ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বোর্নামাউথে বিধ্বস্ত আমোরিমের ম্যানইউ
যুদ্ধবিরতির দ্বারপ্রান্তে হামাস-ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন
দীর্ঘ ১২ বছর পর দামেস্কে কাজ শুরু করল তুরস্কের দূতাবাস
মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ইরানের ‘স্বপ্নভঙ্গ’, বিকল্প কী
সিরিয়ার ক্ষমতা দখলকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করল যুক্তরাষ্ট্র
হামাসের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ৭২ শতাংশ ইসরাইলি
আরজি কর ইস্যুতে তৃণমূল বিধায়কের পদত্যাগ, চাপের মুখে মমতা
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে হত্যা ও ধর্ষণের বিচার এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ। প্রায় মাসব্যাপী এই আন্দোলনে সাধারণ জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ করার মতো। আর এই আন্দোলনকে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
এবার বিচারের দাবিতে মমতা ব্যানার্জির দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য পদ ছাড়ার ঘোষণা দিলেন সাংসদ জহর সরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ২০২১ সালে রাজ্যসভার এমপি হয়েছিলেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।
এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। যেখানে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন শাসকদলের এই সংসদ।
রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, এই প্রথম শাসকদল তৃণমূলের কোনও সংসদ সদস্য পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। শুধু তাই নয়, রাজনীতি থেকেও
সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জহর। মমতাকে পাঠানো চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, ‘গত এক মাস ধৈর্য ধরে আমি আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি। ভেবেছি, সেই পুরোনো মমতা ব্যানার্জির মতো আপনি কেন ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যে সব শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে দেরি হয়ে গিয়েছে অনেক।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, আন্দোলনে পথে নামা মানুষরা অরাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। কাজেই রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা ঠিক হবে না। এরা কেউ রাজনীতি নয় বরং শুধু বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন।’ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দিনের পর দিন বাড়ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, সব জেনেও
মূল অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি করছেন না মমতা। জহর সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে এই অভিযোগ আরো দৃঢ় হচ্ছে। জহর সরকার চিঠিতে আরো লিখেছেন, ‘মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা সবাই দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালন। আমার এত বছরের জীবনে এমন ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা আগে কখনও দেখিনি।’
সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জহর। মমতাকে পাঠানো চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, ‘গত এক মাস ধৈর্য ধরে আমি আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি। ভেবেছি, সেই পুরোনো মমতা ব্যানার্জির মতো আপনি কেন ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যে সব শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাতে দেরি হয়ে গিয়েছে অনেক।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, আন্দোলনে পথে নামা মানুষরা অরাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। কাজেই রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা ঠিক হবে না। এরা কেউ রাজনীতি নয় বরং শুধু বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন।’ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দিনের পর দিন বাড়ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, সব জেনেও
মূল অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি করছেন না মমতা। জহর সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে এই অভিযোগ আরো দৃঢ় হচ্ছে। জহর সরকার চিঠিতে আরো লিখেছেন, ‘মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা সবাই দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালন। আমার এত বছরের জীবনে এমন ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা আগে কখনও দেখিনি।’