অ্যাভোকাডো মেংলিয়ানের অনন্য প্রতীক – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৭ জুন, ২০২৫
     ৫:০৫ অপরাহ্ণ

আরও খবর

বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যানের

দিল্লির লাল কেল্লায় বিস্ফোরণ: তদন্ত চলছে, সীমান্তে সতর্ক ভারতীয় বাহিনী

দিল্লি হামলাকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা মোদির, তদন্তে সন্ত্রাসবিরোধী আইন প্রয়োগ ভারতীয় পুলিশের

যে কোনো দেশের পারমাণবিক পরীক্ষা হলে রাশিয়া ‘সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে’: ল্যাভরভ

পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে আরেক বাংলাদেশী জঙ্গির মৃত্যু

বাংলাদেশকে ঘাঁটি করে ভারতে হামলার ছক হাফিজ সইদের, কাশ্মীরের নামে মহিলা আত্মঘাতী বাহিনী গড়ছে জৈশ

রাশিয়ার গচ্ছিত সম্পদ জব্দে বেলজিয়ামকে রাজি করাতে ব্যর্থ ইইউ, মস্কোর হুঁশিয়ারি জারি

অ্যাভোকাডো মেংলিয়ানের অনন্য প্রতীক

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ জুন, ২০২৫ | ৫:০৫ 54 ভিউ
কম চিনি, উচ্চ ফাইবার, ও অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো বিশ্বের অনেক দেশের মতো চীনেও বেশ জনপ্রিয়। তবে, অতীতে চীন অ্যাভোকাডোর চাহিদার প্রায় পুরোটাই বিদেশ আমদানি করতো। আজ, দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত ইউননান প্রদেশের পুএর শহরের মেংলিয়ান জেলা চীনের বৃহত্তম অ্যাভোকাডো উৎপাদন-ঘাঁটি! ‘মেলিয়ান’ শব্দটির অর্থ ‘সুন্দর জায়গা’। এখানে সংখ্যালঘু জাতির লোকসংখ্যা প্রায় ৮৬.৪ শতাংশ। এটি এমন একটি জেলা, যা ‘পাহাড়ী অঞ্চল, সীমান্ত ও জাতিগত গোষ্ঠী’-কে একীভূত করেছে এবং এখন এটি ‘চীনে অ্যাভোকাডোর আদি শহর’ নামে পরিচিত। ‘বিদেশী ফল’-কে ‘স্থানীয় বৈশিষ্ট্যময় খাবারে’ রূপান্তর করার জন্য মেংলিয়ান জেলা কী কী করেছে? জেলার প্রধান রাস্তাগুলোর মোড়ে, অ্যাভোকাডো গাছের নীচে ওয়া জাতির মেয়েদের হাস্যোজ্জ্বল পোস্টারগুলো মনোযোগ

আকর্ষণ করে। ফলের দোকান ও কৃষিপণ্যের বাজারে অ্যাভোকাডো একটি অপরিহার্য পণ্য। পাহাড়ে অ্যাভোকাডো গাছগুলো সবুজ ও ঘন, ডালপালা থেকে মুষ্টি আকারের ফল ঝুলছে এবং ফলচাষীরা বনের মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে...এমন চিত্র এ জেলার প্রতিদিনকার দৃশ্য। অ্যাভোকাডো মেংলিয়ানের অনন্য প্রতীক। বর্তমানে মেংলিয়ানে অ্যাভোকাডো রোপণ এলাকা ৮ সহস্রাধিক হেক্টর, যেখানে ১৭০০ হেক্টর জমিতে ফল ধরে। ২০২৪ সালে তাজা ফলের উৎপাদন ছিল ১৯.৫ হাজার টন। দারিদ্র্যবিমোচন ও গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের স্থানীয় প্রচেষ্টার একটি স্তম্ভ শিল্প হিসেবে, অ্যাভোকাডো শিল্প বর্তমানে জেলাটির ৪৫ হাজার মানুষকে এর আওতায় এনেছে। এটি হলো স্থায়ী জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। পুএরর ল্যুইন বায়োলজিক্যাল কোম্পানির অ্যাভোকাডো পিউরি প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টে, কর্মীরা সরঞ্জামগুলো ডিবাগ করেন। কোম্পানির

জেনারেল ম্যানেজার চাও শি মিন বলেন, এটি চীনের প্রথম এইচপিপি প্রযুক্তি ব্যবহৃত অ্যাভোকাডো পিউরি উত্পাদন লাইন। আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ার পর, এটি প্রতিবছর ৫০০০ টন ফলের পিউরি উত্পাদন করতে পারে। বর্তমান বাজারমূল্য অনুসারে, উত্পাদনমূল্য ২০০ মিলিয়ন থেকে ৩০ কোটি ইউয়ানে পৌঁছাতে পারে।বর্তমানে দেশীয় সরবরাহ-শিল্পের দ্রুত উন্নয়নের পাশাপাশি, আমদানি করা অ্যাভোকাডোর তুলনায় মেংলিয়ানের আরেকটি সুবিধা রয়েছে: পরিবহনের সময় কম। আমদানি করা ফলের সমুদ্র পরিবহনে এক মাসেরও বেশি সময় লাগে। তার তুলনায় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত থেকে পাঠানো অ্যাভোকাডো কয়েক দিনের মধ্যেই দেশের সমস্ত অঞ্চলে পৌঁছে যেতে পারে। মেংলিয়ান ২০২২ সাল থেকে ২ লাখেরও বেশি পর্যটককে গ্রহণ করেছে এবং ‘অ্যাভোকাডো উত্সবব’ও আয়োজন করেছে। বর্তমানে

