নিমসার বাজার থেকে শতকোটি টাকার খাজনা লুট – ইউ এস বাংলা নিউজ




নিমসার বাজার থেকে শতকোটি টাকার খাজনা লুট

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:১৩ 87 ভিউ
কুমিল্লার যুবলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন। একসময় বাজারে বাজারে ২০০ টাকা বেতনে খাজনা তুলতেন। তিনিই এখন অঢেল সম্পদের মালিক। শুধু নিমসার বাজার এক যুগ দখলে রেখেই প্রায় শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বাজারের ইজারায় শেয়ার দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় ৭-৮ জনের কাছ থেকেও নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। পরে তা আর ফেরত দেননি। এছাড়া অনেকের জমি দখল করে গড়েছেন পর্যটনকেন্দ্র ও মাছের খামার। নিজ গ্রামে দুই স্ত্রীর জন্য বানিয়েছেন দুটি বিলাসবহুল বাড়ি। মামুন ময়নামতীর আকাবপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি ময়নামতী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা

হয়। জানা যায়, ২০১২ সালে কুমিল্লার নিমসার কাঁচাবাজার ইজারার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে মামুন দলবল নিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকেন। বাজারের ইজারামূল্য ১ কোটি টাকা হলেও মামুন হাঁকান ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা। ফলে তিনিই ইজারা পেয়ে যান। কিন্তু পরে মাত্র কয়েক লাখ টাকা দিয়ে বাকি টাকা ঝুলিয়ে রাখেন। প্রশাসনের কাছে বাকি টাকা পরিশোধের জন্য বারবার সময় চান। এভাবে কোটি টাকার বাজার দখলে নেন তিনি। প্রতিদিন মামুন নিমসার কাঁচাবাজার থেকে তার লোকজনের মাধ্যমে খাজনা বাবদ আদায় করতেন ২ লাখ টাকা, যা মাসে দাঁড়ায় ৬০ লাখ টাকা। বছরে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। ২০১২ সাল থেকে বাজারটি দখলে নিয়ে খাজনা তুলছেন মামুন। ১২

বছরে বাজারটি থেকে হাতিয়ে নেন প্রায় শতকোটি টাকা। এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান, আবদুল্লাহ আল মামুন এখনো ইজারার টাকা পরিশোধ করেননি। ইজারার পুরো টাকা জমা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ২০১৫ সালে মামলা হয়েছে। সেই মামলা এখনো চলমান। জানা যায়, মামুন নিমসার বাজার ইজারা নিয়ে শেয়ার দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় অনেকের কাছ থেকে টাকাও ধার নিয়েছেন। কিন্তু তাদের শেয়ার বা লভ্যাংশ দেওয়া তো দূরের কথা, তাদের আসল টাকাই আর ফেরত দেননি। ময়নামতী ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের অ্যাডভোকেট মাহাবুবের কাছ থেকে নিয়েছেন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আকাবপুর গ্রামের আবদুল হালিমের কাছ থেকে নিয়েছেন সাড়ে ১০ লাখ টাকা। একই এলাকার

পাগড়ি সবুজের কাছ থেকে ৪০ লাখ, কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ৫০ লাখ এবং হোটেল মালিক তাজুল ইসলাম বাশুরীর কাছ থেকে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। শংকরপুরের মতিন মেম্বারের কাছ থেকে ২০ লাখ, বারাইর গ্রামের মনির হোসেনের কাছ থেকে ৫০ লাখ এবং তাজুল ইসলামের কাছ থেকে নিয়েছেন ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
চলতি সপ্তাহে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস এখনো ভারতকে নিজেদের আকাশসীমায় ঢুকতে দিচ্ছে না পাকিস্তান স্যারের ছবির নায়িকা হওয়া আমার জীবনে অনেক বড় পাওয়া : মিম পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৭১, আরও বর্ষণের পূর্বাভাস এবার বলিউডে বড় চমক দিতে চলেছেন শ্রীলীলা বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর আবিষ্কারের পথে প্লাস্টিকের বিকল্প “বৃটেনের কার্ডিফ শাহ্‌ জালাল মসজিদ এন্ড ইসলামিক কালচারেল সেন্টারের নতুন কমিটি গঠন ক্যালিফোর্নিয়ার গাঁজা খামারে অভিবাসন অভিযানে মৃত্যু ১, গ্রেপ্তার ২০০ যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিন কার্ডধারীরা আইন লঙ্ঘন করলে বৈধতা বাতিল এক সপ্তাহে ঢাকা স্টকের মূলধন বেড়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা শ্রদ্ধা–ভালোবাসায় হুমায়ূন আহমেদের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন পাকিস্তানের পাঞ্জাবে প্রবল বৃষ্টিপাত, দুই দিনে ৭১ জনের মৃত্যু গোপালগঞ্জে কারফিউ বাড়ল রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়: ট্রাম্প শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কলাপাড়ায় ইউএনওর পুকুরে মিলল জীবন্ত ইলিশ যেভাবে প্রশ্ন করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপে! আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল গোপালগঞ্জের কারফিউ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৪১ প্রাণহানি