ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে সেনাসদরে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি, আইনি এখতিয়ার বহির্ভূত
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যেভাবে উপহাসে পরিনত হলো
যে আওয়ামীলীগ তোমরা দেখো নাই, চেনো না…
ইউনূস এবং শান্তির মূল্য
‘জ্যোতিই এখন সর্বেসর্বা’
সোনাদিয়া নিয়ে নতুন ভূরাজনীতি: রেয়ার অর্থ রিজার্ভের মিথ্যা প্রপাগাণ্ডার আড়ালে বিদেশীদের দখল দেওয়ার চক্রান্ত!
‘জুলাই সনদ’ কড়চা এবং অতঃপর …
আইন হয়নি, অথচ আইনের বিচার (!) কলঙ্কজনক অধ্যায়ের রচনা
বাংলাদেশে অনেক কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা, ৩রা নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড এবং তার হত্যার বিচার না করা, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষার্থে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি, রাষ্ট্রীয় মদদে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙা, ২০২৪ এর আগস্টে সংঘটিত পুলিশ হত্যাকাণ্ডের বিচার রোধে ইনডেমনিটি জারি করা, এগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়।
বর্তমানে নতুন যেই কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হচ্ছে, সেটি হলো আইন তৈরি না করেই আইনের বিচার। দেখুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই হত্যাকাণ্ড ও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কথিত গুম সংক্রান্ত অপরাধের বিচার চলছে। আগামী ১৭ই নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান বিচারের
রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, জুলাই হত্যাকাণ্ড ও গুম সংক্রান্ত অপরাধের বিচার করার জন্য কোন বিশেষ আইন কি প্রণয়ন করা হয়েছে? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ একটি বিশেষ আইন। গুমের অভিযোগে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিচার এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর আওতায় করা যাবে? মোটেই না। কারণ অত্র আইনে আলোচ্য বিষয়ে বিচার করণের কোনো বিধান লিপিবদ্ধ নাই। অথচ এই আইনে বিচারিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর পনের জন সদস্য বর্তমানে জেল হাজতে বন্দী আছেন এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার শুনানি ও ধারাবাহিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। কিন্তু,
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এর কোন ধারায়ই আলোচ্য অপরাধের অভিযোগে বিচারের বিধান উল্লেখ নাই এবং এই আইনের মর্মার্থও এতদ্ বিচারের পরিপন্থী। অত্র আইনে এই বিচার হতে পারে না, আইনের গতি এবং ব্যাখা সমর্থন করে না। তাছাড়া আইনটি সংশোধন করে জুলাই হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিচার করণের জন্য কোনো আইন প্রণয়ন করা হয়নি। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র সংসদের, বর্তমানে বাংলাদেশে সংসদ অকার্যকর। তাহলে প্রশ্ন হলো, বিচার চলছে কিভাবে? আইন হয়নি। অথচ বিচার চলছে! কিন্তু কীভাবে? আইনটি সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারী করা হয়েছে। অধ্যাদেশের আলোকে বিচার চলছে। এখন প্রশ্ন হলো, অধ্যাদেশ কি কোন আইন? মোটেই না। এটি আইনের ন্যায়, আইনের মতো, কিন্তু আইন নয়। এটি খন্ডকালীন
সময়ের জন্য নির্বাহী আদেশ। আইন এবং অধ্যাদেশের মধ্যে পার্থক্য দিবারাত্রির মতো। অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশে হত্যা ও গুম সংক্রান্ত অপরাধের বিচার হতে পারে না। কারণ নির্বাহী আদেশ বা অধ্যাদেশ আইনে পরিণত নাও হতে পারে। যদি নির্বাহী আদেশ বা অধ্যাদেশ আইনে পরিণত না হয়, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের পর অধ্যাদেশটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যদি অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত না হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের পর বিলুপ্ত হয়ে যায়, তাহলে এই বিচারকে জাতি কী বলবে? এজন্যই বলছি, এটি হচ্ছে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের রচনা। অধ্যাদেশ জারি করণ বিষয়ে সংবিধান কি বলছে? সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদে অধ্যাদেশ প্রণয়নের ক্ষমতার বিষয়টি বিধৃত হয়েছে। ৯৩(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায় অথবা