মেংলিয়ানে বীজ থেকে শুরু করে খাবার-টেবিল পর্যন্ত, কৃষি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক পর্যটন পর্যন্ত, একটি সম্পূর্ণ অ্যাভোকাডো শিল্প শৃঙ্খল গড়ে উঠছে। পুত্রর ল্যুইন বায়োলজিক্যাল কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার ছি চিয়া চু মেংলিয়ানে প্রথম অ্যাভোকাডো গাছ রোপণ করেছিলেন। কোম্পানিটি দেশীয় উদ্যোগগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে বিশাল অ্যাভোকাডো রোপণ এলাকা ও উন্নত প্রজনন ও চারা প্রযুক্তি রয়েছে।বিদেশী বিশেষজ্ঞরা একবার এই মর্মে সিদ্ধান্তে আসেন যে, চীন অ্যাভোকাডো চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। ছি বলেন, ‘অনেকেই আমাকে চীনে অ্যাভোকাডো চাষের ধারণা ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করতাম যে, চীনে এমন একটি জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে যেখানে অ্যাভোকাডো চাষ করা যেতে পারে।’ ২০০৫ সাল থেকে দুই বছর

ধরে অনুসন্ধানের পর ইউননানকে বেছে নেন তিনি, যা অ্যাভোকাডো চাষের জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা। ২০০৭ সালে ছি বিদেশ থেকে বীজ আমদানি করেন এবং মেংলিয়ানে প্রায় ০.৭ হেক্টর জমিতে অ্যাভোকাডো রোপণ করেন। ৭ বছর পর ০.৭ হেক্টর জতিতে অ্যাভোকাডো ফসল হয়। ২০১৭ সালে ২০০ হেক্টর জমিতে একটি অ্যাভোকাডো কোর প্রদর্শনী ঘাঁটি নির্মাণ করেন তিনি। এ ছাড়াও, মেংলিয়ান জেলা সমবায় প্রতিষ্ঠা করে স্থানীয় কৃষকদেরকে আয় বৃদ্ধি করেছে। এখন পর্যন্ত এই শিল্পের আওতায় থাকা গ্রামগুলোর যৌথ অর্থনীতির বার্ষিক আয় ২ লাখ ইউয়ানেরও বেশি। ঘাঁটিতে প্রতিবছর ৩ সহস্রাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এখানকার কর্মীদের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১৫ হাজার ইউয়ান। সূত্র :ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া

গ্রুপ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশি এমপিদের ‘অধিকার লঙ্ঘন হওয়ায়’ আইপিইউয়ের উদ্বেগ লকডাউন কর্মসূচি সফল ও সার্থক করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিবৃতি উগ্রবাদী স্লোগানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দিল শিবির-ইনকিলাব মঞ্চ আওয়ামী লীগকে ফাঁসাতে মেট্রো রেলে সম্ভাব্য নাশকতার পরিকল্পনার গোপন তথ্য ফাঁস ঢাকা লকডাউন: গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের ভোগান্তি রামপুরা থানা যুবলীগের আহ্বায়ক রইজ উদ্দিন আটক – রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ যুবলীগের, ট্রাইব্যুনালকে ব্যবহার করে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের প্রতিবাদে ইউনুসের শাসনামলে গণতন্ত্রের নামে সহিংসতা! আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন, রাষ্ট্রের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন আটক স্কুলছাত্রের বিজয় চিহ্ন: ‘দাবায়া রাখতে পারবা না’ রাজপথের আওয়ামী লীগ অধিক শক্তিশালী ও জনপ্রিয় : রিচি সোলায়মান ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিতে ভীত ইউনুস সরকার: রাজধানীতে ধরপাকড়, গ্রেফতার আতঙ্কে সাধারণ মানুষ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শুনে আতঙ্কগ্রস্ত এনসিপির মিছিল লীগ আহূত লকডাউনে, পেছানো হলো জাপান অ্যাম্বাসির অনুষ্ঠান ইউনূসের ‘জঙ্গি শাসনের’ বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: শেখ হাসিনা পিটিআইকে শেখ হাসিনা: ‘আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাই, কিন্তু ইউনূস সরকারের সৎ সাহস নেই, তারা ভয় পাচ্ছে’ বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান ব্রিটিশ এমপি বব ব্ল্যাকম্যানের লকডাউন শুরুর আগেই বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির ষড়যন্ত্রে অটো সফল হচ্ছে লকডাউন “ইউনূসের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে”: দেশব্যাপী কর্মসূচির ডাক দিলেন শেখ হাসিনা ‘সরকার আর বেশিদিন টিকবে না’, সবাইকে ঢাকা অবরোধ পালনের আহ্বান সজীব ওয়াজেদের আগুনের ঘটনায় স্থায়ী বহিষ্কার ছাত্রদল নেতা