
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ইরান চায় “যুদ্ধবিরতি”; ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ্য “প্রকৃত সমাপ্তি”

জি-৭ নেতাদের ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ: শান্তির আহ্বান

তেহরানে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ

ইরান থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ভারত

ইরানের প্রতিক্রিয়া আত্মরক্ষামূলক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা

‘দ্বিতীয় চীন-মধ্য এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে’ যোগ দিতে আস্তানায় সি চিন পিং
অ্যাভোকাডো মেংলিয়ানের অনন্য প্রতীক

কম চিনি, উচ্চ ফাইবার, ও অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো বিশ্বের অনেক দেশের মতো চীনেও বেশ জনপ্রিয়। তবে, অতীতে চীন অ্যাভোকাডোর চাহিদার প্রায় পুরোটাই বিদেশ আমদানি করতো। আজ, দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত ইউননান প্রদেশের পুএর শহরের মেংলিয়ান জেলা চীনের বৃহত্তম অ্যাভোকাডো উৎপাদন-ঘাঁটি!
‘মেলিয়ান’ শব্দটির অর্থ ‘সুন্দর জায়গা’। এখানে সংখ্যালঘু জাতির লোকসংখ্যা প্রায় ৮৬.৪ শতাংশ। এটি এমন একটি জেলা, যা ‘পাহাড়ী অঞ্চল, সীমান্ত ও জাতিগত গোষ্ঠী’-কে একীভূত করেছে এবং এখন এটি ‘চীনে অ্যাভোকাডোর আদি শহর’ নামে পরিচিত। ‘বিদেশী ফল’-কে ‘স্থানীয় বৈশিষ্ট্যময় খাবারে’ রূপান্তর করার জন্য মেংলিয়ান জেলা কী কী করেছে?
জেলার প্রধান রাস্তাগুলোর মোড়ে, অ্যাভোকাডো গাছের নীচে ওয়া জাতির মেয়েদের হাস্যোজ্জ্বল পোস্টারগুলো মনোযোগ
আকর্ষণ করে। ফলের দোকান ও কৃষিপণ্যের বাজারে অ্যাভোকাডো একটি অপরিহার্য পণ্য। পাহাড়ে অ্যাভোকাডো গাছগুলো সবুজ ও ঘন, ডালপালা থেকে মুষ্টি আকারের ফল ঝুলছে এবং ফলচাষীরা বনের মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে...এমন চিত্র এ জেলার প্রতিদিনকার দৃশ্য। অ্যাভোকাডো মেংলিয়ানের অনন্য প্রতীক। বর্তমানে মেংলিয়ানে অ্যাভোকাডো রোপণ এলাকা ৮ সহস্রাধিক হেক্টর, যেখানে ১৭০০ হেক্টর জমিতে ফল ধরে। ২০২৪ সালে তাজা ফলের উৎপাদন ছিল ১৯.৫ হাজার টন। দারিদ্র্যবিমোচন ও গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের স্থানীয় প্রচেষ্টার একটি স্তম্ভ শিল্প হিসেবে, অ্যাভোকাডো শিল্প বর্তমানে জেলাটির ৪৫ হাজার মানুষকে এর আওতায় এনেছে। এটি হলো স্থায়ী জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। পুএরর ল্যুইন বায়োলজিক্যাল কোম্পানির অ্যাভোকাডো পিউরি প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টে, কর্মীরা সরঞ্জামগুলো ডিবাগ করেন। কোম্পানির
