ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
১১ মাসে ১৭০ ধর্ষণ
ইমরানের ‘আইডল’ বঙ্গবন্ধু ইমরান খানের মুখে প্রশংসা, পাক সেনাবাহিনীর চোখে বঙ্গবন্ধু ‘গদ্দার’
‘ভারত টুকরো না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে শান্তি আসবে না’: সাবেক জেনারেল আজমির বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড়
শেরপুর সীমান্তে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে সরকারের ক্ষতি কোটি টাকা
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাতীয় সমাবেশ’, যা বললেন বক্তারা
‘ডরে আমার ভয় কাঁপতেছে’, প্রেস সচিবের ‘রহস্যময়’ পোস্ট
বাজারমূল্যের চেয়ে কমে কার্যাদেশ, ৩৪ কোটি টাকা তছরুপের পাঁয়তারা
এক বছরেও প্রকাশ হয়নি উপদেষ্টাদের আয়–সম্পদের হিসাব স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবে অদৃশ্য, সরকারের জবাবদিহিতা নিয়ে ঘনীভূত প্রশ্ন
ক্ষমতা গ্রহণের দুই সপ্তাহের মাথায় ২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এক বছর পেরিয়ে গেলেও তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ আজও বাস্তবায়িত হয়নি। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের আয় ও সম্পদের বিবরণী প্রকাশের সেই অঙ্গীকার এখনো কার্যত অদৃশ্য।
প্রধান উপদেষ্টা তার ওই ভাষণে বলেছিলেন, “শিগগিরই আমার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা তাদের আয় ও সম্পদের বিবরণী জনগণের সামনে প্রকাশ করবেন।” এরপর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকার এ বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষপ্রান্তে এসেও সরকারের কোনো ওয়েবসাইট, গেজেট বা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একজন উপদেষ্টারও সম্পদের হিসাব প্রকাশ পায়নি।
নীতিমালা থাকলেও প্রকাশ
নেই সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্রগুলো জানায়, আয় ও সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কাঠামো থাকলেও “প্রকাশ” সংক্রান্ত কোনো কার্যকর নির্দেশনা এখনো জারি হয়নি। ফলে উপদেষ্টারা আদৌ সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন কি না, দিলে কোথায় জমা দিয়েছেন এবং কবে তা জনসমক্ষে আসবে—এই তিনটি মৌলিক প্রশ্নই এখনো অজানা রয়ে গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কিংবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)—কোনো প্রতিষ্ঠানই আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি যে উপদেষ্টাদের আয়–সম্পদের বিবরণী তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে কি না অথবা তা প্রকাশের কোনো সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে কি না। স্বচ্ছতার কথা বলা ব্যক্তিরাই কি ব্যতিক্রম? এই উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক সদস্য দীর্ঘদিন ধরে সুশাসন, মানবাধিকার, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন ও স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করে
আসছেন। কেউ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), কেউ নাগরিক সমাজ, কেউ বা আইনি সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল, এই সরকার আগের যেকোনো সরকারের তুলনায় স্বচ্ছতার একটি শক্ত মানদণ্ড স্থাপন করবে। কিন্তু আয় ও সম্পদের হিসাব গোপন থাকার কারণে সেই প্রত্যাশার জায়গাতেই এখন বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। টিআইবির একজন সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “স্বচ্ছতার প্রথম শর্তই হচ্ছে নিজের সম্পদের ব্যাপারে জনগণের কাছে খোলা থাকা। এখানেই যদি ব্যতিক্রম শুরু হয়, তাহলে রাষ্ট্রব্যবস্থার বাকি স্তরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে।” দুর্নীতির অভিযোগ, কিন্তু নেই সম্পদের ঘোষণা গত এক বছরে উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি ও তাদের
ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, স্বার্থের সংঘাত এবং প্রভাব খাটিয়ে সুযোগ নেওয়ার অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। যদিও এসব অভিযোগের অনেকগুলোরই এখনো তদন্ত শেষ হয়নি, তবু সম্পদের বিবরণী প্রকাশ না হওয়ায় অভিযোগ যাচাই করাও বাস্তবে কঠিন হয়ে পড়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, “কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তার সম্পদের ঘোষণার সঙ্গে বাস্তব সম্পদের তুলনা করেই অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে। উপদেষ্টাদের ক্ষেত্রে যেহেতু কোনো ঘোষণাই প্রকাশ হয়নি, ফলে আমরা সবাই প্রায় অন্ধকারে আছি।” নিজের হিসাব প্রকাশের উদাহরণ টানলেন আলী আরাফাত এ বিষয়ে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, “আমি এক বছরে দুইবার আমার সম্পদের হিসাব দিয়েছি। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এটা আমি দায়িত্ব বলেই মনে করি।
