ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শেখ হাসিনার মামলার রায়কে ঘিরে মাদারীপুরে মহাসড়ক অবরোধ, জনদুর্ভোগ
শাটডাউন ঠেকাতে ব্যাপক ধরপাকড়: আওয়ামীপন্থিদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে তল্লাশি
গাংনীতে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর ভাইরাল ভিডিও
বরিশাল নথুল্লাবাদে অর্ধশতাধিক বাস ভাঙচুর, আহত ৬০
জব্দ বিস্ফোরক থানায় পরীক্ষার সময় বিস্ফোরণ, নিহত ৯
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মারধরের শিকার নারী হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে
কক্সবাজারে হোটেলে পর্যটকের গোপন ভিডিও ধারণ, অভিযুক্ত কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নেতা পলাতক
এলজিবিটি কমিউনিটিকে ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, আলোচনায় একাধিক নাম
বাংলাদেশের এলজিবিটি (LGBT) কমিউনিটিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি এবং সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন মানবাধিকার কর্মী ও শিল্পী সন্জিবনী সুধা। সম্প্রতি তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে প্রকাশিত "বাংলাদেশের এলজিবিটি কমিউনিটিকে ব্যবহার ও আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র–৩" শীর্ষক একটি পোস্টে তিনি মোঃ মুনতাসির রহমান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন 'শিবির' এবং সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল 'এনসিপি'-এর সাথে মিলে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।
পোস্টে সন্জিবনী সুধা দাবি করেন, মোঃ মুনতাসির রহমান এলজিবিটি কমিউনিটির জন্য বিভিন্ন গোপন পার্টির আয়োজন করতেন, যেখানে পরিচয় যাচাই ছাড়াই অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হতো। সুধার অভিযোগ, এই পার্টিগুলোর মাধ্যমে মুনতাসির শিবিরকর্মী
এবং এনসিপি-এর কিছু নেতার সাথে পরিচিত হন এবং তাদের তার পার্টিতে আমন্ত্রণ জানাতেন। পোস্টে কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে: ধর্ষণের অভিযোগ: গত বছর বাসাবো এলাকায় মুনতাসিরের আয়োজিত একটি পার্টিতে একজন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পোস্ট অনুযায়ী, অভিযুক্ত ধর্ষক ছিলেন একজন শিবিরকর্মী, যার বাবা স্থানীয় জামায়াত নেতা। সাভারের রিসোর্টে হামলা: এ বছরের এপ্রিলে সাভারের একটি রিসোর্টে মুনতাসিরের আয়োজিত পার্টিতে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ হামলা চালায়। সুধার দাবি, এই হামলার খবর মুনতাসিরের পরিচিত শিবিরকর্মীরাই ছড়িয়েছিল এবং পার্টিতে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত থাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়। এনসিপি-তে যোগদান ও বহিষ্কার: পোস্টে বলা হয়, শিবির ও এনসিপি-এর সাথে কাজের পুরস্কার হিসেবে মুনতাসিরকে এনসিপি-এর জাতীয়
কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে শিবিরকর্মীরাই তার সমকামী পরিচয় প্রকাশ করে দিলে, জনসমর্থন হারানোর ভয়ে এনসিপি তাকে বহিষ্কার করে। নতুন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ: এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মুনতাসির প্রতিশোধ নিতে সিলেটের ট্রান্সনারী সাহারা চৌধুরী রেবিলকে ঢাকায় এনে এলজিবিটি বিয়ের দাবিতে অনশন করান বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সুধার মতে, এর উদ্দেশ্য ছিল সমাজে অস্থিরতা তৈরি করা। সন্জিবনী সুধা তার পোস্টে আরও অভিযোগ করেন যে, মুনতাসির রহমান আওয়ামী লীগ সমর্থক বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীর তথ্য শিবিরকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করেছেন, যার ফলে ৫ই আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাদের অনেকে হুমকির মুখে পড়েন। সুধা তার নিজের সংগঠন 'ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ'-এর ফেসবুক পেজটিও এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে
কথা বলায় ১০ বারের বেশি সাসপেন্ড এবং অবশেষে মুছে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেন। পোস্টের শেষে লেখক প্রশ্ন তোলেন, "যারা শেখ হাসিনার সকল ভালো কাজের উপকারভোগী হয়েও, স্বাধীনতা-বিরোধীদের সাথে মিশে নিজের কমিউনিটির মানুষ, তাদের এলাই এবং দেশের চরম ক্ষতি করে—তারা মানুষ নাকি অন্য কিছু?" এই ফেসবুক পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং এলজিবিটি কমিউনিটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এর ব্যবহার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। তবে, পোস্টে উল্লেখিত মোঃ মুনতাসির রহমান বা অন্য অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবং এনসিপি-এর কিছু নেতার সাথে পরিচিত হন এবং তাদের তার পার্টিতে আমন্ত্রণ জানাতেন। পোস্টে কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে: ধর্ষণের অভিযোগ: গত বছর বাসাবো এলাকায় মুনতাসিরের আয়োজিত একটি পার্টিতে একজন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পোস্ট অনুযায়ী, অভিযুক্ত ধর্ষক ছিলেন একজন শিবিরকর্মী, যার বাবা স্থানীয় জামায়াত নেতা। সাভারের রিসোর্টে হামলা: এ বছরের এপ্রিলে সাভারের একটি রিসোর্টে মুনতাসিরের আয়োজিত পার্টিতে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ হামলা চালায়। সুধার দাবি, এই হামলার খবর মুনতাসিরের পরিচিত শিবিরকর্মীরাই ছড়িয়েছিল এবং পার্টিতে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত থাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয়। এনসিপি-তে যোগদান ও বহিষ্কার: পোস্টে বলা হয়, শিবির ও এনসিপি-এর সাথে কাজের পুরস্কার হিসেবে মুনতাসিরকে এনসিপি-এর জাতীয়
কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে শিবিরকর্মীরাই তার সমকামী পরিচয় প্রকাশ করে দিলে, জনসমর্থন হারানোর ভয়ে এনসিপি তাকে বহিষ্কার করে। নতুন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ: এনসিপি থেকে বহিষ্কারের পর মুনতাসির প্রতিশোধ নিতে সিলেটের ট্রান্সনারী সাহারা চৌধুরী রেবিলকে ঢাকায় এনে এলজিবিটি বিয়ের দাবিতে অনশন করান বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সুধার মতে, এর উদ্দেশ্য ছিল সমাজে অস্থিরতা তৈরি করা। সন্জিবনী সুধা তার পোস্টে আরও অভিযোগ করেন যে, মুনতাসির রহমান আওয়ামী লীগ সমর্থক বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীর তথ্য শিবিরকর্মীদের কাছে হস্তান্তর করেছেন, যার ফলে ৫ই আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাদের অনেকে হুমকির মুখে পড়েন। সুধা তার নিজের সংগঠন 'ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ'-এর ফেসবুক পেজটিও এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে
কথা বলায় ১০ বারের বেশি সাসপেন্ড এবং অবশেষে মুছে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেন। পোস্টের শেষে লেখক প্রশ্ন তোলেন, "যারা শেখ হাসিনার সকল ভালো কাজের উপকারভোগী হয়েও, স্বাধীনতা-বিরোধীদের সাথে মিশে নিজের কমিউনিটির মানুষ, তাদের এলাই এবং দেশের চরম ক্ষতি করে—তারা মানুষ নাকি অন্য কিছু?" এই ফেসবুক পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং এলজিবিটি কমিউনিটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এর ব্যবহার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। তবে, পোস্টে উল্লেখিত মোঃ মুনতাসির রহমান বা অন্য অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।