জেনারেল ম্যানেজার চাও শি মিন বলেন, এটি চীনের প্রথম এইচপিপি প্রযুক্তি ব্যবহৃত অ্যাভোকাডো পিউরি উত্পাদন লাইন। আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ার পর, এটি প্রতিবছর ৫০০০ টন ফলের পিউরি উত্পাদন করতে পারে। বর্তমান বাজারমূল্য অনুসারে, উত্পাদনমূল্য ২০০ মিলিয়ন থেকে ৩০ কোটি ইউয়ানে পৌঁছাতে পারে।বর্তমানে দেশীয় সরবরাহ-শিল্পের দ্রুত উন্নয়নের পাশাপাশি, আমদানি করা অ্যাভোকাডোর তুলনায় মেংলিয়ানের আরেকটি সুবিধা রয়েছে: পরিবহনের সময় কম। আমদানি করা ফলের সমুদ্র পরিবহনে এক মাসেরও বেশি সময় লাগে। তার তুলনায় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত থেকে পাঠানো অ্যাভোকাডো কয়েক দিনের মধ্যেই দেশের সমস্ত অঞ্চলে পৌঁছে যেতে পারে। মেংলিয়ান ২০২২ সাল থেকে ২ লাখেরও বেশি পর্যটককে গ্রহণ করেছে এবং ‘অ্যাভোকাডো উত্সবব’ও আয়োজন করেছে। বর্তমানে
মেংলিয়ানে বীজ থেকে শুরু করে খাবার-টেবিল পর্যন্ত, কৃষি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক পর্যটন পর্যন্ত, একটি সম্পূর্ণ অ্যাভোকাডো শিল্প শৃঙ্খল গড়ে উঠছে। পুত্রর ল্যুইন বায়োলজিক্যাল কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার ছি চিয়া চু মেংলিয়ানে প্রথম অ্যাভোকাডো গাছ রোপণ করেছিলেন। কোম্পানিটি দেশীয় উদ্যোগগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে বিশাল অ্যাভোকাডো রোপণ এলাকা ও উন্নত প্রজনন ও চারা প্রযুক্তি রয়েছে।বিদেশী বিশেষজ্ঞরা একবার এই মর্মে সিদ্ধান্তে আসেন যে, চীন অ্যাভোকাডো চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। ছি বলেন, ‘অনেকেই আমাকে চীনে অ্যাভোকাডো চাষের ধারণা ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করতাম যে, চীনে এমন একটি জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে যেখানে অ্যাভোকাডো চাষ করা যেতে পারে।’ ২০০৫ সাল থেকে দুই বছর
ধরে অনুসন্ধানের পর ইউননানকে বেছে নেন তিনি, যা অ্যাভোকাডো চাষের জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা। ২০০৭ সালে ছি বিদেশ থেকে বীজ আমদানি করেন এবং মেংলিয়ানে প্রায় ০.৭ হেক্টর জমিতে অ্যাভোকাডো রোপণ করেন। ৭ বছর পর ০.৭ হেক্টর জতিতে অ্যাভোকাডো ফসল হয়। ২০১৭ সালে ২০০ হেক্টর জমিতে একটি অ্যাভোকাডো কোর প্রদর্শনী ঘাঁটি নির্মাণ করেন তিনি। এ ছাড়াও, মেংলিয়ান জেলা সমবায় প্রতিষ্ঠা করে স্থানীয় কৃষকদেরকে আয় বৃদ্ধি করেছে। এখন পর্যন্ত এই শিল্পের আওতায় থাকা গ্রামগুলোর যৌথ অর্থনীতির বার্ষিক আয় ২ লাখ ইউয়ানেরও বেশি। ঘাঁটিতে প্রতিবছর ৩ সহস্রাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এখানকার কর্মীদের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১৫ হাজার ইউয়ান। সূত্র :ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া
গ্রুপ।
আকর্ষণ করে। ফলের দোকান ও কৃষিপণ্যের বাজারে অ্যাভোকাডো একটি অপরিহার্য পণ্য। পাহাড়ে অ্যাভোকাডো গাছগুলো সবুজ ও ঘন, ডালপালা থেকে মুষ্টি আকারের ফল ঝুলছে এবং ফলচাষীরা বনের মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে...এমন চিত্র এ জেলার প্রতিদিনকার দৃশ্য। অ্যাভোকাডো মেংলিয়ানের অনন্য প্রতীক। বর্তমানে মেংলিয়ানে অ্যাভোকাডো রোপণ এলাকা ৮ সহস্রাধিক হেক্টর, যেখানে ১৭০০ হেক্টর জমিতে ফল ধরে। ২০২৪ সালে তাজা ফলের উৎপাদন ছিল ১৯.৫ হাজার টন। দারিদ্র্যবিমোচন ও গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের স্থানীয় প্রচেষ্টার একটি স্তম্ভ শিল্প হিসেবে, অ্যাভোকাডো শিল্প বর্তমানে জেলাটির ৪৫ হাজার মানুষকে এর আওতায় এনেছে। এটি হলো স্থায়ী জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। পুএরর ল্যুইন বায়োলজিক্যাল কোম্পানির অ্যাভোকাডো পিউরি প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টে, কর্মীরা সরঞ্জামগুলো ডিবাগ করেন। কোম্পানির
