এক গুলিতে শেষ মিরাজের সব স্বপ্ন – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
     ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ

আরও খবর

বিশ্বাসঘাতকতা ও ইতিহাস অস্বীকারই ড. ইউনুসের কৌশল

অ-সরকারের সতেরো মাস : তিনগুণ খেলাপি ঋণ, শূন্য বিনিয়োগ

ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে যারা দেশকে জিম্মি করে রেখেছে

আলাদিনের প্রদীপ থেকে বেরিয়ে আসা জ্বীনের কবলে যখন খোদ আলাদিনেরাই!

ক্ষমতার দাবার চালে অসুস্থ খালেদা জিয়া: মানবিকতার চেয়ে যখন রাজনৈতিক স্বার্থই মুখ্য!

লাশ নিয়ে টালবাহানা করিও না’—মৃত্যুর আগে সন্তানদের প্রতি রফিকুল্লা আফসারীর আবেগঘন ভিডিও বার্তা

একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাসমতে জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী পূজার ছুটি বাতিল ছুটির এই তালিকা প্রকাশ করেছে

এক গুলিতে শেষ মিরাজের সব স্বপ্ন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ | ৯:৩০ 134 ভিউ
ইচ্ছা ছিল রোজগার করে বাবাকে ভালো ডাক্তার দেখানো। ছোট ভাইদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা। তাই সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট থেকে রাজধানীতে ছুটে এসেছিলেন মিরাজ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে রাস্তায় নামেন মিরাজও। এরপর এক গুলিতে শেষ হয়ে যায় তার সব স্বপ্ন! একুশের তরুণ মিরাজের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘড়িয়া গ্রামে। ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনের মাছের আড়ত এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। মিছিলে তার সঙ্গে ছিলেন খালাতো ভাই কারখানা শ্রমিক মাজেদুল ইসলামও (২৮)। পুলিশ অতর্কিতভাবে মিছিলে গুলি চালায়। আর সেই গুলিতেই মিরাজ ও তার খালাতো ভাই মাজেদুল গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

সেখানে সুচিকিৎসা ও টাকা-পয়সার অভাব দেখা দিলে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে মিরাজের খালাতো ভাই মাজেদুল ইসলাম চিকিৎসা নিয়ে অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠেন। অন্যদিকে অস্ত্রোপচার করে মিরাজের শরীর থেকে গুলি বের করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো যায়নি। ৮ আগস্ট রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্বপ্নবাজ এ তরুণ। আব্দুস সালাম ও মহসেনা বেগমের বড় ছেলে মিরাজ। মেজবাউল ইসলাম (১৭) ও সিরাজুল ইসলাম (১৪) নামে তার দুজন আরও ছোট ভাই রয়েছে। মেজবাউল নবম শ্রেণিতে ও সিরাজুল অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। মিরাজের বাবা অসুস্থ। মিরাজ মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে এসএসসি পাস করে

পরিবার নিয়ে অর্থ উপার্জনের জন্য ঢাকায় আসেন। যাত্রাবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত মিরাজের পরিবার। পরে মিরাজ ঢাকার দনিয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি হন। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে পড়াশোনার পাশাপাশি ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার মাতুয়াইল রশিদবাগে স্থানীয় একটি মোবাইল রিচার্জ ও বিকাশের দোকানে তিনি কাজ নেন। অসুস্থ বাবার চিকিৎসা আর ছোট দুই ভাইয়ের লেখাপড়াসহ পুরো সংসার চলত মিরাজের আয়ে। বাবার চিকিৎসার জন্য ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণও করেছে মিরাজ ও তার বাবা। সংসারের হাল ধরতে লেখাপড়ার পাশাপাশি দোকানে কাজ করতেন মিরাজ। মিরাজের বাবা আব্দুস সালাম বলেন, ‘ছেলের মৃত্যুর পর আমাদের একেকটা দিন যেন একেকটা বছর।’ তিনি আরও বলেন, আমি সিএনজি

চালাতাম। পরে ঘন ঘন অসুস্থ হওয়ার কারণে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। ডাক্তার প্রাথমিকভাবে ক্যান্সার হয়েছে বলে ধারণা করছেন। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার। এজন্য অনেক টাকা লাগবে। অথচ আমাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেটি আর নেই। তার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে আমার পুরো পরিবারের উপার্জনের চাকা। আর্থিকভাবে সাহায্য পেয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে মিরাজের বাবা বলেন, হ্যাঁ, আর্থিকভাবে সাহায্য পেয়েছি। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আমার পরিবারকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা ও (নেভি) হেডকোয়ার্টার ঢাকা থেকে আরও ১ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত আমি তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় দেখতে চাই। বর্তমান সরকারের প্রতি এ ব্যাপারে

আমার অনুরোধ থাকল। মিরাজের মা মোহসেনা বেগম বলেন, আমার কলিজার টুকরা আর ফিরে আসবে না, এটা ভেবেই দুচোখের পাতা এক হয় না। মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম জানান, মিরাজ প্রতিভাবান ছিল। আমরা এ হত্যার বিচার চাই। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতার সব রকম ব্যবস্থা করব। খবর বাসসের।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি গণতন্ত্র নয়, লুটতন্ত্র, বিএনপির তারেক রহমানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ংকর অভিযোগ বিশ্বাসঘাতকতা ও ইতিহাস অস্বীকারই ড. ইউনুসের কৌশল অ-সরকারের সতেরো মাস : তিনগুণ খেলাপি ঋণ, শূন্য বিনিয়োগ ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে যারা দেশকে জিম্মি করে রেখেছে আলাদিনের প্রদীপ থেকে বেরিয়ে আসা জ্বীনের কবলে যখন খোদ আলাদিনেরাই! ক্ষমতার দাবার চালে অসুস্থ খালেদা জিয়া: মানবিকতার চেয়ে যখন রাজনৈতিক স্বার্থই মুখ্য! লাশ নিয়ে টালবাহানা করিও না’—মৃত্যুর আগে সন্তানদের প্রতি রফিকুল্লা আফসারীর আবেগঘন ভিডিও বার্তা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বিএনপির রুমিন ফারহানাকে বহিষ্কার করা হয়েছে “মুক্তিযোদ্ধারা’ই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাদের ঋণ শোধ হবার নয়” একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাসমতে জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী পূজার ছুটি বাতিল ছুটির এই তালিকা প্রকাশ করেছে আইনশৃঙ্খলার অজুহাতে আবহমান বাংলার সংস্কৃতির ওপর পরিকল্পিত আঘাত—ফরিদপুরে বন্ধ ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব! ইন্ডিয়া যদি আমাদের সাহায্য না করতো, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পারতো না দেশটা স্বাধীন করতে” –বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগবিহীন নির্বাচন, একটি আত্মঘাতী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত মহাজন ইউনুসের গণতন্ত্র : ১২২টি ফাঁদ ও একটি ভোট রাঙ্গুনিয়ায় সংখ্যালঘুদের বসতঘরে বাইরে থেকে দরজা আটকে আগুন: ঘটনাস্থল থেকে ব্যানার উদ্ধার খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক ঢাকার ভোটে কারচুপির ভয়ানক নীলনকশা: ২০ আসনে ২০ লাখ ভুয়া ভোটার সংযোজনের অভিযোগ রাজনৈতিক শিষ্টাচারের অনন্য নজির: খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন সজীব ওয়াজেদ জয় চরমোন্তাজে এসআই রাতুলের ঘুষ বাণিজ্যের রামরাজত্ব: জিম্মি আ.লীগ পরিবার, রেহাই পাচ্ছে না নারীরাও