‘মা হাসপাতাল এত দূরে কেন’ – ইউ এস বাংলা নিউজ




‘মা হাসপাতাল এত দূরে কেন’

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ জুলাই, ২০২৫ | ৫:৩০ 95 ভিউ
‘মা হাসপাতাল এত দূরে কেন? হাসপাতাল কাছাকাছি হতে পারে না। আমাকে তোমরা চিকিৎসা করাতে বিদেশে নিয়ে যাও।’ এটা ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ ছামীমের (১৩) শেষ কথা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ কথা জানান আব্দুল্লাহর মা জুলেখা বেগম। আহাজারি করতে করতে বলেন, ‘আমার বাবাটা বাঁচতে চাইছিল। কেন তাকে এভাবে চলে যেতে হলো। ওর বাবা মারা গেল সাত মাস আগে। আমি এই শোক কীভাবে সহ্য করব।’ আব্দুল্লাহ ছামীম শরীয়তপুরের সখিপুর উপজেলার ডিএমখালী মাঝিকান্দি এলাকার মৃত আবুল কালাম মাঝির ছেলে। সোমবার দুপুরে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় সে। সহপাঠীদের সঙ্গে তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়।

রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে মরদেহ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের ডিএমখালী মাঝি কান্দিতে আনা হয়। সকাল ৯টায় ডিএমখালী চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশে সমাহিত করা হয়। আব্দুল্লাহর এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজন ও এলাকাবাসী। জানা গেছে, আবুল কালাম মাঝি ও জুলেখা বেগম দম্পতির সন্তান আব্দুল্লাহ ছামীম। পরিবারের সঙ্গে ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ী খালপাড় এলাকায় থাকত সে। ভাইবোনদের মধ্যে সবার ছোট আব্দুল্লাহর স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করলেও পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় তাকে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তি করে পরিবার। গত ডিসেম্বর মাসে সৌদিতে মারা যান বাবা আবুল কালাম মাঝি। এর সাত

মাস না পেরোতেই চলে গেল পরিবারের আদরের ছোট্ট আব্দুল্লাহ। আব্দুল্লাহ ছামীমের মামাতো ভাই বারেক বলেন, সবার আদরের ছিল আব্দুল্লাহ। সাত মাস আগে সৌদি আরবে ওর বাবা মারা যান। সেই শোক কাটাতে না কাটাতে সে আমাদের ছেড়ে চলে গেল। সবাই দোয়া করবেন, যাতে আল্লাহ ওকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। আব্দুল্লাহর মামা সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলেন, আব্দুল্লাহর প্রবাসী বাবার স্বপ্ন ছিল সে চিকিৎসক হবে। বাবার মৃত্যুর পর ওকে সবাই আগলে রেখেছিলাম। আমরা তাকে রক্ষা করতে পারলাম না। তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। ভেদরগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোহাম্মদ মোজাহেরুল হক বলেন, একটি মর্মান্তিক ঘটনায় ঝরে

গেল আব্দুল্লাহসহ অনেক শিশুর জীবন। আমরা আব্দুল্লাহর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যে কোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে আছি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
যেসব কারণে স্মার্টফোনের ব্যাটারি ফুলে যেতে পারে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দায়িত্বে ফিরছে এপিবিএন এক সচিবকে দুদকের মামলা থেকে বাঁচাতে দেড়শ কোটি টাকার চুক্তি শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় বাগরাম বিমানঘাঁটি নিয়ে আবারও আফগানিস্তান দখলের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের? ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো উগ্রপন্থি মতাদর্শে প্রভাবিত: পাকিস্তান সেনাবাহিনী কিছু টিভি নেটওয়ার্কের লাইসেন্স বাতিল করা উচিত: ট্রাম্প সামরিক ড্রোন তৈরিতে এআই প্রযুক্তিতে নজর কিম জং উনের জাতিগত নিধনের সব অস্ত্রই ব্যবহার করছে ইসরাইল: ইয়েমেনি নেতা যুক্তরাষ্ট্র ‘পুতুল সরকার’ বসানোর চেষ্টা করছে, অভিযোগ মাদুরোর বাবা হারালেন ‘ইত্যাদি’র জনপ্রিয় অভিনেতা নিপু আবারও ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ হলেন মিথিলা এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচ কবে কখন? এক নজরে দেখে নিন সূচি ওষুধের দোকানে মদ বিক্রি, বাবা-ছেলেসহ আটক ৩ তিন মাসে বিদেশি ঋণ বাড়ল সাত বিলিয়ন ডলার মুমিনের জীবনে ভুল থেকে শিক্ষা অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে চাকসুর ফল জাহেলি যুগে আরবের দীর্ঘতম যুদ্ধ সারে গ্যাসের দাম বাড়াবে পেট্রোবাংলা ৭০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী পোদ্দার বাড়ি