অভিনেত্রী শাওন-ডিবি হারুনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা – ইউ এস বাংলা নিউজ




অভিনেত্রী শাওন-ডিবি হারুনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২২ মে, ২০২৫ | ৫:৫৮ 56 ভিউ
সৎ মা নিশি ইসলামের করা মামলায় অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অপর আসামিরা হলেন-ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। অপর ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেফতারি

পরোয়ানা জারি করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি পারভেজ সুমন জানান, 'এদিন মামলার তারিখ ধার্য ছিলো। মামলা চলমান থাকাবস্থায় আসামিরা যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন এজন্য তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।' বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট মো. পিন্টু আসামিদেরর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আগামি ১ জুলাই মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। এদিকে এদিন জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে হাজিরা দেন। জানা যায়, গত ১৩ মার্চ শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে ইঞ্জিনিয়ার

মোহাম্মদ আলী পূর্বের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারণা করে, প্রলোভন দেখিয়ে নিশি ইসলামকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন মো. আলী পূর্বেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন যা তিনি গোপন করেন। তার পূর্বের একটি পুত্র ও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তার প্রথম বিয়ে সম্পর্কে জানাতে বিভিন্ন রকমের ছলনা ও প্রতারণার আশ্রয় নেন এবং তার সব প্রতারণার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য হুমকি দেয়। এরপর ৪ মার্চ মো. আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন। তখন তার পূর্বের

স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পান। এ সময় অন্যান্য আসামিরা তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানানোতে শাওন তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এর ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরপর ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন ডিবি পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানেও শাওনসহ অন্যান্য আসামিরা মারধর করেন। এসময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন

করে এবং মাদক ব্যবসায়ী সাজায়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
আমি গর্বিত, আমার সব নায়িকা আজ উদযাপনে শামিল: দেব ডেঙ্গুতে দেশে রেকর্ড মৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত ৮ ছাত্রদল নেতা কারাগারে যেসব জেলায় রাতেই ঝড় হতে পারে ‘আ.লীগ ধরলেই ৫ হাজার টাকা পুরস্কার’ বিষয়ে যা জানাল ডিএমপি সংকটের দায় কাঁধে চাপাতেই কি প্রথমবার নারী প্রধানমন্ত্রী বেছে নিচ্ছে জাপান? ছয় মাসে ব্যাংকের চাকরি হারিয়েছেন ৯৭৮ জন বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ আজ, বাংলাদেশ সময় কখন শুরু হঠাৎ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন মোদি, বাড়ছে গুঞ্জন ১৩ মাসেও শেষ হয়নি শেখ হাসিনার চালের মজুদ: বস্তা দেখে বিরক্ত হয়ে চলে গেলেন ইউএনও ভুঁইফোঁড় অ্যাওয়ার্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পূর্ণিমা বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে চায় স্টারলিংক সড়কের কাজ কাগজে, বাস্তবে নেই দুই মার্কিন জাহাজ কেনার চুক্তি আজ রাবিতে পোষ্য কোটা স্থগিত ৫ দিনে মূলধন কমেছে দুই হাজার ৬৬১ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে ২১৩ কোটি টাকা ঘুষ নেন সাইফুজ্জামান সময় বদলে দেদার চলছে রাজধানীর সিসা বার প্রকল্পে অপচয়ের উৎসব বাড়ল স্বর্ণের দাম