খুলনায় ইসলামী ব্যাংকের ভিতর গ্রাহক নির্যাতনে তোলপাড় – ইউ এস বাংলা নিউজ




খুলনায় ইসলামী ব্যাংকের ভিতর গ্রাহক নির্যাতনে তোলপাড়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ জুলাই, ২০২৫ | ৬:৪২ 4 ভিউ
ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা আটক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী মামলা উঠাতে দেয়া হচ্ছে হুমকি চোখ বেঁধে হাতুড়ি ও প্লাস দিয়ে নির্যাতন খুলনায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ফুলতলা শাখার স্টোর রুমে গ্রাহকের চোখ ও মুখ বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং প্লাস দিয়ে নখ উঠানোর সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। সংবাদ প্রকাশের পরপরই ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশের পর পরই ব্যাংকে সকল কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এ সময় একটি রাজনৈতিক দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে ভুক্তভোগী সাইফুল্লাহ হাজেরীর মামা জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ফুলতলা থানায় ব্যাংকের তিনজন কর্মকর্তা

সহ ৭/৮ জনকে অজ্ঞতানামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জেল্লাল হোসেন। শুক্রবার তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর মামা বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ব্যাংকের কর্মকর্তা আশিকুর রহমান, মিজানুর রহমান এবং আব্দুল আল মামুনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী সাইফুল্লাহ হাজেরী গতকাল দুপুরে জানান, মামলা করার পর থেকে হুমকিতে আছে। মামলা উঠানোর জন্য বিভিন্ন দিক থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে যে টাকা পাবে সেটা দিতে রাজি হয়েছি। আমাদের কাছ থেকে একাধিক ব্লাঙ্ক চেক ও স্ট্যাম্প লিখে নিয়েছে তারা। তারপরেই অমানুষিক নির্যাতন। দুইজনের বিপক্ষে মামলা করায় উল্টো আমাদেরই হুমকিতে রেখেছে তারা।

এমন অবস্থায় আমরা কি করব বুঝতেছি না। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থাও খুব ভালো হচ্ছে না। আগামীকাল এখান থেকে অন্য হাসপাতালে যাবো উন্নত চিকিৎসার জন্য। কি ঘটেছিল ব্যাংকে ভূক্তভোগী সাইফুল্লাহ হাজেরী বুধবার খুলনা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রতিবেদককে জানায়, মঙ্গলবার ফুলতলার ইসলামী ব্যাংক শাখায় আমাকে যেতে বলা হয়। আনুমানিক বিকাল ৪টার দিকে আমি ব্যাংকে যাই। ঐসময় আমার বাবাও ব্যাংকে ছিলেন। ব্যাংকের কর্মকর্তারা আমাকে এজেন্ট ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে বিভিন্নভাবে দোষারপ করার চেষ্টা করে। আমি তাদের বলি আমরা যদি টাকা আত্মসাত করতাম তাহলে এভাবে চলাফেরা করতাম না। তাছাড়া আমার বাবা জমি বিক্রি করে খুব দ্রুতই এই ক্ষতিপূরণ দিবে। ইতিমধ্যে

আপনারা ব্ল্যাংক চেক ও ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছেন। তখন ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলে, দ্রুত টাকা পরিশোধ করতে হবে না হলে সমস্যা। পাশাপাশি আমার ব্লাংক চেকে স্বাক্ষর করতে বলে। আমি তখন আমার বাবাকে চেকবই আনার জন্য বাড়িতে পাঠায়। এই সুযোগে ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার আশিক আমার হাত ধরে ব্যাংকটির ষ্টোর রুমে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার চোখ ও মুখ বেঁধে ফেলে ৪/৫জন। এরপর তারা হাতুড়ি দিয়ে আমার পায়ের তালু এবং হাটুতে পেটাতে থাকে। পাশাপাশি প্লাস দিয়ে আমার নখ উঠানোর চেষ্টা করে। এরপর তারা ষ্ট্যাম্প, চেকসহ সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষর করিয়ে রাখে। নির্যাতনের নেপথ্য নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন ইষ্টার্ন গেট এলাকায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের

মালিক মেসার্স হাজেরী এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারী এ এইচ এম শফিউল্লাহ হাজেরীর ছেলে ভুক্তভোগী সাইফুল্লাহ হাজেরী। চলতি মাসে এজেন্ট ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসা করে পালিয়ে যায় এজেন্ট ব্যাংকের ক্যাশ ইনচার্জ কাগজি মাহবুবুর রহমান এবং মার্কেটিং অফিসার মনিরুল গাজী। এই ঘটনার পর ব্যাংকটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একটি টিম সেখানে আসে। পাশাপাশি দুইজন প্রিন্সিপাল অফিসার দিয়ে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়। অন্যদিকে গ্রাহকদের তাগেদা এবং ব্যাংকটির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে ফুলতলার ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা মরিয়া হয়ে পড়ে। তারা এজেন্ট ব্যাংকটির মালিক শফিউল্লাহ হাজেরীর নিকট থেকে একাধিক ব্ল্যাংক চেকসহ ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীর বাবা এ এইচ এম শফিউল্লাহ হাজেরী বলেন, গ্রাহকের টাকা

পরিশোধের জন্য আমরা জমি বিক্রির কাজ শুরু করেছি। ব্যাংকের কথা অনুযায়ী চেক ও ষ্ট্যাম্পেও স্বাক্ষর করেছি। তারপরও আমার ছেলেকে এইভাবে ব্যাংকের ভিতর নির্যাতন করাটা ঠিক হয়নি। ইসলামী ব্যাংকের ফুলতলা শাখা ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান জানান, ঘটনার সময় আমি ব্যাংকে ছিলাম না। কি হয়েছে এবং কেন হয়েছে এটা আমি পরিষ্কারভাবে জানি না। যে কর্মকর্তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বৃষ্টির অজুহাতে কাঁচা মরিচের কেজি এক লাফে ৩০০, চড়া সবজির দামও ভিয়েতনামে উল্টে গেল স্লিপার বাস, নিহত ১০ ভারতে মেডিকেল ছাত্রীর আত্মহনন, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ মার্কিন শুল্কনীতির প্রভাবে কমতে পারে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ‘বাংলাদেশ সংস্কারে এগোলেও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ কাটেনি’ ইরানের আদালতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৬ কুবির ৪৭১ কোটির জমি প্রকল্পে দুর্নীতি, অনুসন্ধানে দুদক ইতালির রাস্তায় মুখ থুবড়ে পড়ল বিমান, প্রেমিক-প্রেমিকা নিহত ভারতে নিষিদ্ধ হলো ২৪টি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পাকিস্তানে টিকটকারের ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে একসঙ্গে সময় কাটাবেন শাকিব-শেহজাদ, থাকবেন বুবলীও দগ্ধ ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, দুজনকে ছাড়পত্র গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, ভর্তি ৩৩১ এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে রাশিয়া এআই উন্নয়ন ও নিরাপত্তার ভারসাম্য জরুরি: চীনের প্রধানমন্ত্রী ভারত ‘দক্ষিণ এশিয়ার ইসরাইলে’ পরিণত হয়েছে: সাদিক কায়েম ভারত-সমর্থিত ৩ জঙ্গিকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে রাশিয়া ইরানে বিচার বিভাগের ভবনে গ্রেনেড হামলা তুরস্কে মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য আটক, মিশরের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার ইঙ্গিত