টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে। – ইউ এস বাংলা নিউজ




টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ জুলাই, ২০২৫ | ৫:৫১ 35 ভিউ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে সোমবার ওয়াশিংটন সফরে রওনা হবেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে এই সফর শুরুর একদিন আগেই নেতানিয়াহু তার মুখপাত্র ওমর দোস্তরিকে বরখাস্ত করেছেন, যা ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। শনিবার (৫ জুলাই) বিষয়টি প্রথমে গোপন সূত্রে জানানো হলেও পরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে দোস্তরির পদত্যাগ নিশ্চিত করে। বিবৃতিতে বলা হয়, ওমর দোস্তরি নিজেই তার দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং ‘নতুন পথে’ এগিয়ে যেতে চান। তবে ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ দাবি করেছে, দোস্তরিকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন নেতানিয়াহুর স্ত্রী সারাহ নেতানিয়াহু। সূত্র অনুযায়ী, তাদের মধ্যে একাধিকবার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েল-এ প্রকাশিত খবরে জানানো হয়,

সারাহ নেতানিয়াহুর আচরণ এবং প্রশাসনিক কাজে তার অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ দোস্তরির পদত্যাগের অন্যতম কারণ। তবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে সারাহর সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে জানায়, এই সিদ্ধান্ত যৌথভাবে নেতানিয়াহু, তার চিফ অব স্টাফ ও দোস্তরি নিজে নিয়েছেন। নতুন মুখপাত্র হিসেবে যিনি দায়িত্ব নিতে পারেন, সেই জিভ আগমন সম্পর্কে বলা হচ্ছে, তিনি সারাহ নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ। সংবাদমাধ্যম ইয়েনেত ও চ্যানেল ১২ জানায়, জিভ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চিফ অব স্টাফ চাচি ব্রেভারম্যান-এরও ঘনিষ্ঠ সহযোগী। দোস্তরিকে সরানোর কারণ হিসেবে একাধিক বিষয় উঠে এসেছে। ইয়েনেত-কে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, নেতানিয়াহু মনে করতেন দোস্তরি এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত নন এবং তার পেশাগত অভিজ্ঞতা যথেষ্ট নয়। তাকে আগে থেকেই বলা হয়েছিল যে

তিনি ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন না এবং এই দায়িত্ব তার সঙ্গে মানানসই নয়। এছাড়া, দোস্তরির বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল। ফেব্রুয়ারিতে হিব্রু গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, নেতানিয়াহু তাকে একাধিকবার তিরস্কার করেন। অক্টোবরে, ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর দোস্তরি সেনা সদর দপ্তরে নেতানিয়াহুর উপস্থিতির ছবি সেন্সরশিপ ভেঙে প্রকাশ করেন, যার মাধ্যমে গোপন তথ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পৌঁছে যায়। দোস্তরির পদত্যাগ নিশ্চিত করে তার কাজের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানায়, ‘এটি ছিল ইসরায়েলের ইতিহাসে অন্যতম সংকটপূর্ণ সময়, যেখানে তিনি নীতিনিষ্ঠ ও পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন।’ দোস্তরি নিজেও এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি কাছ থেকে দেখেছি কীভাবে প্রধানমন্ত্রী জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। আমি নিশ্চিত, তিনি ইসরায়েলকে

নিরাপদ ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। উল্লেখ্য, ওমর দোস্তরি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ডক্টরেটধারী এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র হওয়ার আগে দুইটি ডানপন্থি থিঙ্কট্যাংকে গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ইসরায়েলি গণমাধ্যমে নিয়মিত কলাম লিখতেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ডিম ও সবজির দামে অস্বস্তি লিপুর আবেগ বলছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হবে, যুক্তিতে পথটা ‘দুর্গম’ আমাকেও বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে: অমর্ত্য সেন ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, সবাই ঢাকার আঘাতের চিহ্ন নেই সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মরদেহে, স্বজনের কাছে হস্তান্তর টেকনাফ সীমান্তে ফের গোলার শব্দ, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর বিজিবি নির্বাচক লিপুর দৃষ্টিতে সাইফ একের ভিতর চার কুমিল্লায় বাবা-মা ও ২ সন্তান নিহত: বন্ধ হচ্ছে বিপজ্জনক সেই ইউটার্ন উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার ১ মাস পর আরেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু ভাড়াটিয়া সেজে গৃহকর্ত্রীকে খুন, পরে মামলা তুলে নিতে হুমকি নিউমার্কেটে ঢাকা কলেজ-সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১০ শ্বশুরবাড়িতে মদপানে জামাইয়ের মৃত্যু ‘প্রযুক্তি সরঞ্জাম সংকট, আইন প্রয়োগে ধীরগতি’ মোমেনকে নিয়ে হজম করতে চেয়েছিলেন ডিসি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে নতুন উদ্যোগ ঋণপ্রবাহের গতি সর্বনিম্ন নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রতিশ্রুতি প্রার্থীদের লাগামহীন খেলাপি ঋণ, কমছে সম্পদের পরিমাণ রাজধানীতে নামে-বেনামে অর্ধশতাধিক ‘সিসা বার’ আজকের মুদ্রার রেট: ২৩ আগস্ট ২০২৫