছে ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চায় এবং ইরানিদের এতে সম্মত হওয়া উচিত। ট্রাম্পের প্রস্তাব ছিল, ইরান ১২ ঘণ্টার জন্য হামলা বন্ধ করবে, অন্যদিকে ইসরায়েলও একই পন্থা অবলম্বন করবে। ইসরায়েলের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্পের শঙ্কা ছিল, ইরান শেষ পর্যন্ত হয়তো
চুক্তি ধরে রাখবে না। বিদেশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে– এমন আরেকটি সূত্র জানায়, ট্রাম্প সোমবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন করে বলেছিলেন, ‘কাতার যদি ইরানকে রাজি করাতে পারে, তাহলে তিনি ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করাতে পারেন।’ তখন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি দুই পক্ষের মধ্যে সমন্বয় করেন। মঙ্গলবার ভোরে নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর ইসরায়েলও সম্মত হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মতে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগ মুহূর্তে ইসরায়েলে শেষ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, অনেক মানুষ মারা যাচ্ছিল এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি
পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এই অভিযানে ছয়টি বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমানসহ অন্তত ১২৫টির বেশি বিমান অংশ নেয়। মার্কিন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে আরও শক্তিশালী পাল্টা হামলা ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয় ইরান। পরে দেশটি কাতারের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল উদেইদে হামলা চালায়। এই ঘাঁটিতে হাজার হাজার মার্কিন সেনার অবস্থান। তবে কাতার জানায়, হামলার আগেই সেখান থেকে সব জনবল ও উপকরণ সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ইরানের এই হামলাকে ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে ‘দুর্বল প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে অভিহিত করেন। পরে এক পোস্টে তিনি বলেন, তেহরান এখন শান্তির দিকে এগিয়ে যেতে পারে এবং ইসরায়েলকে একই পথ অনুসরণ করতে তিনি উৎসাহিত করবেন। এ
সময় তিনি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। পরে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানান, এই যুদ্ধের নামটি একান্তই ট্রাম্পের দেওয়া। এখনও কি সংঘাতের শঙ্কা আছে আইএইএর সঙ্গে ইরান সহযোগিতা স্থগিত করায় সংঘাত শুরু হওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, শান্তি চুক্তি নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দুটি পথ খোলা আছে। একটি হলো, জাতিসংঘের পরিদর্শনের মাধ্যমে নতুন করে চুক্তি করা, যা ২০১৫ সালে করা চুক্তি ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ)’-এর মতো হতে পারে। এই পথে ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে ইসরায়েলের সম্মতি পাওয়ার সম্ভাবনা
কম। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া এবং সদ্য শেষ হওয়া যুদ্ধে সরাসরি হামলায় অংশ নেওয়ার বিষয়টিকে ইরান কীভাবে নেবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।