কিন্তু যারা রাষ্ট্র পরিচালনার কেন্দ্রীয় দায়িত্বে আছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব আরও বেশি।” তিনি আরও বলেন, “যদি লুকানোর কিছু না থাকে, তাহলে জনগণের সামনে প্রকাশে এত অনীহা থাকার কথা নয়।” আইন ও বাস্তবতার ফাঁক আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মন্ত্রীদের জন্য সম্পদের হিসাব দাখিল ও প্রকাশের একটি পুরোনো চর্চা থাকলেও উপদেষ্টা পরিষদের জন্য সুনির্দিষ্ট ও বাধ্যতামূলক আইনি কাঠামো এখনও দুর্বল। এই আইনি ফাঁকটাই এখন বিষয়টিকে জটিল করে তুলছে। সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী বলেন, “নীতি থাকলেও তার প্রয়োগ না হলে সেটি কার্যত কোনো নীতিই নয়। উপদেষ্টারা রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে বসে আছেন। সেক্ষেত্রে তাদের জবাবদিহিতা মন্ত্রীদের চেয়েও কম হতে পারে না।” অর্থনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ঝুঁকির শঙ্কা অর্থনীতি
ও প্রশাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, উপদেষ্টা পরিষদের স্বাধীন সিদ্ধান্তগুলো দেশের নীতি, বাজেট, আন্তর্জাতিক ঋণ, বিনিয়োগ ও প্রশাসনিক সংস্কারের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদের আয়–সম্পদের বিবরণী গোপন থাকলে স্বার্থের সংঘাত ও অনৈতিক সিদ্ধান্তের ঝুঁকি থেকেই যায়। একজন বিশ্লেষক বলেন, “স্বচ্ছতা না থাকলে কেবল দুর্নীতি নয়, ভুল নীতিনির্ধারণের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির পথও তৈরি হতে পারে।” সরকারের অবস্থান এখনো অস্পষ্ট এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাতে পারেননি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উত্তর পাওয়া গেছে—“বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন”। কবে নাগাদ উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা হবে, কিংবা আদৌ
তা প্রকাশের বাধ্যবাধকতা কার্যকর হবে কি না—সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো স্পষ্ট ঘোষণা আসেনি। ক্ষমতা গ্রহণের পর এক বছর পার হলেও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের আয় ও সম্পদের হিসাব প্রকাশ না হওয়া সরকার ঘোষিত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নীতির সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। যেখানে নাগরিকদের করের অর্থে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়, সেখানে রাষ্ট্র পরিচালনার শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সম্পদের তথ্য গোপন থাকা গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য একটি গুরুতর প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নেই সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্রগুলো জানায়, আয় ও সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কাঠামো থাকলেও “প্রকাশ” সংক্রান্ত কোনো কার্যকর নির্দেশনা এখনো জারি হয়নি। ফলে উপদেষ্টারা আদৌ সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন কি না, দিলে কোথায় জমা দিয়েছেন এবং কবে তা জনসমক্ষে আসবে—এই তিনটি মৌলিক প্রশ্নই এখনো অজানা রয়ে গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কিংবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)—কোনো প্রতিষ্ঠানই আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি যে উপদেষ্টাদের আয়–সম্পদের বিবরণী তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে কি না অথবা তা প্রকাশের কোনো সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে কি না। স্বচ্ছতার কথা বলা ব্যক্তিরাই কি ব্যতিক্রম? এই উপদেষ্টা পরিষদের একাধিক সদস্য দীর্ঘদিন ধরে সুশাসন, মানবাধিকার, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন ও স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করে
