
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক লালন উৎসবে মানুষের ঢল

নিউইয়র্কে বহুতল ভবন ধস

বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে

আওয়ামী লীগের দুই নেতার ওপর হামলা : বিএনপির একজন গ্রেফতার

নিউইয়র্কের বাসিন্দারা দ্রব্যমূল্যের ‘ভর্তুকি চেক’ পাবেন

বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ?

১১ অক্টোবর ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘প্রজেক্ট ১৯৭১’ প্রদর্শনী ও আলোচনা
‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’— এই শিরোনামে
নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক লালন উৎসবে মানুষের ঢল
নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো লালন উৎসব ২০২৫।

ভক্তি,মানব প্রেমের দীক্ষা আর বিভাজনমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে লালনের শিক্ষা অনুসরণ করার সংকল্প নিয়ে গত ১৯ অক্টোবর, রবিবার, নিউ ইয়র্কের কুইন্স প্যালেসে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় আন্তর্জাতিক লালন উৎসব ২০২৫। ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’— এই শিরোনামে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বাউল সাধক শফি মন্ডল। লালনকন্যা খ্যাত সদ্য প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী ফরিদা পারভীনকে উৎসর্গকৃত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক মোহাম্মদ উল্লাহ, ‘সাপ্তাহিক বাঙালী’ সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান, সাংবাদিক দস্তগীর জাহাঙ্গীর, নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেটর জোসেফ পিটার, নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সাবেক চীফ থমাস চেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও
বিজ্ঞানী ড. জিনাত নবী, লেখক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরু বাঙালী, ডেমোক্রেট ড. দিলীপ নাথ, বাংলাদেশী আমেরিকান রিপাবলিকান এলায়েন্সের চেয়ারম্যান নাসির খান পল, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক জিএস ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, সঙ্গীত শিক্ষক সেলিমা আশরাফ, নটরডেম কলেজের সাবেক অধ্যাপক হোসনে আরা, ফোবানা চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী, কুইন্সের জন এডামস হাইস্কুলের ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক কবি নাজনীন সীমন, নাট্যজন লুৎফুন নাহার লতা, লেখক ও ছড়াকার মঞ্জুর কাদের, সাংস্কৃতিক সংগঠক মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, রাজনীতিক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সাংবাদিক লাভলু আনসার, এনওয়াইডিপি অফিসার আজহার চৌধুরী, রাকসু’র সাবেক ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক মুজাহিদ আনসারী সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ।
wp-image-65845" /> উৎসবে কমিউনিটির নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক ক্ষেত্রে আবদান রাখার জন্য এনওয়াইডিপির সাবেক চীফ থমাস চেন, স্টেট সিনেটর জোসেফ পিটার, পুলিশ সার্জেন্ট কেনেথ পিক, সার্জেন্ট মহিরুল চৌধুরী ও সার্জেন্ট আলী হাসানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এবারের আয়োজনের প্রধান উপদেষ্টা নুরুল আমিন বাবুর পরিচালনায় সম্মাননা পর্বে পুরষ্কৃত প্রিয়জনদের হাতে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন নবী। সেলিমা আশরাফের সঞ্চালনায় ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ পাবি’ শিরোনামে আলোচনায় অংশ নেন লালন সাধক শফি মন্ডল ও সাংবাদিক কৌশিক আহমেদ।শফি মন্ডল বলেন, ২০০ বছর আগে জন্ম নেওয়া লালন আধুনিক চিন্তা করতেন। ধর্ম
থেকে রাষ্ট্রকে আলাদা করার দর্শন লালন দিয়ে গেছেন। লালন ধর্ম এবং দেশকে আলাদা করে দেখেতেন। তিনি মনে করতেন ধর্ম মানুষের মনোজগতের বিশ্বাস। সে বিশ্বাস দ্বারা স্রস্টার সান্নিধ্য পাওয়া যায়, কিন্তু একটা দেশ চলতে পারে না। স্রস্টার সান্নিধ্য পেতে হলে তার সৃষ্টিকে ভালোবাসতে বলেছেন। আর সৃষ্টিকে জানার উত্তম পথ হচ্ছে নিজেকে জানা। লালন বলেন, সৃষ্টিকর্তাকে জানতে হলে নিজেকে চিনতে হবে, থাকতে হবে অন্য মানুষের প্রতি ভক্তি , বিশ্বাস, বিনয় ও ভালোবাসা। কৌশিক আহমেদ বলেন, আমাদের একজন লালন ছিল কিন্তু সে লালনকে আমরা বুঝতে পারিনি। লালন মানুষের শক্তিতে বিশ্বাস করতেন। আজকে যারা বাউল ও লালন সাধকদের উপর আক্রমণ করছে, তারা