উহার অধিবেশনকাল ব্যতীত কোন সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে বলিয়া সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইলে তিনি উক্ত পরিস্থিতিতে যেরূপ প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করিবেন, সেইরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারী করিতে পারিবেন এবং জারী হইবার সময় হইতে অনুরূপভাবে প্রণীত অধ্যাদেশ সংসদের আইনের ন্যায় ক্ষমতাসম্পন্ন হইবে; ৯৩(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “এই অনুচ্ছেদের (১) দফার অধীন প্রণীত কোন অধ্যাদেশ জারী হইবার পর অনুষ্ঠিত সংসদের প্রথম বৈঠকে তাহা উপস্থাপিত হইবে এবং ইতঃপূর্বে বাতিল না হইয়া থাকিলে অধ্যাদেশটি অনুরূপভাবে উপস্থাপনের পর ত্রিশ দিন অতিবাহিত হইলে কিংবা অনুরূপ মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে তাহা অনুমোদন করিয়া সংসদে প্রস্তাব গৃহীত হইলে অধ্যাদেশটির কার্যকারতা লোপ পাইবে। অতএব সংবিধানে
উল্লিখিত ৯৩(২) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে ইহাই প্রতীয়মান হয় যে, যদিও অধ্যাদেশটি ৯৩(১) এর মতে আইনের ন্যায় ক্ষমতাসম্পন্ন, কিন্তু নির্দিষ্ট মেয়াদের, অর্থাৎ সংসদ অধিবেশন বসার ত্রিশ দিন পর্যন্ত এর মেয়াদ। সংসদ অধিবেশন বসার পূর্বেও বাতিল করা যেতে পারে। যদি সংসদ অধিবেশন বসার পূর্বে বাতিল না হয়ে থাকে তবে অধিবেশন বসার প্রথম ত্রিশ দিনের মধ্যে উত্থাপিত হইবে, যদি সংসদে পাস হয় তাহলে এটি পরিপূর্ণ আইনে পরিণত হবে। যদি পাস না হয় তাহলে এটি বাতিল বলে গণ্য হবে, আর যদি উত্থাপন না হয় তাহলেও বাতিল বলে গণ্য হবে। এমতাবস্থায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে অধ্যাদেশ জারী করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ সংশোধনকল্পে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার
পর পরবর্তী সংসদ যদি এটিকে অনুমোদন না করে, তাহলে কথিত বিচারটির পরিণতি কী হবে? এজন্য বলছি, অধ্যাদেশ দিয়ে খন্ডকালীন আইন দ্বারা হত্যা ও গুমের অপরাধের বিচারকরণ ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনাকরণ। বিচারটি প্রচলিত পেনাল কোডের আইনের আওতায় করা উচিত ছিল। তাছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যদি সখই হয়ে থাকে যে, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনেই বিচার করবে, তাহলে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সংসদের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করে বিচার করা সমীচীন হতো। কিন্তু, এখন যেটি হচ্ছে, এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। আইনের ন্যায় বা আইনের মতো, কিন্তু আইন নয়, এমন ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কথিত বিচার বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন কলঙ্কিত অধ্যায়ের রচনা। আশাকরি আমার যুক্তিগুলো সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে দেশের গৌরব অর্জনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে চলমান বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ হবে। গোলাম হোসেন, আইনজীবী ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, জুলাই হত্যাকাণ্ড ও গুম সংক্রান্ত অপরাধের বিচার করার জন্য কোন বিশেষ আইন কি প্রণয়ন করা হয়েছে? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ একটি বিশেষ আইন। গুমের অভিযোগে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিচার এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর আওতায় করা যাবে? মোটেই না। কারণ অত্র আইনে আলোচ্য বিষয়ে বিচার করণের কোনো বিধান লিপিবদ্ধ নাই। অথচ এই আইনে বিচারিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সেনাবাহিনীর পনের জন সদস্য বর্তমানে জেল হাজতে বন্দী আছেন এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার শুনানি ও ধারাবাহিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। কিন্তু,
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এর কোন ধারায়ই আলোচ্য অপরাধের অভিযোগে বিচারের বিধান উল্লেখ নাই এবং এই আইনের মর্মার্থও এতদ্ বিচারের পরিপন্থী। অত্র আইনে এই বিচার হতে পারে না, আইনের গতি এবং ব্যাখা সমর্থন করে না। তাছাড়া আইনটি সংশোধন করে জুলাই হত্যাকাণ্ড ও গুমের বিচার করণের জন্য কোনো আইন প্রণয়ন করা হয়নি। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র সংসদের, বর্তমানে বাংলাদেশে সংসদ অকার্যকর। তাহলে প্রশ্ন হলো, বিচার চলছে কিভাবে? আইন হয়নি। অথচ বিচার চলছে! কিন্তু কীভাবে? আইনটি সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারী করা হয়েছে। অধ্যাদেশের আলোকে বিচার চলছে। এখন প্রশ্ন হলো, অধ্যাদেশ কি কোন আইন? মোটেই না। এটি আইনের ন্যায়, আইনের মতো, কিন্তু আইন নয়। এটি খন্ডকালীন
