ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ ছাঁটাই, তড়িঘড়ি করে রাজনৈতিক কর্মী নিয়োগের অভিযোগ
‘বাঙালি চুদনা জাতি, আমি ইসরায়েলের সিকিউরিটিতে ঢুকেছি’—বনি আমিনের ফোনালাপ ফাঁস!
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র: ব্যয় বাড়লো ২৬ হাজার কোটি, সময়সীমা ৩ বছর পিছিয়ে, বর্তমান সরকারের দুর্বলতা উন্মোচিত
‘বাঙালি চুদনা জাতি, আমি ইসরায়েলের সিকিউরিটিতে ঢুকেছি’—বনি আমিনের ফোনালাপ ফাঁস!
২০০৯-এর ষড়যন্ত্রকারীদের মুক্তি: বিডিআর বিদ্রোহের আসামিরা কি তবে বিএনপি-জামায়াতের ‘দাবার ঘুঁটি’ ছিল?
‘বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত করেছিলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর, এখন সব উল্টে দিচ্ছেন’—ফাঁস হওয়া অডিওতে শেখ হাসিনা
‘বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত করেছিলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর, এখন সব উল্টে দিচ্ছেন’—ফাঁস হওয়া অডিওতে শেখ হাসিনা
‘টকশোতে জ্ঞানদানকারী ধর্ষক’: এবি পার্টি নেতা ফুয়াদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশে তোলপাড়
টকশোর নীতিবান বনাম বাস্তব: টেলিভিশনের পর্দায় নিয়মিত আইনের শাসন ও নৈতিকতার বুলি আওড়াতেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ, বাস্তবে তার বিরুদ্ধেই উঠল জঘন্য ধর্ষণের অভিযোগ।
নেটিজেনদের ক্ষোভ: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফুয়াদকে ‘টকশোতে জ্ঞানদানকারী ধর্ষক’ আখ্যা দিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন সাধারণ মানুষ।
প্রতারণার কৌশল: বিবাহিত ও সন্তানের জনক হয়েও নিজেকে ‘অবিবাহিত’ পরিচয় দিয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন ধর্ষণের অভিযোগ।
মামলার নির্দেশ: ভুক্তভোগীর জবানবন্দি শেষে আদালত অবিলম্বে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
টেলিভিশনের পর্দায় তিনি নিয়মিত মুখ। বিভিন্ন টকশোতে উপস্থিত হয়ে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও নৈতিকতা নিয়ে ঝড় তোলেন। অথচ সেই ‘নীতিবান’ বক্তার বিরুদ্ধেই এবার উঠল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ।
তিনি ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালত তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ‘টকশোতে জ্ঞানদানকারী ধর্ষক’ ব্যারিস্টার ফুয়াদকে ঘিরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মূল কারণ তার দ্বিমুখী আচরণ। যিনি জনসমক্ষে জাতিকে নৈতিকতার জ্ঞান দেন, তার ব্যক্তিগত জীবনে এমন স্খলন মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনরা। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ‘টকশোতে জ্ঞানদানকারী ধর্ষক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। ফেসবুকে রায়হান উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, "পর্দায় যারা নীতির বুলি আওড়ান, বাস্তবে তারাই যদি এমন জঘন্য অপরাধে যুক্ত হন, তবে সমাজ যাবে
কোথায়? টকশোতে জ্ঞান দেওয়া এই ব্যক্তি আইনের লোক হয়েও আইনের চোখেই ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।" প্রতারণার অভিনব ফাঁদ মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ব্যারিস্টার ফুয়াদ নিজের স্ত্রী ও সন্তান থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপন রাখেন। নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে তিনি ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তাকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, "ব্যারিস্টার ফুয়াদ আমাকে জানিয়েছিল তার কোনো স্ত্রী নেই। টিভিতে বড় বড় কথা বলা এই লোকটা যে এত বড় মিথ্যাবাদী ও প্রতারক, তা আমি আগে বুঝিনি। সে আমার জীবন নষ্ট করেছে। আমি এই ‘ভদ্রবেশী’ অপরাধীর বিচার চাই।" জনমনে আস্থার সংকট ও শঙ্কা একজন আইনজীবী
ও রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আদালত পাড়ায় উপস্থিত এক বিচারপ্রার্থী মন্তব্য করেন, "আইনজীবীরা সমাজের বিবেক। তারা যদি টকশোতে এক রূপ আর বাস্তবে আরেক রূপ দেখান, তবে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? ফুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন প্রতারণা করার সাহস না পায়।" অন্যদিকে, সচেতন নাগরিক সমাজ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তার রাজনৈতিক পরিচয় বা পেশাগত ক্ষমতা ব্যবহার করে তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। তাই প্রশাসনের কড়া নজরদারির দাবি জানিয়েছেন তারা। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ মামলা রেকর্ডের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে টকশোর সেই পরিচিত
মুখ এখন নিজেই কাঠগড়ায়—এটাই এখন ‘টক অব দ্য টাউন’।
তিনি ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালত তার বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ‘টকশোতে জ্ঞানদানকারী ধর্ষক’ ব্যারিস্টার ফুয়াদকে ঘিরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মূল কারণ তার দ্বিমুখী আচরণ। যিনি জনসমক্ষে জাতিকে নৈতিকতার জ্ঞান দেন, তার ব্যক্তিগত জীবনে এমন স্খলন মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনরা। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ‘টকশোতে জ্ঞানদানকারী ধর্ষক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। ফেসবুকে রায়হান উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, "পর্দায় যারা নীতির বুলি আওড়ান, বাস্তবে তারাই যদি এমন জঘন্য অপরাধে যুক্ত হন, তবে সমাজ যাবে
কোথায়? টকশোতে জ্ঞান দেওয়া এই ব্যক্তি আইনের লোক হয়েও আইনের চোখেই ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।" প্রতারণার অভিনব ফাঁদ মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ব্যারিস্টার ফুয়াদ নিজের স্ত্রী ও সন্তান থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপন রাখেন। নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে তিনি ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তাকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, "ব্যারিস্টার ফুয়াদ আমাকে জানিয়েছিল তার কোনো স্ত্রী নেই। টিভিতে বড় বড় কথা বলা এই লোকটা যে এত বড় মিথ্যাবাদী ও প্রতারক, তা আমি আগে বুঝিনি। সে আমার জীবন নষ্ট করেছে। আমি এই ‘ভদ্রবেশী’ অপরাধীর বিচার চাই।" জনমনে আস্থার সংকট ও শঙ্কা একজন আইনজীবী
ও রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার এমন কর্মকাণ্ডে সাধারণ নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আদালত পাড়ায় উপস্থিত এক বিচারপ্রার্থী মন্তব্য করেন, "আইনজীবীরা সমাজের বিবেক। তারা যদি টকশোতে এক রূপ আর বাস্তবে আরেক রূপ দেখান, তবে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? ফুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন প্রতারণা করার সাহস না পায়।" অন্যদিকে, সচেতন নাগরিক সমাজ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তার রাজনৈতিক পরিচয় বা পেশাগত ক্ষমতা ব্যবহার করে তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। তাই প্রশাসনের কড়া নজরদারির দাবি জানিয়েছেন তারা। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে থানা পুলিশ মামলা রেকর্ডের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে টকশোর সেই পরিচিত
মুখ এখন নিজেই কাঠগড়ায়—এটাই এখন ‘টক অব দ্য টাউন’।



