জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা, জানালেন ফিট থাকার রহস্য

ভারতের ৭০ বছরের রোশনি দেবী সাংওয়ান অনেকের কাছেই ‘ওয়েটলিফটার মমি’ নামে পরিচিত। এ বয়সেও তিনি সক্রিয়ভাবে ভারোত্তোলন করছেন। বয়সকে থামিয়ে রেখে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে, সঠিক খাওয়া-দাওয়া আর অনুশীলন থাকলে বয়স কোনো বাধা নয়।
সম্প্রতি রানভীর আল্লাহবাদিয়ার একটি পডকাস্টে রোশনি দেবী জানিয়েছেন তার খুবই সাধারণ, ঘরোয়া ও নিরামিষ খাদ্য তালিকার কথা- যেখানে কোনো ফ্যান্সি খাবার নেই।
তিনি বারবার বলেছেন, তার সুস্থতা আর অনুশীলনের পেছনে মূল কারণ হচ্ছে ‘ঘরের খাবার’। নিচে তার ডায়েট প্ল্যানের বিস্তারিত দেওয়া হলো।
৭০ বছর বয়সেও ফিট থাকার প্রোটিনসমৃদ্ধ নিরামিষ ডায়েট
প্রি-ওয়ার্কআউট (অনুশীলনের আগে) : তিনি দিন শুরু করেন একটি স্বাস্থ্যকর ড্রিংক দিয়ে- যেটি বানানো হয় ওটস, ১০টা বাদাম আর ১০টা
কিশমিশ ব্লেন্ড করে। লাঞ্চ (দুপুরের খাবার) : একেবারে ঘরোয়া, হালকা এবং ব্যালান্সড- ভাত, ডাল, টাটকা সালাদ আর দই। ডিনার (রাতের খাবার) : রাতে তিনি অনেক আগেই খেয়ে ফেলেন। সাধারণত সন্ধ্যায় তিনি খান একটি মুগ ডালের চিলা, যার মধ্যে পনির ও কাঁচা লঙ্কা মেশানো থাকে। ঘুমের আগে : এক গ্লাস গরম দুধ পান করেন। তার প্রতিদিনের খাবারের উপকারিতা বিশ্লেষণ ১. ওটস : ওটস হচ্ছে প্রাকৃতিক ফাইবার ও প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে থাকে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এটি শরীরে ধীরে ধীরে শক্তি দেয়, যা অনুশীলনের আগে ভালো। ২. বাদাম : ভাল ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন ই ও ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর। এটি পেশি মেরামত ও শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ৩. কিশমিশ :
প্রাকৃতিক চিনি, আয়রন, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। ব্যায়ামের আগে বা সময়মতো দ্রুত এনার্জি দেয়। ৪. ভাত : অনেকেই ভাবেন ভাত খেলে ওজন বাড়ে, কিন্তু মাপমতো খেলেই এটি ভালো। এটি সহজপাচ্য এবং শরীরে গ্লাইকোজেন পুনরায় তৈরি করে। ৫. ডাল : উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর, নিরামিষভোজীদের জন্য চমৎকার প্রোটিন উৎস। আয়রন, ফলেটও থাকে এতে। ৬. সালাদ: টাটকা সবজির সালাদে থাকে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার। এটি হালকা হলেও শরীরকে অনেকক্ষণ ভরিয়ে রাখে। ৭. দই : প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং প্রোবায়োটিকে ভরপুর। হাড় শক্ত রাখতে সহায়তা করে, বিশেষ করে বয়স্ক ও ওজন তুলনাকারীদের জন্য খুব দরকারি। ৮. মুগ ডালের চিলা (পনির দিয়ে) : এটি প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিনে
পরিপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর, পেট ভরায় এবং খেতে মজাদার। ৯. দুধ : বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় ও জোড়ার যত্ন খুব দরকার। দুধে থাকে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি। রাতে দুধ খেলে ঘুমও ভালো হয়। জীবনের অনুপ্রেরণা : বয়স নয়, মন বড় হওয়া দরকার রোশনি দেবী ইনস্টাগ্রামে মাঝে মাঝে ১০৫ কেজি ওজন দিয়ে ডেডলিফট করতে দেখা যায়। তার ফিটনেস ট্রেইনারও বলেন, তিনি সবসময় নতুন কিছু শেখার জন্য তৈরি থাকেন এবং চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পান না। ৬৮ বছর বয়সে তার আর্থ্রাইটিস ধরা পড়ে। তখন তার ছেলে তাকে অনুপ্রাণিত করেন এক্সারসাইজ শুরু করতে, যাতে করে ব্যথা ও ফোলাভাব কমে। এখন তিনি নিজেই হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণা। সতর্কীকরণ : এই লেখাটি শুধু
