দুর্নীতি-দখলে শত কোটি টাকার মালিক মাকসুদ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৬ মার্চ, ২০২৫
     ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

দুর্নীতি-দখলে শত কোটি টাকার মালিক মাকসুদ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৪৩ 108 ভিউ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের আশীর্বাদে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিগত ১৬ বছরে চেয়ারম্যান মাকসুদ ও তার ছেলে মাহমুদুল হাসান শুভ ছিল তিন ইউনিয়নবাসীর আতঙ্ক। পিতা-পুত্রের সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজির কাছে মুসাপুর ইউনিয়ন, পার্শ্ববর্তী ধামঘর ও মদনপুর ইউনিয়নের মানুষ ছিল জিম্মি। মাকসুদ হোসেনের বাবা হাজী রফিক ছিলেন বন্দরের কুখ্যাত রাজাকার। মাকসুদ নিজে উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়ে ছেলেকে বানাতে চেয়েছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। ছেলে শুভ সেভাবে এলাকায় প্রচার-প্রচারণাও চালায়। ওসমান পরিবারের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ইউনিয়ন জুড়ে। ড্রেজার লাগিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশের মাটি কেটে বিক্রি,

বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, কেউ জায়গা ক্রয়-বিক্রি করলে চাঁদা আদায়, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বালু ভরাট, ঠিকাদারি, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওয়েস্টেজ ব্যবসা, জমি দখল, মাদক ব্যবসাসহ সব কিছুই ছিল চেয়ারম্যান মাকসুদ ও তার ছেলে শুভর নিয়ন্ত্রণে। কেউ তাদের কথা না শুনলে তাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে বিচারের নামে করা হতো নির্যাতন। চেয়ারম্যান মাকসুদ এমপি সেলিম ওসমানের আশীর্বাদে ভোট কেন্দ্র দখল করে বার বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে পুরো এলাকাজুড়ে দুর্নীতি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তার বিরুদ্ধে দুনীতি দমন কমিশনে একাধিক অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সহযোগিতায় ২০১২ সালে উপ-নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল করে প্রথম মুসাপুর

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হন মাকসুদ। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সেলিম ওসামনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বার, ২০২১ সালে তৃতীয়বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান ও তার ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে এখনো তটস্থ এলাকার সাধারণ মানুষ। ভয়ে কেউ তার অপকর্মের কথা বলতে চায় না। স্থানীয়দের দাবি, বর্তমানে মাকসুদ জেলে বন্দি আছে, কিন্তু তার বাহিনীর সদস্যরা বাইরে প্রতিনিয়ত মহড়া দিচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মুখ খুললে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে শায়েস্তা করবে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত সরকারের সময়ে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার ভাই সেলিম ওসমানের সমর্থন থাকায় মাকসুদ ও তার ছেলে শুভ পুরো এলাকাবাসীকে জিম্মি করে। তার বিশাল ক্যাডার বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছে মাকসুদ

হোসেনের ভাতিজা সম্রাট হোসেন, অন্তর, ভাগিনা মোহন, প্রনয়, নিলয়, বিল্লাল হোসেন, সালাউদ্দিনসহ আরও অনেকে। এই বাহিনীর সদস্যরা বিগত সময়ের মতো এখনো নিয়ন্ত্রণ করছে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, বালু ভরাট, জমিজমা বেচেকেনার দালালি, ব্রহ্মপুত্র নদে চলাচলরত বাল্ক হেডে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম। সবশেষ ২০২৪ সালের থার্টিফার্স্ট নাইটে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে শুভ। ২০২৪ সালে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন মাকসুদ। এই নির্বাচন নিয়ে সেলিম ওসমানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ৫ আগস্টের পর শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান আত্মগাপনে চলে যান। আর এই সুযোগে মাকসুদ রাতারাতি নিজেকে বিএনপি-জামায়াতের কর্মী হিসাবে জাহির করে এলাকা

দাবড়ে বেড়ান। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় মাকসুদ ও তার ছেলে শুভসহ ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মাকসুদ হোসেনের নেতৃত্বে মুজিবুবর রহমানের বাড়ি, তার নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের বাড়ি, ব্যবসায়ী ওসমান গনি ভূঁইয়ার বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, আমিনুল ইসলামের বাড়ি, আব্দুল হকের বাড়িসহ বিভিন্ন মানুষের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালান মাকসুদ। নিরীহ ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে টাকা আদায় করেন। যৌথবাহিনী গত ৪ মার্চ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদকে গ্রেফতার করে। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায়

কোনো মামলা নেই। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যার চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে এবং যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। এই দুটি মামলায় মাকসুদ বর্তমানে কারাগারে বন্দি আছেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যে দেশে একাত্তরে তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হলো, সেখানে এখন পাকিস্তানের পতাকা কীভাবে ওড়ে? উগ্রপন্থী ওসমান হাদির কফিনে পতাকা থাকলেও ছিল না সুদানে নিহত সেনাদের কফিনে নজরুল-জয়নুল-কামরুল বনাম ছাপড়ি টোকাই হাদি: এ লজ্জা কোথায় রাখি! প্রেস সচিব শফিকের উস্কানিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চরম সংকটে মার্কিন পরিকল্পনায় নির্বাচন বানচালের দ্বারপ্রান্তে জামায়াত আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে আমরা রিকশাওয়ালারাও নামবো” — রিকশাচালক যারা লুটপাট, হাত কাটা, পা কাটা, চোখ তোলা, নির্যাতন করে, নারীদের ধর্ষণ করে তারা কি বেহেশতে যাবে?” –জননেত্রী শেখ হাসিনা ভোট আওয়ামী লীগকেই দিবো, আর কাকে দিবো? শেখ হাসিনাকে আবারো চাই” –জনমত হাদির হত্যাকারী ভারতের পালিয়ে গেছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। অবৈধ সরকারের উপদেষ্টা, সমন্বয়ক,রাতারাতি তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে কোটিপতি হয়ে গেছে বাংলাদেশের সংস্কৃতির মেরুদণ্ড ভাঙার এক নির্লজ্জ প্রচেষ্টা সরকার আসবে এবং যাবে, কিন্তু বাংলাদেশকে আমরা ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্রে’ (Rogue Nation) পরিণত হতে দেব না বাংলাদেশে হিংসার নেপথ্যে পাকিস্তানের ‘ঢাকা সেল’? ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য কারা হেফাজতে ফের মৃত্যু: বিনা চিকিৎসায় আ.লীগ নেতাকে ‘পরিকল্পিত হত্যার’ অভিযোগ গণমাধ্যমের বর্তমান ভূমিকা ও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শেখ হাসিনা: ‘আমার সময়ে সমালোচনার পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল’ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই বড় পদক্ষেপ! ৭১-এর যুদ্ধে লড়া ব্যাটেলিয়ন মোতায়েন ত্রিপুরায় ধর্ম অবমাননা’র গুজবে সংখ্যালঘু নিধন: বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও মব জাস্টিসের ভয়াবহ বিস্তার ছাত্রনেতার মুখোশে গুন্ডামি: রাকসু জিএসের ‘সন্ত্রাসী’ আস্ফালন খুলনায় এনসিপির বিভাগীয় প্রধান মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ ‘মৌলবাদীরা ভারত-বিদ্বেষ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে’: টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে রোকেয়া প্রাচী