মানুষের শক্তিকে ভয় পায়, এজন্য তারা লালনের বিরোধিতা করে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দান করেছেন, কিন্তু সে জীবন দানকে যদি আমরা বুঝতে পারতাম তাহলে আজকের এ অবস্থায় পড়তাম না। তিনি মানবিক দেশ গঠনের জন্য মানবপ্রেমী সরকারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তৃতীয় লালন উৎসবে দেশী-বিদেশী দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতিতে অন্যরকম এক আয়োজনের সাক্ষী হয়েছে নিউইয়র্কবাসী। বিকাল ৫টা থেকে রাত ১টা অবধি চলমান এ অনুষ্ঠান ছিল বিষয় বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ। ছিল সেমিনার, নাচ, একক ও দলীয় সঙ্গীত এবং সাধুসঙ্গ। নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি আলভান চৌধুরী, জেরিন মাইশা এবং সাগ্নিক মজুমদারের পরিবেশনায়
দর্শকদের শুধু আনন্দই দেয়নি, আশান্বিতও করেছে। রাসেল আহমেদের পরিচালনায় এবং মায়া ও হিয়ার অংশগ্রহণে ফিউশন ডান্স, মিথুন ডান্স একাডেমীর দলীয় নৃত্য এবং শাহ মাহবুবের পরিচালনায় লালনের গানের দলীয় পরিবেশনা ছিল অনুষ্ঠানের ব্যতিক্রমী এক আয়োজন, যা দর্শকদের মনোজগতকে তৃপ্ত করেছে। ২৫ জনেরও বেশী শিল্পী সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন, যাদের মধ্যে ছিলেন স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পী রিজিয়া পারভীন, শাহ মাহবুব, শাহনাজ বেলী, শিমুল খান, রেশমি মির্জা, কৃষ্ণা তিথি, বাউল কালা মিয়া, মেলাল শাহ, কামরুজ্জামান বকুল, করিম হাওলাদার, শাহীন হোসেন, মিমি আলাউদ্দিন, দিনাত মনি, স্বপ্নিল সজীব ও সজল রায়। তাদের পরিবেশনা দর্শকরা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন, এই যান্ত্রিক জীবনেও রাত ১টা পর্যন্ত হলঘর ছিল
দর্শক শ্রুতায় পরিপূর্ণ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল সাধু সঙ্গ। বাউল সাধক শফি মন্ডল যখন লালনের গানে সুর তুললেন, তখন শিষ্যসম সকল শিল্পী ও ভক্তের উপস্থিতিতে মঞ্চ ছিল ভরপুর। গানে গানে তারা মানুষের বন্দনা করলেন। গাইলেন—- ‘কবে সাধুর চরণ ধুলি মোর লাগবে গায়’। অদৃশ্য এই সাধু যেন আর কেউ নয়, শফি মন্ডল। গানকে প্রার্থনায় পরিণত করে মানবিক মানব সমাজ বিনার্মাণের এক অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দিয়েছেন সকলের মাঝে। মনোমুগ্ধকর লালন উৎসব এই আয়োজনের আহবায়ক ছিলেন আব্দুল হামিদ, প্রধান উপদেষ্টা নুরুল আমিন বাবু, পরিকল্পনায় গোপাল সান্যাল। পরিচালনা করেছেন স্বীকৃতি বড়ুয়া, পিনাকী তালুকদার এবং পঙ্কজ তালুকদার। যন্ত্র সঙ্গীতে সহায়তা
করেছেন শহীদ উদ্দিন, মোবারক হোসেন, রঞ্জিত মন্ডল, শাহাদত ওসমান, সৌরভ দাস, নেওয়াজ শরীফ, চঞ্চল ইমরান এবং ক্যাপ্টেন ব্যান্ড। সাউন্ড ও আলোকসজ্জার দায়িত্বে ছিল ‘সাউন্ড গিয়ার’। চমৎকার এই আয়োজনের উপস্থাপনায় ছিলেন শারমিন সিরাজ সোনিয়া ও রেজওয়ানা এলভিস। আয়োজক ‘লালন পরিষদ ইউএসএ’।
বিজ্ঞানী ড. জিনাত নবী, লেখক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরু বাঙালী, ডেমোক্রেট ড. দিলীপ নাথ, বাংলাদেশী আমেরিকান রিপাবলিকান এলায়েন্সের চেয়ারম্যান নাসির খান পল, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক জিএস ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, সঙ্গীত শিক্ষক সেলিমা আশরাফ, নটরডেম কলেজের সাবেক অধ্যাপক হোসনে আরা, ফোবানা চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী, কুইন্সের জন এডামস হাইস্কুলের ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক কবি নাজনীন সীমন, নাট্যজন লুৎফুন নাহার লতা, লেখক ও ছড়াকার মঞ্জুর কাদের, সাংস্কৃতিক সংগঠক মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, রাজনীতিক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, সাংবাদিক লাভলু আনসার, এনওয়াইডিপি অফিসার আজহার চৌধুরী, রাকসু’র সাবেক ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক মুজাহিদ আনসারী সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ।

