ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
মানুষ সংস্কার বোঝে না, তারা বোঝে ভোট: মির্জা ফখরুল
সেই তাহেরীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
রাজপথে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি
আমাদের পাকঘরে উঁকি মারবেন না: ভারতকে ডা. শফিকুর রহমান
‘আওয়ামী লীগ দালাল না, ভারতেরই সরকার ছিল’
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি
খুলনায় ‘অনুকূল’ পরিবেশে দল গোছাচ্ছে জামায়াত
‘কতিপয় ছাত্রনেতার’ প্রভাবে উপদেষ্টারা কাজ করতে পারছেন না: নুর
‘কতিপয় ছাত্রনেতার’ প্রভাবে সরকার ও উপদেষ্টারা কাজ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।তিনি বলেছেন, কোনো দলকে ক্ষমতায় বসাতে বা কাউকে নেতা বানাতে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেনি।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় উত্তরা আজমপুর আমির কমপ্লেক্সের সামনে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ, আহত ও নিহতদের স্মরণে দোয়া এবং স্মরণ সভার আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর।
সভায় সংহতি জানিয়ে শহিদ পরিবারের অনেকেই বক্তব্য দেন। এ সময় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
সভায় নুর বলেন, গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা এই সরকারকে ক্ষমতায় বসালেও আড়াই মাসেও আহতদের সুচিকিৎসা ও শহিদ পরিবারকে সেভাবে সহযোগিতা
করতে পারেনি।অথচ এটি হওয়া দরকার ছিল এই সরকারের প্রথম কাজ। দুঃখ হয়, কষ্ট লাগে সরকারের প্রতি ক্ষোভ হয়। সরকারকে পরিষ্কার বলতে চাই ,আগামী এক মাসের মধ্যে নিহত পরিবারকে ১ কোটি ও আহত পরিবারকে অর্ধ কোটি টাকা সহযোগিতা করতে হবে। প্রয়োজনে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাতে হবে। জানি না কেন মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধকে জুলাই ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুনছি কতিপয় ছাত্রনেতার প্রভাবে সরকার-উপদেষ্টারা কাজ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, দুই হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছে, লাখ লাখ মানুষ আহত হয়েছে, রক্ত দিয়েছে। কোনো দলকে ক্ষমতায় বসাতে বা কাউকে নেতা বানাতে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেনি। ১৫-২০ দিনে
মেসি-রোনালদো হওয়া যায় না। কতিপয় ছাত্রনেতাদের দ্বারা এত প্রভাবিত হলে সরকারের ৬ মাস টেকা মুশকিল হয়ে যাবে। আমরা চাই না, এই সরকার ব্যর্থ হোক, এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশ আরেকটা সংকট ও বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। সরকারকে বলব, রাষ্ট্র সংস্কার ও সরকারের স্থিতিশীলতার জন্য আন্দোলনকারী সব দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করুন। ভারত এখনো তার পোষা সরকারের পতন হজম করতে পারেনি। সমালোচনা করলেও আন্দোলন কিংবা চাপের মাধ্যমে সরকারকে সঠিক লাইনে রেখেই রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে কাজ করবে গণঅধিকার পরিষদ। দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার
দোসররা কিন্তু রয়ে গেছে। দেখেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবির কেউ গ্রেফতার হচ্ছে না। এগুলো কিসের আলামত? আওয়ামী লীগ যে অপরাধ করেছে, তারা আর বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। এই যে সরকার তাদের তো জনগণ বসিয়েছে। কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণকে কতটুকু সম্পৃক্ত করছে? আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য কোনোকিছু তারা এখনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এমনকি শহিদ ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতেও পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের দূরত্ব। তারা কী করতে চাচ্ছে তা স্পষ্ট না। আমরা বলব- রোডম্যাপ দিন, দলগুলোর মতামত নিন। অন্যথায় সফল হওয়া কঠিন হবে। রাষ্ট্র সংস্কার আপনাদেরকেই করতে হবে। সেটি না হলে এই স্বাধীনতা ২য় বারের মতো ব্যর্থ হবে। তিনি বলেন,
আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে জটিলতা। কিন্তু কেন আপনারা তার হাতে শপথ নিলেন, তখনই তো ভাবা দরকার ছিল। কিন্তু সেটি না করে তড়িঘড়ি করে ক্ষমতায় বসে আজকে সংকট সৃষ্টি করেছেন। জনগণকে অন্ধকারে রেখে রাষ্ট্র সংস্কার করা যায় না। ধোঁয়াশা দূর করে সব দলকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্র চালান। দলগুলো যেভাবে গণঅভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছে, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ রেখে কাজ করা আপনাদের দায়িত্ব। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগরের সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি রাকিবুল ইসলাম এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আবির ইসলাম সবুজের সঞ্চালনায় আর বক্তব্য দেন- গণঅধিকার পরিষদের সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক
মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আব্দুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিমউদ্দীন, মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান প্রমুখ।
করতে পারেনি।অথচ এটি হওয়া দরকার ছিল এই সরকারের প্রথম কাজ। দুঃখ হয়, কষ্ট লাগে সরকারের প্রতি ক্ষোভ হয়। সরকারকে পরিষ্কার বলতে চাই ,আগামী এক মাসের মধ্যে নিহত পরিবারকে ১ কোটি ও আহত পরিবারকে অর্ধ কোটি টাকা সহযোগিতা করতে হবে। প্রয়োজনে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাতে হবে। জানি না কেন মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধকে জুলাই ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুনছি কতিপয় ছাত্রনেতার প্রভাবে সরকার-উপদেষ্টারা কাজ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, দুই হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছে, লাখ লাখ মানুষ আহত হয়েছে, রক্ত দিয়েছে। কোনো দলকে ক্ষমতায় বসাতে বা কাউকে নেতা বানাতে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেনি। ১৫-২০ দিনে
মেসি-রোনালদো হওয়া যায় না। কতিপয় ছাত্রনেতাদের দ্বারা এত প্রভাবিত হলে সরকারের ৬ মাস টেকা মুশকিল হয়ে যাবে। আমরা চাই না, এই সরকার ব্যর্থ হোক, এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশ আরেকটা সংকট ও বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে। সরকারকে বলব, রাষ্ট্র সংস্কার ও সরকারের স্থিতিশীলতার জন্য আন্দোলনকারী সব দলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করুন। ভারত এখনো তার পোষা সরকারের পতন হজম করতে পারেনি। সমালোচনা করলেও আন্দোলন কিংবা চাপের মাধ্যমে সরকারকে সঠিক লাইনে রেখেই রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারের মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে কাজ করবে গণঅধিকার পরিষদ। দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার
দোসররা কিন্তু রয়ে গেছে। দেখেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবির কেউ গ্রেফতার হচ্ছে না। এগুলো কিসের আলামত? আওয়ামী লীগ যে অপরাধ করেছে, তারা আর বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। এই যে সরকার তাদের তো জনগণ বসিয়েছে। কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণকে কতটুকু সম্পৃক্ত করছে? আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য কোনোকিছু তারা এখনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এমনকি শহিদ ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতেও পারেনি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের দূরত্ব। তারা কী করতে চাচ্ছে তা স্পষ্ট না। আমরা বলব- রোডম্যাপ দিন, দলগুলোর মতামত নিন। অন্যথায় সফল হওয়া কঠিন হবে। রাষ্ট্র সংস্কার আপনাদেরকেই করতে হবে। সেটি না হলে এই স্বাধীনতা ২য় বারের মতো ব্যর্থ হবে। তিনি বলেন,
আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে জটিলতা। কিন্তু কেন আপনারা তার হাতে শপথ নিলেন, তখনই তো ভাবা দরকার ছিল। কিন্তু সেটি না করে তড়িঘড়ি করে ক্ষমতায় বসে আজকে সংকট সৃষ্টি করেছেন। জনগণকে অন্ধকারে রেখে রাষ্ট্র সংস্কার করা যায় না। ধোঁয়াশা দূর করে সব দলকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্র চালান। দলগুলো যেভাবে গণঅভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করেছে, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ রেখে কাজ করা আপনাদের দায়িত্ব। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগরের সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি রাকিবুল ইসলাম এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আবির ইসলাম সবুজের সঞ্চালনায় আর বক্তব্য দেন- গণঅধিকার পরিষদের সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক
মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পি, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আব্দুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিমউদ্দীন, মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান প্রমুখ।