
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

নিউইয়র্কে বহুতল ভবন ধস

বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে

আওয়ামী লীগের দুই নেতার ওপর হামলা : বিএনপির একজন গ্রেফতার

নিউইয়র্কের বাসিন্দারা দ্রব্যমূল্যের ‘ভর্তুকি চেক’ পাবেন

বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ?

১১ অক্টোবর ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘প্রজেক্ট ১৯৭১’ প্রদর্শনী ও আলোচনা

যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে ৩ পুলিশ সদস্য নিহত
নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক লালন উৎসবে মানুষের ঢল

বাংলাদেশসহ গোটাবিশ্বে মানবতার যে বিপর্যয় ঘটেছে তা থেকে পরিত্রাণে ফকির লালন শাহ’র নীতি ও আদর্শে উজ্জীবিত হবার সংকল্পে নিউইয়র্কে ‘তৃতীয় আন্তর্জাতিক লালন উৎসব’ অনুষ্ঠিত হলো ১৯ অক্টোবর রোববার। লালন কন্যা খ্যাত কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভিনকে উৎসর্গ করা এই উৎসবের উদ্বোধন করেন বাউল জগতের এক অনন্য নক্ষত্র শফি মন্ডল। আয়োজক ‘লালন পরিষদ ইউএসএ’র প্রধান উপদেষ্টা নুরল আমিন বাবু, আহবায়ক আব্দুল হামিদ-সহ প্রবাসের বাঙালি সংস্কৃতির কারিগর এবং বিশিষ্টজনদের পাশে নিয়ে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে লালন উৎসব শুরু হবার পরই লালনের জনপ্রিয় গানের সাথে দলীয় নৃত্য পরিবেশিত হয়। লালনের বিখ্যাত গান ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ স্লোগানের এ উৎসবে বক্তব্যকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন
অধ্যাপক হুসেন কবির বলেন, লালন বিশ্বসমাজকে যে বার্তা দেয় সেটি হচ্ছে মানুষ ভজন করা। মানুষকে বুঝা। আজকে শুধু বাংলাদেশে নয়, যেখানেই মানবতার বিপর্যয় সেখানেই লালন প্রাসঙ্গিক। লালন ১৩৫ বছর আগে তিরোধান হয়েছেন, কিন্তু প্রতিদিনই তিনি উজ্জ্বল হয়ে উঠছেন। এই উজ্জ্বল হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে তার যে দর্শণ, মানবপ্রেমী দর্শণ, সেই দর্শনে আমরা রবীন্দ্রনাথকেও অবগাহন করতে দেখি। এবং রবীন্দ্রনাথ প্রচন্ডভাবে প্রভাবিত হয়েছেন লালন দ্বারা। লালন যদি শ্রেষ্ঠ বাঙালিদের একজন হোন তাতেও আপত্তি করবার কিছু নেই। তার গান শুধু গীত নয়, তার গান হচ্ছে মানব জীবনের অপূর্ব দর্শন। এই দর্শন যে আলো-আমাদেরকে মুক্ত হবার পথ দেখায়।
wp-image-65732" /> এসময় লালনের জীবন-কর্ম নিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, সাংবাদিক কৌশিক আহমেদ এবং ফজলুর রহমান, সাংস্কৃতিক সংগঠক সেলিমা আশরাফ, অভিনেত্রী ও সংগঠক লুৎফুন্নেসা লতা, কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট শামসুদ্দিন আজাদ, জাকারিয়া চৌধুরী, শাবান মাহমুদ, শিরো বাঙালি, ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার ড. দীলিপ নাথ প্রমুখ। উৎসবে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ড. নুরুন্নবী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক লাবলু আনসার।বাংলাদেশ ক্লাব, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত উৎসবের সঞ্চালনায় ছিলেন সোনিয়া শারমিন এবং এ্যালভিস। সকল কর্মসূচির সমন্বয়ে ছিলেন লালন পরিষদের পরিচালক গোপাল সান্যাল, স্বীকৃতি বড়ুয়া, পিনাকি তালুকদার এবং পঙ্কজ তালুকদার। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রেখেছেন নিউইয়র্ক পুলিশের সাবেক
তিন কর্মকর্তা। শুরুতে ফরিদা পারভিনের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সকলে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন। লালন ফকিরের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে একটি সেমিনার ছাড়াও লালনের জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পীরা।
উৎসব-আয়োজনের অন্যতম প্রধান নুরল আমিন বাবু বলেন, ধর্ম-বর্ণ-জাতীয়তার উর্দ্ধে থেকে লালন ফকির মানবতার যে জয়গান গেয়েছেন তার বিন্দুমাত্রও যদি আমরা ধারণ ও লালনে সক্ষম হই তাহলে আমাদের এ প্রয়াস কিছুটা হলেও সফল বলে মনে করবো। লালন পরিষদের আহবায়ক আব্দুল হামিদ উপস্থিত সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সামনের দিনগুলোতেও সকে লর সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে লালন উৎসবের পরিধি বাড়ানোর অভিপ্রায় পূরণ হবে বলে মনে
করছি।
অধ্যাপক হুসেন কবির বলেন, লালন বিশ্বসমাজকে যে বার্তা দেয় সেটি হচ্ছে মানুষ ভজন করা। মানুষকে বুঝা। আজকে শুধু বাংলাদেশে নয়, যেখানেই মানবতার বিপর্যয় সেখানেই লালন প্রাসঙ্গিক। লালন ১৩৫ বছর আগে তিরোধান হয়েছেন, কিন্তু প্রতিদিনই তিনি উজ্জ্বল হয়ে উঠছেন। এই উজ্জ্বল হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে তার যে দর্শণ, মানবপ্রেমী দর্শণ, সেই দর্শনে আমরা রবীন্দ্রনাথকেও অবগাহন করতে দেখি। এবং রবীন্দ্রনাথ প্রচন্ডভাবে প্রভাবিত হয়েছেন লালন দ্বারা। লালন যদি শ্রেষ্ঠ বাঙালিদের একজন হোন তাতেও আপত্তি করবার কিছু নেই। তার গান শুধু গীত নয়, তার গান হচ্ছে মানব জীবনের অপূর্ব দর্শন। এই দর্শন যে আলো-আমাদেরকে মুক্ত হবার পথ দেখায়।

wp-image-65732" /> এসময় লালনের জীবন-কর্ম নিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, সাংবাদিক কৌশিক আহমেদ এবং ফজলুর রহমান, সাংস্কৃতিক সংগঠক সেলিমা আশরাফ, অভিনেত্রী ও সংগঠক লুৎফুন্নেসা লতা, কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট শামসুদ্দিন আজাদ, জাকারিয়া চৌধুরী, শাবান মাহমুদ, শিরো বাঙালি, ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার ড. দীলিপ নাথ প্রমুখ। উৎসবে বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ড. নুরুন্নবী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক লাবলু আনসার।বাংলাদেশ ক্লাব, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত উৎসবের সঞ্চালনায় ছিলেন সোনিয়া শারমিন এবং এ্যালভিস। সকল কর্মসূচির সমন্বয়ে ছিলেন লালন পরিষদের পরিচালক গোপাল সান্যাল, স্বীকৃতি বড়ুয়া, পিনাকি তালুকদার এবং পঙ্কজ তালুকদার। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রেখেছেন নিউইয়র্ক পুলিশের সাবেক
তিন কর্মকর্তা। শুরুতে ফরিদা পারভিনের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সকলে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন। লালন ফকিরের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে একটি সেমিনার ছাড়াও লালনের জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পীরা।

করছি।