ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
১৯৭১, নীলফামারীর গোলাহাট গণহত্যা
“কোন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙতে পারে না; শেখ হাসিনার রায়, এই সরকার মানিনা” — বীর বাঙালি
কোন দেশের নাগরিক হয়ে মঙ্গলবার দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
সমকামিতার অভিযোগ: আইনজীবী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির দ্বারে ভুক্তভোগী
‘ধানমন্ডি ৩২ ভাঙার পাপে তারেক রহমান আমৃত্যু অনিরাপদ, এসএসএফ তাকে জনবিচ্ছিন্ন করবে’: সাংবাদিক ফজলুল বারী
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিদ্রোহের নেতৃত্বে বিএনপি আমলের নিয়োগপ্রাপ্তরা, আইনি লড়াইয়েও দলটির শীর্ষ আইনজীবীরা
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের গোপন সফর ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র জল্পনা
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিদ্রোহের নেতৃত্বে বিএনপি আমলের নিয়োগপ্রাপ্তরা, আইনি লড়াইয়েও দলটির শীর্ষ আইনজীবীরা
বিডিআর বিদ্রোহ ও নৃশংস পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মূল নেতৃত্বে ছিলেন বিএনপি আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত জওয়ানরা। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী শীর্ষ আইনজীবীরা।
হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে যারা
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডিএডি তৌহিদ, বিদ্রোহী সিপাহী মাইন এবং সুবেদার মেজর গোফরান মল্লিক। এই তিনজনসহ অভিযুক্তদের প্রায় সবাই বিএনপি সরকারের শাসনামলে নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন। এছাড়া টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার হওয়া ২২ জন বিডিআর সদস্য তৎকালীন উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
টার্গেট ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ও জঙ্গিবাদবিরোধী কর্মকর্তারা
হত্যাকাণ্ডের শিকার
৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ৩৩ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগ বা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিবারের সদস্য। প্রতিবেদনে বিশেষভাবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কর্নেল গুলজারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে যখন জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে এবং ‘বাংলা ভাই’ ও জেএমবির অস্তিত্ব অস্বীকার করা হচ্ছিল, তখন কর্নেল গুলজার মুফতি হান্নান ও শায়খ আবদুর রহমানসহ শীর্ষ জঙ্গিদের গ্রেফতার করেছিলেন। জঙ্গিবাদ দমনে তার এই সাহসী ভূমিকা এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে টার্গেট করে হত্যা করা হয়। কর্নেল গুলজারকে নির্মমভাবে চোখ উপড়ে ও মেরুদণ্ড ভেঙে হত্যা করা হয়। এছাড়া ২০০৮ সালের সুষ্ঠু নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী কর্নেল এলাহী, কর্নেল মোয়াজ্জেম, কর্নেল এমদাদসহ
একাধিক চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে বেছে বেছে হত্যা করা হয় বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। হত্যাকারীদের পক্ষে লড়ছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা এই হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অন্যতম প্রমাণ হিসেবে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিআর বিদ্রোহে সরাসরি জড়িত জওয়ানদের পক্ষে আদালতে লড়ছেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। তাদের মধ্যে রয়েছেন: ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য) অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন (বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা) ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া (বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য) অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান (জামায়াতপন্থী ও যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর আইনজীবী) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আমিন (জোট আমলের পাবলিক প্রসিকিউটর) এছাড়াও অ্যাডভোকেট টিএম আকবর, অ্যাডভোকেট সুলতানা আক্তার রুবি, অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদসহ (সাবেক শিবির কর্মী) বেশ
কয়েকজন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবী আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন। এই তথ্যাবলি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পেছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং নির্দিষ্ট মতাদর্শের সেনা কর্মকর্তাদের নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশার ইঙ্গিত দেয় বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।
৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ৩৩ জনই ছিলেন আওয়ামী লীগ বা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিবারের সদস্য। প্রতিবেদনে বিশেষভাবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কর্নেল গুলজারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে যখন জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে এবং ‘বাংলা ভাই’ ও জেএমবির অস্তিত্ব অস্বীকার করা হচ্ছিল, তখন কর্নেল গুলজার মুফতি হান্নান ও শায়খ আবদুর রহমানসহ শীর্ষ জঙ্গিদের গ্রেফতার করেছিলেন। জঙ্গিবাদ দমনে তার এই সাহসী ভূমিকা এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে টার্গেট করে হত্যা করা হয়। কর্নেল গুলজারকে নির্মমভাবে চোখ উপড়ে ও মেরুদণ্ড ভেঙে হত্যা করা হয়। এছাড়া ২০০৮ সালের সুষ্ঠু নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনকারী কর্নেল এলাহী, কর্নেল মোয়াজ্জেম, কর্নেল এমদাদসহ
একাধিক চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে বেছে বেছে হত্যা করা হয় বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। হত্যাকারীদের পক্ষে লড়ছেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা এই হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অন্যতম প্রমাণ হিসেবে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিডিআর বিদ্রোহে সরাসরি জড়িত জওয়ানদের পক্ষে আদালতে লড়ছেন বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। তাদের মধ্যে রয়েছেন: ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য) অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন (বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা) ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া (বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য) অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান (জামায়াতপন্থী ও যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর আইনজীবী) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আমিন (জোট আমলের পাবলিক প্রসিকিউটর) এছাড়াও অ্যাডভোকেট টিএম আকবর, অ্যাডভোকেট সুলতানা আক্তার রুবি, অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদসহ (সাবেক শিবির কর্মী) বেশ
কয়েকজন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবী আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন। এই তথ্যাবলি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পেছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং নির্দিষ্ট মতাদর্শের সেনা কর্মকর্তাদের নিশ্চিহ্ন করার নীলনকশার ইঙ্গিত দেয় বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।