সময়ের জন্য নির্বাহী আদেশ। আইন এবং অধ্যাদেশের মধ্যে পার্থক্য দিবারাত্রির মতো। অধ্যাদেশ বা নির্বাহী আদেশে হত্যা ও গুম সংক্রান্ত অপরাধের বিচার হতে পারে না। কারণ নির্বাহী আদেশ বা অধ্যাদেশ আইনে পরিণত নাও হতে পারে। যদি নির্বাহী আদেশ বা অধ্যাদেশ আইনে পরিণত না হয়, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের পর অধ্যাদেশটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যদি অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত না হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের পর বিলুপ্ত হয়ে যায়, তাহলে এই বিচারকে জাতি কী বলবে? এজন্যই বলছি, এটি হচ্ছে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়ের রচনা। অধ্যাদেশ জারি করণ বিষয়ে সংবিধান কি বলছে? সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদে অধ্যাদেশ প্রণয়নের ক্ষমতার বিষয়টি বিধৃত হয়েছে। ৯৩(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া অবস্থায় অথবা
উহার অধিবেশনকাল ব্যতীত কোন সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে বলিয়া সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইলে তিনি উক্ত পরিস্থিতিতে যেরূপ প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করিবেন, সেইরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারী করিতে পারিবেন এবং জারী হইবার সময় হইতে অনুরূপভাবে প্রণীত অধ্যাদেশ সংসদের আইনের ন্যায় ক্ষমতাসম্পন্ন হইবে; ৯৩(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “এই অনুচ্ছেদের (১) দফার অধীন প্রণীত কোন অধ্যাদেশ জারী হইবার পর অনুষ্ঠিত সংসদের প্রথম বৈঠকে তাহা উপস্থাপিত হইবে এবং ইতঃপূর্বে বাতিল না হইয়া থাকিলে অধ্যাদেশটি অনুরূপভাবে উপস্থাপনের পর ত্রিশ দিন অতিবাহিত হইলে কিংবা অনুরূপ মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে তাহা অনুমোদন করিয়া সংসদে প্রস্তাব গৃহীত হইলে অধ্যাদেশটির কার্যকারতা লোপ পাইবে। অতএব সংবিধানে
উল্লিখিত ৯৩(২) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে ইহাই প্রতীয়মান হয় যে, যদিও অধ্যাদেশটি ৯৩(১) এর মতে আইনের ন্যায় ক্ষমতাসম্পন্ন, কিন্তু নির্দিষ্ট মেয়াদের, অর্থাৎ সংসদ অধিবেশন বসার ত্রিশ দিন পর্যন্ত এর মেয়াদ। সংসদ অধিবেশন বসার পূর্বেও বাতিল করা যেতে পারে। যদি সংসদ অধিবেশন বসার পূর্বে বাতিল না হয়ে থাকে তবে অধিবেশন বসার প্রথম ত্রিশ দিনের মধ্যে উত্থাপিত হইবে, যদি সংসদে পাস হয় তাহলে এটি পরিপূর্ণ আইনে পরিণত হবে। যদি পাস না হয় তাহলে এটি বাতিল বলে গণ্য হবে, আর যদি উত্থাপন না হয় তাহলেও বাতিল বলে গণ্য হবে। এমতাবস্থায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের মাধ্যমে অধ্যাদেশ জারী করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ সংশোধনকল্পে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার
পর পরবর্তী সংসদ যদি এটিকে অনুমোদন না করে, তাহলে কথিত বিচারটির পরিণতি কী হবে? এজন্য বলছি, অধ্যাদেশ দিয়ে খন্ডকালীন আইন দ্বারা হত্যা ও গুমের অপরাধের বিচারকরণ ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনাকরণ। বিচারটি প্রচলিত পেনাল কোডের আইনের আওতায় করা উচিত ছিল। তাছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যদি সখই হয়ে থাকে যে, ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনেই বিচার করবে, তাহলে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সংসদের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন করে বিচার করা সমীচীন হতো। কিন্তু, এখন যেটি হচ্ছে, এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। আইনের ন্যায় বা আইনের মতো, কিন্তু আইন নয়, এমন ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কথিত বিচার বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন কলঙ্কিত অধ্যায়ের রচনা। আশাকরি আমার যুক্তিগুলো সকলের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে দেশের গৌরব অর্জনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে চলমান বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ হবে। গোলাম হোসেন, আইনজীবী ১৬ নভেম্বর, ২০২৫