সাধারণ তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে লেখা। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার নিজস্ব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে ভালো।
কিশমিশ ব্লেন্ড করে। লাঞ্চ (দুপুরের খাবার) : একেবারে ঘরোয়া, হালকা এবং ব্যালান্সড- ভাত, ডাল, টাটকা সালাদ আর দই। ডিনার (রাতের খাবার) : রাতে তিনি অনেক আগেই খেয়ে ফেলেন। সাধারণত সন্ধ্যায় তিনি খান একটি মুগ ডালের চিলা, যার মধ্যে পনির ও কাঁচা লঙ্কা মেশানো থাকে। ঘুমের আগে : এক গ্লাস গরম দুধ পান করেন। তার প্রতিদিনের খাবারের উপকারিতা বিশ্লেষণ ১. ওটস : ওটস হচ্ছে প্রাকৃতিক ফাইবার ও প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে থাকে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এটি শরীরে ধীরে ধীরে শক্তি দেয়, যা অনুশীলনের আগে ভালো। ২. বাদাম : ভাল ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন ই ও ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর। এটি পেশি মেরামত ও শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ৩. কিশমিশ :
প্রাকৃতিক চিনি, আয়রন, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। ব্যায়ামের আগে বা সময়মতো দ্রুত এনার্জি দেয়। ৪. ভাত : অনেকেই ভাবেন ভাত খেলে ওজন বাড়ে, কিন্তু মাপমতো খেলেই এটি ভালো। এটি সহজপাচ্য এবং শরীরে গ্লাইকোজেন পুনরায় তৈরি করে। ৫. ডাল : উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর, নিরামিষভোজীদের জন্য চমৎকার প্রোটিন উৎস। আয়রন, ফলেটও থাকে এতে। ৬. সালাদ: টাটকা সবজির সালাদে থাকে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার। এটি হালকা হলেও শরীরকে অনেকক্ষণ ভরিয়ে রাখে। ৭. দই : প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং প্রোবায়োটিকে ভরপুর। হাড় শক্ত রাখতে সহায়তা করে, বিশেষ করে বয়স্ক ও ওজন তুলনাকারীদের জন্য খুব দরকারি। ৮. মুগ ডালের চিলা (পনির দিয়ে) : এটি প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিনে
পরিপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর, পেট ভরায় এবং খেতে মজাদার। ৯. দুধ : বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় ও জোড়ার যত্ন খুব দরকার। দুধে থাকে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি। রাতে দুধ খেলে ঘুমও ভালো হয়। জীবনের অনুপ্রেরণা : বয়স নয়, মন বড় হওয়া দরকার রোশনি দেবী ইনস্টাগ্রামে মাঝে মাঝে ১০৫ কেজি ওজন দিয়ে ডেডলিফট করতে দেখা যায়। তার ফিটনেস ট্রেইনারও বলেন, তিনি সবসময় নতুন কিছু শেখার জন্য তৈরি থাকেন এবং চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পান না। ৬৮ বছর বয়সে তার আর্থ্রাইটিস ধরা পড়ে। তখন তার ছেলে তাকে অনুপ্রাণিত করেন এক্সারসাইজ শুরু করতে, যাতে করে ব্যথা ও ফোলাভাব কমে। এখন তিনি নিজেই হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণা। সতর্কীকরণ : এই লেখাটি শুধু
সাধারণ তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে লেখা। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার নিজস্ব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে ভালো।