ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নোবেলের আড়ালে শ্রমিক শোষণ: জনসেবার নামে লুটপাট করে ব্যক্তিগত সাম্রাজ্য গড়ার অভিযোগ ইউনূসের বিরুদ্ধে
চট্টগ্রাম বন্দরের কৌশলগত টার্মিনাল বিদেশি নিয়ন্ত্রণে: জাতীয় স্বার্থ, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান নিয়ে বড় প্রশ্ন
‘আওয়ামী লীগ সরকারের ভুল হয়েছে, তবে একপাক্ষিক ক্ষমা কেন চাইবে’: বিবিসিকে সজীব ওয়াজেদ জয়
পে স্কেলের বিষয়ে কমিশনের সবশেষ পদক্ষেপ
দুই বগির মাঝখানে ঝুলে ছিল শিশু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ
মাদক রাখার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
সরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ
‘ভারতকে যা দিয়েছি, তা তারা সারাজীবন মনে রাখবে’—প্রতিদানের প্রশ্নে শেখ হাসিনার সেই দ্ব্যর্থহীন বার্তা কি বলেছিল?
বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমীকরণ এবং লেনদেনের প্রসঙ্গ উঠলেই বারবার সামনে আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিশেষ মন্তব্য। ভারতের জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা-র একটি প্রতিবেদনের জেরে সেই সময় তিনি স্পষ্ট করেছিলেন যে, ভারতের কাছে বাংলাদেশের চাওয়ার কিছু নেই, বরং বাংলাদেশ ভারতকে যা দিয়েছে, তা দেশটির নিরাপত্তার ইতিহাসে এক মাইলফলক।
ঘটনাটির সূত্রপাত হয়েছিল শেখ হাসিনার তৎকালীন একটি সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা-র একটি প্রতিবেদনের শিরোনামকে কেন্দ্র করে এক সাংবাদিক শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সাংবাদিক প্রশ্ন রেখেছিলেন:
‘‘ভারতীয় পত্রিকায় ছাপা হয়েছে যে, বাংলাদেশ এখন ভারতের কাছে প্রতিদান চায়। তা আসলে আপনি কি প্রতিদান চেয়েছেন? কোনো কিছু আশ্বাস পেয়েছেন কিনা? আনন্দবাজার পত্রিকার
শিরোনাম...’’ প্রশ্নে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামের প্রসঙ্গটি উঠে আসতেই শেখ হাসিনা এর কড়া জবাব দেন। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান, কূটনৈতিক বা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি ‘প্রতিদান’ প্রত্যাশা করেন না। সাংবাদিকের সেই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছিলেন, ‘‘আমি কোনো প্রতিদান চাই না। প্রতিদানের কি আছে এখানে? আর কারো কাছে চাওয়ার অভ্যাস আমার একটু কম। দেয়ার অভ্যাস বেশি।’’ তাঁর এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেবল বাণিজ্যিক লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং পারস্পরিক সহযোগিতা ও বাংলাদেশের উদারতার ওপর প্রতিষ্ঠিত। শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো বা ‘সেভেন সিস্টার্স’-এ শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে
বাংলাদেশের অবদানের কথা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, একসময় ওই অঞ্চলে নিয়মিত বোমাবাজি ও গুলির লড়াই চলত, যা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি ছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা ভারতকে যা দিয়েছি, সেটা ভারত সারাজীবন মনে রাখবে। প্রতিদিনের বোমাবাজি, গুলি... আমরা কিন্তু তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। এটা তাদের মনে রাখতে হবে।’’ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার সরকার ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর (যেমন উলফা) বিরুদ্ধে যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল, তার ফলেই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে শান্তি ফিরে আসে। ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও বিভিন্ন সময়ে স্বীকার করেছেন যে, বাংলাদেশের এই সহযোগিতার ফলেই ভারত তার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অনেকটা নিশ্চিন্ত
হতে পেরেছে এবং বিপুল সামরিক ব্যয় ও প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকা-র সেই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ খারিজ করে শেখ হাসিনা সেদিন চূড়ান্তভাবে বলেছিলেন, ‘‘কাজেই আমরা কোনো প্রতিদান চাই না।’’ তাঁর এই বক্তব্যটি কেবল একটি পত্রিকার জবাব ছিল না, বরং এটি ছিল ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঢাকার শক্ত অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ—যেখানে বাংলাদেশ নিজেকে কেবল গ্রহীতা নয়, বরং বড় ‘নিরাপত্তা দাতা’ হিসেবেই উপস্থাপন করেছে।
শিরোনাম...’’ প্রশ্নে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামের প্রসঙ্গটি উঠে আসতেই শেখ হাসিনা এর কড়া জবাব দেন। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানান, কূটনৈতিক বা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি ‘প্রতিদান’ প্রত্যাশা করেন না। সাংবাদিকের সেই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছিলেন, ‘‘আমি কোনো প্রতিদান চাই না। প্রতিদানের কি আছে এখানে? আর কারো কাছে চাওয়ার অভ্যাস আমার একটু কম। দেয়ার অভ্যাস বেশি।’’ তাঁর এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেবল বাণিজ্যিক লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে নয়, বরং পারস্পরিক সহযোগিতা ও বাংলাদেশের উদারতার ওপর প্রতিষ্ঠিত। শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো বা ‘সেভেন সিস্টার্স’-এ শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে
বাংলাদেশের অবদানের কথা বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, একসময় ওই অঞ্চলে নিয়মিত বোমাবাজি ও গুলির লড়াই চলত, যা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি ছিল। সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা ভারতকে যা দিয়েছি, সেটা ভারত সারাজীবন মনে রাখবে। প্রতিদিনের বোমাবাজি, গুলি... আমরা কিন্তু তাদের শান্তি ফিরিয়ে দিয়েছি। এটা তাদের মনে রাখতে হবে।’’ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার সরকার ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর (যেমন উলফা) বিরুদ্ধে যে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিল, তার ফলেই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে শান্তি ফিরে আসে। ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও বিভিন্ন সময়ে স্বীকার করেছেন যে, বাংলাদেশের এই সহযোগিতার ফলেই ভারত তার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অনেকটা নিশ্চিন্ত
হতে পেরেছে এবং বিপুল সামরিক ব্যয় ও প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকা-র সেই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ খারিজ করে শেখ হাসিনা সেদিন চূড়ান্তভাবে বলেছিলেন, ‘‘কাজেই আমরা কোনো প্রতিদান চাই না।’’ তাঁর এই বক্তব্যটি কেবল একটি পত্রিকার জবাব ছিল না, বরং এটি ছিল ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঢাকার শক্ত অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ—যেখানে বাংলাদেশ নিজেকে কেবল গ্রহীতা নয়, বরং বড় ‘নিরাপত্তা দাতা’ হিসেবেই উপস্থাপন করেছে।



