
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

কী ঘটছে সেন্ট মার্টিন্সে? পরিবেশ রক্ষার নামে ধ্বংসলীলা আর বিশেষ উদ্দেশ্যে জনমানবহীন করাই লক্ষ্য?

ইউনূস সরকার ও তার মব বাহিনীর দমন-পীড়নে দেড়-দুই কোটি আওয়ামী লীগ কর্মী আজ ঘরছাড়া

মানবাধিকার সংকটে বাংলাদেশ: জাতিসংঘের নীরবতা কি ন্যায়বিচারের সহায়?

প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা

উচ্চমূল্যের চাপে মধ্যবিত্ত হয়ে যাচ্ছে নিম্নবিত্ত

বাজারে সবজির সেঞ্চুরি: ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই

কারাবন্দীদের উপর নির্যাতন: সংবিধান ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন
পিপিআরসি জরিপ: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ৭০% মানুষের উদ্বেগ ও শঙ্কা

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পারিবারিক সংকটের কারণে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, সমাজের প্রায় ৪৬ শতাংশ মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাহীন।
জরিপে অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশ মানুষ দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সন্তানের শিক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন ৬৫ শতাংশ এবং মাদক ও কিশোর অপরাধ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন যথাক্রমে ৫৬ ও ৫৫ শতাংশ মানুষ।
জরিপের পারিবারিক মনস্তত্ত্ব অংশে উঠে এসেছে, প্রায় ২০ শতাংশ পরিবার গুরুতর আর্থিক সংকটে রয়েছে। এদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ চিকিৎসা ব্যয়, আর ২৭ শতাংশ ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সরকারি কার্যালয় ও স্থানীয়
সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় ঘুষ কিছুটা কমলেও হয়রানি এখন বড় চ্যালেঞ্জ। জরিপে প্রথমবারের মতো এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, হয়রানির শিকার ৭৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, টাকা ছাড়া সরকারি কাজে অগ্রগতি হয় না। সরকারি সেবা পেতে হয়রানির শিকার হন ২১ শতাংশ মানুষ, আর স্বাস্থ্যসেবায় এই হার প্রায় ৪৯ শতাংশ। মানুষের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষায় ৫৩ শতাংশ সামাজিক সম্মানকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নতি ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবার দাবি তুলেছেন। রাজনৈতিক দিক থেকে ৫৬ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি প্রতিরোধকে প্রধান আকাঙ্ক্ষা হিসেবে দেখছেন। সেমিনারে অংশ নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, রাষ্ট্র কাঠামোগতভাবে অপ্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করায় জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। একসময় অর্থ উপার্জন জীবনের
তৃতীয় প্রধান বিষয় হলেও এখন তা যেকোনো উপায়ে অর্জনের প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ প্রশ্ন তোলেন, “এত বড় বিপ্লবের পরও কেন ৪৬ শতাংশ মানুষ আশাহীন হয়ে পড়েছেন?” তার মতে, নারী ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয় বাড়ছে, সমাজে সংঘাতমূলক মানসিকতা ছড়াচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অচলাবস্থা এবং কর্মসংস্থানের অভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক আসিফ বিন আলী বলেন, তরুণদের মধ্যে আশাহীনতা বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে নেপালের মতো বড় আকারের ক্ষোভে রূপ নিতে পারে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের স্বপ্নকে অর্থনৈতিক সুবিধায় রূপান্তর না করতে পারলে সমাজে চরমপন্থা বিস্তার লাভ করবে। ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিকসের (দায়রা) গবেষক ভূঁইয়া মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, শহরে ভাসমান মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায়
হয়রানি প্রবণতাও বেশি। এসব সমস্যা কেবল অর্থ নয়, সেবার অপ্রাপ্যতার সঙ্গেও সম্পর্কিত। সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানুষের বড় অংশ আশাহীন হয়ে পড়া উদ্বেগজনক। এ পরিস্থিতির কারণ গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা জরুরি।
সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় ঘুষ কিছুটা কমলেও হয়রানি এখন বড় চ্যালেঞ্জ। জরিপে প্রথমবারের মতো এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, হয়রানির শিকার ৭৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, টাকা ছাড়া সরকারি কাজে অগ্রগতি হয় না। সরকারি সেবা পেতে হয়রানির শিকার হন ২১ শতাংশ মানুষ, আর স্বাস্থ্যসেবায় এই হার প্রায় ৪৯ শতাংশ। মানুষের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষায় ৫৩ শতাংশ সামাজিক সম্মানকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নতি ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবার দাবি তুলেছেন। রাজনৈতিক দিক থেকে ৫৬ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি প্রতিরোধকে প্রধান আকাঙ্ক্ষা হিসেবে দেখছেন। সেমিনারে অংশ নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, রাষ্ট্র কাঠামোগতভাবে অপ্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করায় জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। একসময় অর্থ উপার্জন জীবনের
তৃতীয় প্রধান বিষয় হলেও এখন তা যেকোনো উপায়ে অর্জনের প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ প্রশ্ন তোলেন, “এত বড় বিপ্লবের পরও কেন ৪৬ শতাংশ মানুষ আশাহীন হয়ে পড়েছেন?” তার মতে, নারী ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয় বাড়ছে, সমাজে সংঘাতমূলক মানসিকতা ছড়াচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অচলাবস্থা এবং কর্মসংস্থানের অভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক আসিফ বিন আলী বলেন, তরুণদের মধ্যে আশাহীনতা বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে নেপালের মতো বড় আকারের ক্ষোভে রূপ নিতে পারে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের স্বপ্নকে অর্থনৈতিক সুবিধায় রূপান্তর না করতে পারলে সমাজে চরমপন্থা বিস্তার লাভ করবে। ঢাকা ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিকসের (দায়রা) গবেষক ভূঁইয়া মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, শহরে ভাসমান মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায়
হয়রানি প্রবণতাও বেশি। এসব সমস্যা কেবল অর্থ নয়, সেবার অপ্রাপ্যতার সঙ্গেও সম্পর্কিত। সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানুষের বড় অংশ আশাহীন হয়ে পড়া উদ্বেগজনক। এ পরিস্থিতির কারণ গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা জরুরি।