জেনারেল ম্যানেজার চাও শি মিন বলেন, এটি চীনের প্রথম এইচপিপি প্রযুক্তি ব্যবহৃত অ্যাভোকাডো পিউরি উত্পাদন লাইন। আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ার পর, এটি প্রতিবছর ৫০০০ টন ফলের পিউরি উত্পাদন করতে পারে। বর্তমান বাজারমূল্য অনুসারে, উত্পাদনমূল্য ২০০ মিলিয়ন থেকে ৩০ কোটি ইউয়ানে পৌঁছাতে পারে।বর্তমানে দেশীয় সরবরাহ-শিল্পের দ্রুত উন্নয়নের পাশাপাশি, আমদানি করা অ্যাভোকাডোর তুলনায় মেংলিয়ানের আরেকটি সুবিধা রয়েছে: পরিবহনের সময় কম। আমদানি করা ফলের সমুদ্র পরিবহনে এক মাসেরও বেশি সময় লাগে। তার তুলনায় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত থেকে পাঠানো অ্যাভোকাডো কয়েক দিনের মধ্যেই দেশের সমস্ত অঞ্চলে পৌঁছে যেতে পারে। মেংলিয়ান ২০২২ সাল থেকে ২ লাখেরও বেশি পর্যটককে গ্রহণ করেছে এবং ‘অ্যাভোকাডো উত্সবব’ও আয়োজন করেছে। বর্তমানে
মেংলিয়ানে বীজ থেকে শুরু করে খাবার-টেবিল পর্যন্ত, কৃষি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক পর্যটন পর্যন্ত, একটি সম্পূর্ণ অ্যাভোকাডো শিল্প শৃঙ্খল গড়ে উঠছে। পুত্রর ল্যুইন বায়োলজিক্যাল কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার ছি চিয়া চু মেংলিয়ানে প্রথম অ্যাভোকাডো গাছ রোপণ করেছিলেন। কোম্পানিটি দেশীয় উদ্যোগগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে বিশাল অ্যাভোকাডো রোপণ এলাকা ও উন্নত প্রজনন ও চারা প্রযুক্তি রয়েছে।বিদেশী বিশেষজ্ঞরা একবার এই মর্মে সিদ্ধান্তে আসেন যে, চীন অ্যাভোকাডো চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। ছি বলেন, ‘অনেকেই আমাকে চীনে অ্যাভোকাডো চাষের ধারণা ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি বিশ্বাস করতাম যে, চীনে এমন একটি জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবে যেখানে অ্যাভোকাডো চাষ করা যেতে পারে।’ ২০০৫ সাল থেকে দুই বছর
ধরে অনুসন্ধানের পর ইউননানকে বেছে নেন তিনি, যা অ্যাভোকাডো চাষের জন্য উপযুক্ত একটি জায়গা। ২০০৭ সালে ছি বিদেশ থেকে বীজ আমদানি করেন এবং মেংলিয়ানে প্রায় ০.৭ হেক্টর জমিতে অ্যাভোকাডো রোপণ করেন। ৭ বছর পর ০.৭ হেক্টর জতিতে অ্যাভোকাডো ফসল হয়। ২০১৭ সালে ২০০ হেক্টর জমিতে একটি অ্যাভোকাডো কোর প্রদর্শনী ঘাঁটি নির্মাণ করেন তিনি। এ ছাড়াও, মেংলিয়ান জেলা সমবায় প্রতিষ্ঠা করে স্থানীয় কৃষকদেরকে আয় বৃদ্ধি করেছে। এখন পর্যন্ত এই শিল্পের আওতায় থাকা গ্রামগুলোর যৌথ অর্থনীতির বার্ষিক আয় ২ লাখ ইউয়ানেরও বেশি। ঘাঁটিতে প্রতিবছর ৩ সহস্রাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এখানকার কর্মীদের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ১৫ হাজার ইউয়ান। সূত্র :ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া
গ্রুপ।