আসছেন। কেউ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), কেউ নাগরিক সমাজ, কেউ বা আইনি সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ফলে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল, এই সরকার আগের যেকোনো সরকারের তুলনায় স্বচ্ছতার একটি শক্ত মানদণ্ড স্থাপন করবে। কিন্তু আয় ও সম্পদের হিসাব গোপন থাকার কারণে সেই প্রত্যাশার জায়গাতেই এখন বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। টিআইবির একজন সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “স্বচ্ছতার প্রথম শর্তই হচ্ছে নিজের সম্পদের ব্যাপারে জনগণের কাছে খোলা থাকা। এখানেই যদি ব্যতিক্রম শুরু হয়, তাহলে রাষ্ট্রব্যবস্থার বাকি স্তরে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে।” দুর্নীতির অভিযোগ, কিন্তু নেই সম্পদের ঘোষণা গত এক বছরে উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি ও তাদের
ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, স্বার্থের সংঘাত এবং প্রভাব খাটিয়ে সুযোগ নেওয়ার অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। যদিও এসব অভিযোগের অনেকগুলোরই এখনো তদন্ত শেষ হয়নি, তবু সম্পদের বিবরণী প্রকাশ না হওয়ায় অভিযোগ যাচাই করাও বাস্তবে কঠিন হয়ে পড়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, “কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তার সম্পদের ঘোষণার সঙ্গে বাস্তব সম্পদের তুলনা করেই অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে। উপদেষ্টাদের ক্ষেত্রে যেহেতু কোনো ঘোষণাই প্রকাশ হয়নি, ফলে আমরা সবাই প্রায় অন্ধকারে আছি।” নিজের হিসাব প্রকাশের উদাহরণ টানলেন আলী আরাফাত এ বিষয়ে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, “আমি এক বছরে দুইবার আমার সম্পদের হিসাব দিয়েছি। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এটা আমি দায়িত্ব বলেই মনে করি।
কিন্তু যারা রাষ্ট্র পরিচালনার কেন্দ্রীয় দায়িত্বে আছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব আরও বেশি।” তিনি আরও বলেন, “যদি লুকানোর কিছু না থাকে, তাহলে জনগণের সামনে প্রকাশে এত অনীহা থাকার কথা নয়।” আইন ও বাস্তবতার ফাঁক আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মন্ত্রীদের জন্য সম্পদের হিসাব দাখিল ও প্রকাশের একটি পুরোনো চর্চা থাকলেও উপদেষ্টা পরিষদের জন্য সুনির্দিষ্ট ও বাধ্যতামূলক আইনি কাঠামো এখনও দুর্বল। এই আইনি ফাঁকটাই এখন বিষয়টিকে জটিল করে তুলছে। সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী বলেন, “নীতি থাকলেও তার প্রয়োগ না হলে সেটি কার্যত কোনো নীতিই নয়। উপদেষ্টারা রাষ্ট্রক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে বসে আছেন। সেক্ষেত্রে তাদের জবাবদিহিতা মন্ত্রীদের চেয়েও কম হতে পারে না।” অর্থনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ঝুঁকির শঙ্কা অর্থনীতি
ও প্রশাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, উপদেষ্টা পরিষদের স্বাধীন সিদ্ধান্তগুলো দেশের নীতি, বাজেট, আন্তর্জাতিক ঋণ, বিনিয়োগ ও প্রশাসনিক সংস্কারের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদের আয়–সম্পদের বিবরণী গোপন থাকলে স্বার্থের সংঘাত ও অনৈতিক সিদ্ধান্তের ঝুঁকি থেকেই যায়। একজন বিশ্লেষক বলেন, “স্বচ্ছতা না থাকলে কেবল দুর্নীতি নয়, ভুল নীতিনির্ধারণের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির পথও তৈরি হতে পারে।” সরকারের অবস্থান এখনো অস্পষ্ট এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাতে পারেননি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উত্তর পাওয়া গেছে—“বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন”। কবে নাগাদ উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা হবে, কিংবা আদৌ
তা প্রকাশের বাধ্যবাধকতা কার্যকর হবে কি না—সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো স্পষ্ট ঘোষণা আসেনি। ক্ষমতা গ্রহণের পর এক বছর পার হলেও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের আয় ও সম্পদের হিসাব প্রকাশ না হওয়া সরকার ঘোষিত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নীতির সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। যেখানে নাগরিকদের করের অর্থে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়, সেখানে রাষ্ট্র পরিচালনার শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সম্পদের তথ্য গোপন থাকা গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য একটি গুরুতর প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।



