বদলে যাওয়া বাংলাদেশের পাকিস্তান জয় – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
     ৩:৪৭ অপরাহ্ণ

বদলে যাওয়া বাংলাদেশের পাকিস্তান জয়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৩:৪৭ 171 ভিউ
ইতিহাস যখন ভবিষ্যৎ হয়ে ওঠে, তখন রুদ্ধ হয় যাত্রাপথের আনন্দগান। নদী তার উচ্ছল পার্বত্যপ্রবাহ পেরিয়ে খুঁজে পায় না বাঁক। তাই অনুবর্তন নয়, পরিবর্তনেই থাকে ইতিহাস হয়ে ওঠার সম্ভাবনা। তেমনি এক ইতিহাস রচিত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। চব্বিশ বছরের অপেক্ষার পর যা কখনোই হয়নি, সেই পাকিস্তানের বিপক্ষেই টেস্ট সিরিজ জয়ের মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন মুশফিকুর রহিমরা; বাবর আজমদের তাদেরই মাটিতে ২-০-তে হোয়াইটওয়াশের বিস্ময় উপহার দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজরা। রাগে, অভিমানে, লোক দেখানো চমকদারিতায় কখনও কখনও এই ক্রিকেটারদের দূরে ঠেলে দিলেও সমর্থকদের কিন্তু বারবার ফিরে আসতে হয়েছে সলজ্জ হেসেই। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই টেস্টেই যে এতটা দাপট দেখিয়ে পাকিস্তানকে হারানো যাবে, তা কি সিরিজ শুরুর আগেও কেউ

ভেবেছিলেন? এমনকি গতকাল টেস্টের শেষ দিন যেখানে বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল, জয়ের জন্য ১৪৩ রানের প্রয়োজন ছিল– তখনও কি কেউ ভেবেছিল, পিন্ডির আকাশে মেঘের মেলায় বিশেষ অতিথি হয়ে ধরা দেবে রোদ্দুর? হয়তো প্রকৃতিও চেয়েছিল নাজমুল হাসান শান্তদের এই ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের সাক্ষী থাকতে। আর সে জন্যই বোধ হয় ৪ উইকেটে ১৮৫ রান তুলতে কোনো অস্বস্তিই কাজ করেনি। ৬ উইকেটের এই জয়কে ‘বাংলাওয়াশ’ বলে ধারাভাষ্যকার যেন মনে করিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন, কেন এই সিরিজ জয়ের মাহাত্ম্য আর সবকিছুর চেয়েও আলাদা। এ নিয়ে বিদেশর মাটিতে তিনবার টেস্ট সিরিজে জয়ের স্বাদ পেয়েছে লাল-সবুজের দল। জিম্বাবুয়ে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর অতীত গৌরব থাকলেও এবারই প্রথম পাকিস্তান-বধ।

২০০৯ সালে দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে হোয়াইটওয়াশ করানোটা যদি সাকিব-মুশফিক প্রজন্মের শুরুর সাফল্য হয়, তাহলে গতকাল পাকিস্তানের মাটিতে এই ধবলধোলাইটা ছিল সেই পরীক্ষিত প্রজন্মের পরিণত এক কীর্তি। গতকাল সেই জুটিই কিনা ক্রিজ থেকে জয় নিশ্চিত করল। শান মাসুদ, বাবর আজম, রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, খুররাম মঞ্জুর, আবরার– পাকিস্তানের পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই এই সিরিজ খেলতে নেমেছিল তাদেরই মাঠে। সেখানে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে হারার পর সাড়ে তিন দিনের দ্বিতীয় টেস্টও হার। ইতিহাস বলছে, ঘরের মাঠে পাকিস্তান কেবল দুবারই হোয়াইটওয়াশ হয়েছে, যার একটি ইংল্যান্ডের সঙ্গে বছর দুই আগে আর দ্বিতীয়তটি গতকাল বাংলাদেশের কাছে। স্থান, কাল আর প্রতিপক্ষের

শক্তির বিচারে এই সিরিজ জয়ই বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা। ১৪৪ টেস্ট খেলে মুশফিকরা যে ২১টি জয় পেয়েছেন, তার মধ্যে ১২টিই এসেছে হয় র‍্যাঙ্কিংয়ের নিচু সারির দলের সঙ্গে, নয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো খর্বশক্তির দলের বিপক্ষে। বাকি ৯টি জয় এসেছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের সঙ্গে। এই জয়গুলোর মূল্যমান মাপলেও পিন্ডির দুই টেস্টকে সামনের দিকেই রাখতে হবে। এত বড় অর্জনের পর পুরস্কার মঞ্চে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে যেন ভাষা হারিয়ে ফেলছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, ‘এটি অনেক বড় কিছু। ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’ উচ্ছ্বসিত শান্ত এরপরই বদলে যাওয়া দলটির কিছু বিশেষত্ব সংক্ষেপে তুলে ধরেন, ‘আমরা এখানে জয়ের উদ্দেশ্যে এসেছিলাম। খুব

