সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় টেক্সটাইল মিলের সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাত ঘটছে – ইউ এস বাংলা নিউজ




সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় টেক্সটাইল মিলের সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাত ঘটছে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৩ জুলাই, ২০২৫ | ১১:২৪ 16 ভিউ
আশ্বাসের এক সপ্তাহ পার হলেও তুলা আমদানিতে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) প্রত্যাহার করা হয়নি। এ কারণে টেক্সটাইল শিল্পের সাপ্লাই চেইনে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় থাকা তুলা নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি পোর্ট ডেমারেজ বাড়ছে। এ অবস্থায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের আদেশ জারি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। এতে বলা হয়, গত ৭ জুলাই বিটিএমএ’র একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অবিলম্বে প্রত্যাহার, পূর্বের ন্যায় ১৫ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স পুনর্বহাল এবং সুতা কেজিপ্রতি সুনির্দিষ্ট কর ৫ টাকা অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে অর্থ

মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করে। বৈঠকে এনবিআরের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন। অর্থ উপদেষ্টা ও এনবিআর চেয়ারম্যান বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে তুলা আমদানিতে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের আশ্বাস দেন। কিন্তু এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বরং বিষয়টিতে সিদ্ধান্তহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে প্রকারান্তরে পার্শ্ববর্তী দেশের সুতা উৎপাদনকারী ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। টেক্সটাইল মিল মালিকরা বলছেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মন্দায় বাংলাদেশের শিল্প, অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গ্যাসের দ্বিগুণের বেশি মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের সংকট, টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের ঘাটতি, ব্যাংক সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে ১৫-১৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি এবং রপ্তানির বিপরীতে নগদ

প্রণোদনার অস্বাভাবিক হ্রাস করায় টেক্সটাইল মিলগুলো ধুঁকছে। এছাড়াও প্রতিবেশী দেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে ডিউটি পরিশোধ ব্যতীত অবাধে সুতা আমদানি হচ্ছে। ফলে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে এবং মিলগুলো অচিরেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টেক্সটাইল শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে জরুরি ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যেমন শিল্পের ওয়ার্কিং ক্যাপিটালপ্রাপ্তিতে সহায়তা করা, ব্যবসাবান্ধব পলিসি নির্ধারণ, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য যখন তখন বৃদ্ধি না করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ, যেসব ব্যবসায়ী ঋণ ঝুঁকিতে পড়েছেন তাদেরকে এক্সিট প্ল্যানের মাধ্যমে অব্যাহতি দেওয়া, নতুন নতুন সেক্টরে শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে সহযোগিতা করা ও নীতিসহায়তা প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহের

পরিমাণ বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করা এবং পুরাতন ব্যবসায়ীদের ওপর ট্যাক্সের পরিমাণ বৃদ্ধি না করে নতুন করদাতার সন্ধান করা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ভুয়া এনআইডি দিয়ে পাসপোর্ট গিয়ে ৩ রোহিঙ্গা আটক ইউক্রেনে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে আমেরিকা: ট্রাম্প বাংলাদেশের রেকর্ড হলো, আবার হলোও না গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত মিনিকেট নামে চাল সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ ভোক্তা অধিকারের মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বন্ধ এক ম্যাচ পরই তিন বদল বাংলাদেশ দলে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না: জাপা মহাসচিব উড্ডয়নের পরই যুক্তরাজ্যে প্লেন বিধ্বস্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত আদালতে আত্মসমর্পণ অপু বিশ্বাসের, পেলেন জামিন ট্রাই-ফোল্ড স্মার্টফোন আনছে স্যামসাং বাড্ডায় পোশাকশ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার এবার একাই চার চরিত্রে আল্লু অর্জুন নিহত সোহাগের পরিবারের পাশে বিএনপি, খুনিদের ফাঁসির দাবি শেরপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় তিন মাদ্রাসাছাত্র নিহত লিটনের ফিফটিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং স্কোর বিয়ের ধারণাটা আমার কাছে ভয়ংকর: শ্রুতি আয়ারল্যান্ডে গণকবরের সন্ধান, গোপন চেম্বারে ৭৯৬ শিশুর সমাধি চবি ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