wp-image-65845" /> উৎসবে কমিউনিটির নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন কল্যাণমূলক ক্ষেত্রে আবদান রাখার জন্য এনওয়াইডিপির সাবেক চীফ থমাস চেন, স্টেট সিনেটর জোসেফ পিটার, পুলিশ সার্জেন্ট কেনেথ পিক, সার্জেন্ট মহিরুল চৌধুরী ও সার্জেন্ট আলী হাসানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এবারের আয়োজনের প্রধান উপদেষ্টা নুরুল আমিন বাবুর পরিচালনায় সম্মাননা পর্বে পুরষ্কৃত প্রিয়জনদের হাতে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন নবী। সেলিমা আশরাফের সঞ্চালনায় ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ পাবি’ শিরোনামে আলোচনায় অংশ নেন লালন সাধক শফি মন্ডল ও সাংবাদিক কৌশিক আহমেদ।শফি মন্ডল বলেন, ২০০ বছর আগে জন্ম নেওয়া লালন আধুনিক চিন্তা করতেন। ধর্ম
থেকে রাষ্ট্রকে আলাদা করার দর্শন লালন দিয়ে গেছেন। লালন ধর্ম এবং দেশকে আলাদা করে দেখেতেন। তিনি মনে করতেন ধর্ম মানুষের মনোজগতের বিশ্বাস। সে বিশ্বাস দ্বারা স্রস্টার সান্নিধ্য পাওয়া যায়, কিন্তু একটা দেশ চলতে পারে না। স্রস্টার সান্নিধ্য পেতে হলে তার সৃষ্টিকে ভালোবাসতে বলেছেন। আর সৃষ্টিকে জানার উত্তম পথ হচ্ছে নিজেকে জানা। লালন বলেন, সৃষ্টিকর্তাকে জানতে হলে নিজেকে চিনতে হবে, থাকতে হবে অন্য মানুষের প্রতি ভক্তি , বিশ্বাস, বিনয় ও ভালোবাসা। কৌশিক আহমেদ বলেন, আমাদের একজন লালন ছিল কিন্তু সে লালনকে আমরা বুঝতে পারিনি। লালন মানুষের শক্তিতে বিশ্বাস করতেন। আজকে যারা বাউল ও লালন সাধকদের উপর আক্রমণ করছে, তারা
মানুষের শক্তিকে ভয় পায়, এজন্য তারা লালনের বিরোধিতা করে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ মানুষ জীবন দান করেছেন, কিন্তু সে জীবন দানকে যদি আমরা বুঝতে পারতাম তাহলে আজকের এ অবস্থায় পড়তাম না। তিনি মানবিক দেশ গঠনের জন্য মানবপ্রেমী সরকারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

দর্শকদের শুধু আনন্দই দেয়নি, আশান্বিতও করেছে। রাসেল আহমেদের পরিচালনায় এবং মায়া ও হিয়ার অংশগ্রহণে ফিউশন ডান্স, মিথুন ডান্স একাডেমীর দলীয় নৃত্য এবং শাহ মাহবুবের পরিচালনায় লালনের গানের দলীয় পরিবেশনা ছিল অনুষ্ঠানের ব্যতিক্রমী এক আয়োজন, যা দর্শকদের মনোজগতকে তৃপ্ত করেছে। ২৫ জনেরও বেশী শিল্পী সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন, যাদের মধ্যে ছিলেন স্বনামধন্য সঙ্গীত শিল্পী রিজিয়া পারভীন, শাহ মাহবুব, শাহনাজ বেলী, শিমুল খান, রেশমি মির্জা, কৃষ্ণা তিথি, বাউল কালা মিয়া, মেলাল শাহ, কামরুজ্জামান বকুল, করিম হাওলাদার, শাহীন হোসেন, মিমি আলাউদ্দিন, দিনাত মনি, স্বপ্নিল সজীব ও সজল রায়। তাদের পরিবেশনা দর্শকরা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন, এই যান্ত্রিক জীবনেও রাত ১টা পর্যন্ত হলঘর ছিল
দর্শক শ্রুতায় পরিপূর্ণ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল সাধু সঙ্গ। বাউল সাধক শফি মন্ডল যখন লালনের গানে সুর তুললেন, তখন শিষ্যসম সকল শিল্পী ও ভক্তের উপস্থিতিতে মঞ্চ ছিল ভরপুর। গানে গানে তারা মানুষের বন্দনা করলেন। গাইলেন—- ‘কবে সাধুর চরণ ধুলি মোর লাগবে গায়’। অদৃশ্য এই সাধু যেন আর কেউ নয়, শফি মন্ডল। গানকে প্রার্থনায় পরিণত করে মানবিক মানব সমাজ বিনার্মাণের এক অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দিয়েছেন সকলের মাঝে। মনোমুগ্ধকর লালন উৎসব এই আয়োজনের আহবায়ক ছিলেন আব্দুল হামিদ, প্রধান উপদেষ্টা নুরুল আমিন বাবু, পরিকল্পনায় গোপাল সান্যাল। পরিচালনা করেছেন স্বীকৃতি বড়ুয়া, পিনাকী তালুকদার এবং পঙ্কজ তালুকদার। যন্ত্র সঙ্গীতে সহায়তা