ভালো লাগছে, প্রত্যেকেই নিজের কাজগুলো ঠিকমতো করতে পেরেছেন। আমাদের পেসাররা তাদের কাজের নীতিতে দুর্দান্ত ছিলেন। সে জন্যই আমরা এমন ফলাফল করতে পেরেছি। সবাই নিজের জায়গায় সৎ ছিলেন এবং জিততে চাচ্ছিলেন। আমি আশা করব, এই ইচ্ছাটা সামনেও অব্যাহত থাকবে।’ প্রথম টেস্টে মুশফিকের সেই ১৯১ রানের ইনিংস, মিরাজের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ১৯৬ রানের রেকর্ড জুটি ধৈর্য আর আত্মবিশ্বাসের সাক্ষী ছিল। দ্বিতীয় টেস্টেও যখন ২৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায়, তখন লিটন আর মিরাজের ১৬৫ রানের জুটি দলকে আস্থা দিয়েছিল। ১৩৮ রানের ইনিংসটি লিটনকে এই টেস্টের সেরার পুরস্কার দিয়েছে আর সিরিজসেরার পুরস্কার নিশ্চিতভাবেই গিয়েছে মিরাজের হাতে। তবে পুরস্কারের চেক না পেয়েও যারা এই

টেস্টে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন, তাদের দু’জন অবশ্যই পেসার নাহিদ রানা আর হাসান মাহমুদ। রেকর্ড বলছে, টেস্টে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে বাংলাদেশের পেসাররা ১০ উইকেট শিকার করেছেন। রাওয়ালপিন্ডিতে নাহিদ রানার ঘণ্টায় ১৪৯.৪ কিলোমিটার গতিতে বোলিং, যা দেখে আমির সোহেলের মতো পাকিস্তানের সাবেকরা অবাক হয়ে গেছেন। ম্যাচের ৭৩ শতাংশ বোলিং ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন নাহিদ। অন্যদিকে সুইংয়ের কৌশলে ম্যাচের পাঁচ উইকেট দখল করেছেন হাসান মাহমুদ। পিন্ডিতে বাংলাদেশি পেসারদের এই আগুনে বোলিংয়ে রীতিমতো অপ্রত্যাশিত ছিল পাকিস্তানিদের কাছে। প্রচণ্ড হতাশ ছিল তারা, যা কিনা ম্যাচের পর অস্বীকার করেননি পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ, ‘আমরা ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে পারেনি। দুটি টেস্টে আমরা দুটি

সুযোগ পেয়েছিলাম বাংলাদেশকে অলআউট করতে; কিন্তু আমরা তা পারিনি।’ ভেঙে পড়া এক নাবিকের মতো দেখাচ্ছিল শান মাসুদকে। অন্যদিকে বাংলাদেশিদের মধ্যেও উচ্ছ্বাস পরিমিত। কেননা পাকিস্তান জয়ের পর সামনে এবার ভারত। দুই টেস্ট আর তিন টি২০ খেলতে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত যাবেন শান্তরা। ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে সেখানে প্রথম টেস্ট শুরু। সেখানে লক্ষ্য এবার ভারত-বধ মিশন ‘বাংলাওয়াশ’।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
স্বস্তির রাষ্ট্র থেকে অস্থিরতার বাংলাদেশ,এক ব্যর্থ শাসনের নির্মম বাস্তবতা লাশের রাজনীতি, পরিকল্পিত সন্ত্রাসঃ ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত রূপ কপালে আঘাতের দগদগে চিহ্ন দিচ্ছে খুনের সাক্ষ্য: আশিকুরের মৃত্যু ‘স্বাভাবিক’ নয়, ‘রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড’ এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ২০ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে জিন্নাহ উৎসব: স্বাধীনতাবিরোধীদের নতুন বার্তা ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদি মৃত্যুর পর কাল্টে পরিণত, সরকার তার আদর্শ উদ্‌যাপন করছে’: ভারতীয় গণমাধ্যম ‘একাত্তরের পাক-হানাদার ও আল-শামস বাহিনীর কায়দায়’ মধ্যরাতে মহেশখালীতে রাখাইন পাড়া থেকে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার’ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের চরম অবনতি: যুক্তরাষ্ট্রের পিছুটান ও ভারতীয় হাই কমিশনারকে তলব ভারতের সাথে বৈরিতা এখনই বন্ধ করুন: ঢাকাকে রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি ‘আপনারাই হাদিকে হত্যা করিয়েছেন, এখন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন’: অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ওমর বিন হাদি বাংলাদেশের দায়িত্বহীনতায় বিপন্ন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে রুশ রাষ্ট্রদূতের কড়া সতর্কবার্তা যে দেশে একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, সেখানে এখন পাকিস্তানের পতাকা কীভাবে ওড়ে? উগ্রপন্থী ওসমান হাদির কফিনে পতাকা থাকলেও ছিল না সুদানে নিহত সেনাদের কফিনে নজরুল-জয়নুল-কামরুল বনাম ছাপড়ি টোকাই হাদি: এ লজ্জা কোথায় রাখি! প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে মার্কিন পরিকল্পনায় নির্বাচন বানচালের দ্বারপ্রান্তে জামায়াত আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে আমরা রিকশাওয়ালারাও নামবো” — রিকশাচালক যারা লুটপাট, হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা, নির্যাতন করে, নারীদের ধর্ষণ করে তারা কি বেহেশতে যাবে?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা ভোট আওয়ামী লীগকেই দিবো, আর কাকে দিবো? শেখ হাসিনাকে আবারো চাই” –জনমত হাদির হত্যাকারী ভারতের পালিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। অবৈধ সরকারের উপদেষ্টা, সমন্বয়ক,রাতারাতি তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে কোটিপতি হয়ে গেছে