
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

মানবাধিকার সংকটে বাংলাদেশ: জাতিসংঘের নীরবতা কি ন্যায়বিচারের সহায়?

প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা

উচ্চমূল্যের চাপে মধ্যবিত্ত হয়ে যাচ্ছে নিম্নবিত্ত

বাজারে সবজির সেঞ্চুরি: ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই

কারাবন্দীদের উপর নির্যাতন: সংবিধান ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন

পে স্কেলের অনুপাত দাবি নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের নতুন ঘোষণা

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
ইউনূস সরকার ও তার মব বাহিনীর দমন-পীড়নে দেড়-দুই কোটি আওয়ামী লীগ কর্মী আজ ঘরছাড়া

টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আওয়ামী লীগ সেনা-সমর্থিত এক অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে গত ১৪ মাসে দলটির দেড় থেকে দুই কোটি নেতা-কর্মী ঘরছাড়া হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দলীয় নেতারা দাবি করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বিএনপি-জামাতের নেতা-কর্মীদের সহায়তায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর সাংগঠনিকভাবে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নির্বিচার গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
পারিবারিক নিরাপত্তার জন্য স্থানান্তর
দলীয় সূত্র জানায়, পারিবারিক নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক হয়রানি এড়াতে অনেকে নিজ জেলা ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। কেউ আত্মীয়ের বাসায় আশ্রিত, কেউ ভাড়া বাড়িতে লুকিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
গ্রামীণ অঞ্চলে যাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে, তারা
শহরে চলে এসেছেন। অনেকেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনের চাকরি করছেন, কেউ কেউ রিকশা বা ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ঢাকায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে মহানগর নেতারা দলের সংশ্লিষ্ট নেতারা জানান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারাই বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তারা বলেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটে। উত্তরা, শ্যামলী, মুগদা, বাড্ডা ও ডেমরা এলাকায় কয়েকজন ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতার বাসায় আগুন দেওয়ার ঘটনাও তখন ব্যাপক আলোচনায় আসে। তথ্য অনুযায়ী, ঐ সময় ঢাকায় অন্তত ৪২টি স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি বা অফিসে হামলার ঘটনা ঘটে। বিভাগীয় শহরগুলোতেও হামলা রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও
চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরগুলোতেও একই ধরণের হামলার খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের হালিশহরে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের বাসায় গত বছরের আগস্টের মাঝামাঝি অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খুলনায় জেলা মহিলা লীগের এক নেত্রীর বাড়িতে মব হামলার পর তার পরিবারকে আশ্রয় নিতে হয় যশোরে। ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার আমরা’ বাস্তুচ্যুত নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, এসব ঘটনায় তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা হরণ করা হয়েছে। তাদের ভাষায়, আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি চালানো হচ্ছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী রিহান সরদার বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্ট যে বাড়ি ছেড়েছি, এরপর আর ফিরতে পারিনি। কিন্তু আমরা থেমে নেই, অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলমান।” যশোরের
ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী নাঈমুর রহমান হৃদয় বলেন, “আমাদের শত শত কর্মী বাড়ি ছাড়া হয়ে আছি। অনেকে মানবেতর জীবন পার করছি। তবুও সংগঠন টিকে আছে।” ‘সংগঠনের কাজ বন্ধ নেই’ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি বলেন, “আমাদের কর্মীরা ভয় পায় না। এলাকা ছেড়ে গেলেও সংগঠনের কাজ বন্ধ রাখেনি কেউ। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েও সাংগঠনিক যোগাযোগ বজায় রাখছে তারা।” দলীয় সূত্র জানায়, বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী বাস্তুচ্যুত হলেও সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়েনি। বিভিন্ন জেলায় বিকল্প স্থান থেকে বৈঠক, যোগাযোগ ও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা। নিরাপত্তা বিশ্লেষক আমিনুল হকের বলেন, এত বিপুলসংখ্যক দলের নেতা-কর্মীর একযোগে বাস্তুচ্যুত হওয়া দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নজিরবিহীন একটি ঘটনা। বিপুল
সংখ্যক নেতাকর্মী ঘড়ছাড়া থাকলে দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিও হতে তৈরি পারে। এজন্য এসবের রাজনৈতিক সমাধান জরুরী।
শহরে চলে এসেছেন। অনেকেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বল্প বেতনের চাকরি করছেন, কেউ কেউ রিকশা বা ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ঢাকায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে মহানগর নেতারা দলের সংশ্লিষ্ট নেতারা জানান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারাই বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তারা বলেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাদের বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটে। উত্তরা, শ্যামলী, মুগদা, বাড্ডা ও ডেমরা এলাকায় কয়েকজন ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতার বাসায় আগুন দেওয়ার ঘটনাও তখন ব্যাপক আলোচনায় আসে। তথ্য অনুযায়ী, ঐ সময় ঢাকায় অন্তত ৪২টি স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি বা অফিসে হামলার ঘটনা ঘটে। বিভাগীয় শহরগুলোতেও হামলা রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও
চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরগুলোতেও একই ধরণের হামলার খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের হালিশহরে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের বাসায় গত বছরের আগস্টের মাঝামাঝি অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খুলনায় জেলা মহিলা লীগের এক নেত্রীর বাড়িতে মব হামলার পর তার পরিবারকে আশ্রয় নিতে হয় যশোরে। ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার আমরা’ বাস্তুচ্যুত নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, এসব ঘটনায় তাদের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা হরণ করা হয়েছে। তাদের ভাষায়, আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি চালানো হচ্ছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী রিহান সরদার বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্ট যে বাড়ি ছেড়েছি, এরপর আর ফিরতে পারিনি। কিন্তু আমরা থেমে নেই, অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলমান।” যশোরের
ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী নাঈমুর রহমান হৃদয় বলেন, “আমাদের শত শত কর্মী বাড়ি ছাড়া হয়ে আছি। অনেকে মানবেতর জীবন পার করছি। তবুও সংগঠন টিকে আছে।” ‘সংগঠনের কাজ বন্ধ নেই’ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি বলেন, “আমাদের কর্মীরা ভয় পায় না। এলাকা ছেড়ে গেলেও সংগঠনের কাজ বন্ধ রাখেনি কেউ। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েও সাংগঠনিক যোগাযোগ বজায় রাখছে তারা।” দলীয় সূত্র জানায়, বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী বাস্তুচ্যুত হলেও সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে পড়েনি। বিভিন্ন জেলায় বিকল্প স্থান থেকে বৈঠক, যোগাযোগ ও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা। নিরাপত্তা বিশ্লেষক আমিনুল হকের বলেন, এত বিপুলসংখ্যক দলের নেতা-কর্মীর একযোগে বাস্তুচ্যুত হওয়া দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নজিরবিহীন একটি ঘটনা। বিপুল
সংখ্যক নেতাকর্মী ঘড়ছাড়া থাকলে দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকিও হতে তৈরি পারে। এজন্য এসবের রাজনৈতিক সমাধান জরুরী।