ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
চিন্ময়কে নিয়ে শেখ হাসিনার বিবৃতি
এবার বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে নালিশ
এজলাস কক্ষে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
এবার বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
আ‘লীগকে রাজনীতি করতে দেয়ার পক্ষে ৫৭% মানুষ
জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার
আইনজীবী আলিফ হত্যার ভিডিও দেখে ৬ জনকে আটক
উত্তাল চট্টগ্রামসহ সারাদেশ, ইসকন নিষিদ্ধের দাবি
চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং খুনিদের বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামসহ সারাদেশ। চট্টগ্রাম আদালতে নথিপত্রে বিক্ষুব্ধরা আগুন দিয়েছে। পাশাপাশি দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন আইনজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী।
এসব কর্মসূচি থেকে আলিফ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ইসকনকে নিষিদ্ধের জোর দাবি জানানো হয়। না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে বিনষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সরকার ও দেশবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়।
বিক্ষুব্ধ আলেমরা মাদারীপুরের শিবচরে ইসকন কার্যালয় বন্ধ করে দেন। সহকর্মী খুনের ঘটনায় চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি
আজ বৃহস্পতিবারও আদালত বর্জনসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে। এদিকে চার দফা জানাজা শেষে গতকাল চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে আলিফের দাফন সম্পন্ন হয়। তাঁর লাশ গ্রামে নেওয়ার পর কান্নার রোল পড়ে যায়। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। মরহুমের জানাজায় ঢল নামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী আলিফকে (৩৫) হত্যা করা হয়। এ জন্য ইসকন কর্মীদের দায়ী করেছেন আইনজীবীরা। ইসকন নিষিদ্ধের দাবি সারজিস-হাসনাতের দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত
আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছেন তারা। বুধবার দুপুরে নগরের টাইগারপাস মোড়ে আয়োজিত শোক এবং সম্প্রীতি সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা। এ সময় ভারতে বসে শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ‘ইসকন জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী’ বলে স্লোগান দেন। নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করার কারণে চারপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সারজিস আলম বলেন, ‘দেশের সাধারণ সনাতনীরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনার দালালরা ইসকনকে উস্কে দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, সেই রক্তের
ওপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেতাত্মাও উস্কানি দেয়। ছোটখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা। কোনো উগ্রবাদী সংগঠনকে বাংলাদেশে কোনো জায়গা দেওয়া হবে না।’ হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে ইসকন। উগ্র হিন্দুত্ববাদী এই জঙ্গি সংগঠন আলিফ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ভারতে বসে স্বৈরাচার হাসিনা যত ষড়যন্ত্র করুক না কেন, আমরা রুখে দেব। বাংলাদেশে সব ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। ধর্মের নামে উগ্রবাদের ঠাঁই নেই এখানে। অবিলম্বে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ আদালতে নথিপত্রে আগুন ইসকনকে সহায়তার অভিযোগে গতকাল চট্টগ্রাম আদালতের ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের অফিসের (মুন্সি সমিতি) নথিপত্রে আগুন দিয়েছেন ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। দুপুরে আদালতের প্রবেশমুখে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার উল্টো পাশে
ওই সমিতির অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিসংযোগের ফলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি পুড়ে যায়। কয়েকজন মুন্সি জানান, আইনজীবীরা সমিতির কাগজপত্র জ্বালিয়ে দিয়েছেন। সমিতির কিছু সনাতনী ভাই ইসকনের পক্ষে পোস্ট দিয়েছিল। এ নিয়ে মুসলিম আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাজ করেছেন। এদিকে আইনজীবী হত্যাকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ার চারপাশে গতকাল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হত্যাকাণ্ডের পর গত মঙ্গলবার রাত থেকে নগরের ওষুধের বড় পাইকারি মোকাম হাজারী গলিসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি মার্কেটে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে আতঙ্কে গতকালও হাজারী গলির বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। এতে বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ কিনতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়েন। কোনো গোষ্ঠী যেন টার্গেট না হয়: ভূমি উপদেষ্টা দুপুরে
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আলোচনা সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেছেন, ‘কোনো অপরাধীর জন্য কোনো সংগঠন বা কোনো দল কিংবা কোনো গোষ্ঠী যাতে টার্গেটে পরিণত না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। একজন ব্যক্তি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে সে জন্য সে নিজে দায়ী। তার সামাজিক, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পরিচয় সামনে আনা ঠিক না। আইন অনুযায়ী তার যে সাজা হাওয়া দরকার, তাকে সেটাই পেতে হবে। যে সংগঠনের সঙ্গে তাঁর (চিন্ময় কৃষ্ণ) সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়েছে, সে সংগঠন তাঁকে অস্বীকার করেছে। তারা এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে। আজও কর্মবিরতি আইনজীবীদের আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবারও দ্বিতীয় দিনের মতো আদালতের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত
নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে গতকাল আদালতে আইনজীবীদের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত ছিল। এর আগে দুপুরে আইনজীবীরা শোক মিছিল করেন। শিবির-হেফাজতের বিক্ষোভ আলিফ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে শোডাউন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে শিবিরের কর্মসূচিতে সংগঠনটির চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে ওয়াসা মোড়ে হেফাজতে ইসলাম মিছিল করে। হেফাজতের দু’জন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সচিব ও স্থানীয় নেতারা এতে বক্তব্য দেন। জানাজায় হত্যাকারীদের বিচার দাবি চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদে আলিফের প্রথম জানাজায় উপস্থিত হয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই না কতিপয় সন্ত্রাসীর কারণে সাধারণ সনাতনী কিংবা অন্য মানুষ কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হোক। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ নগরী চাই।’ নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘১৫ দিন ধরে আমি বলে আসছি, এই চিন্ময় দাস প্রেস ক্লাবের সামনে উস্কানিমূলক সমাবেশ করেছেন। আমি বলেছি, তারা বেড়ে যাচ্ছে। তাদের আর কোনো কর্মসূচি করতে দেবেন না।’ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গণে আসামির প্রিজনভ্যান ঘেরাও করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে। এটিও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড বলে আমরা মনে করি। চোখের জলে আলিফকে বিদায় গতকাল দুপুরের দিকে আলিফের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ফারাঙ্গায় পৌঁছালে স্থানীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বুক চাপড়ে কাঁদতে দেখা যায় আলিফের অনেক স্বজনকেও। তাঁর পিতা জামাল উদ্দিন, মা হোসনে আরা বেগম ও স্ত্রী ইসরাত জাহান তারিন বারবার মূর্ছা যান। আলিফ তাঁর অনাগত সন্তানের মুখ দেখতে পেলেন না বলে মা হোসনে আরা এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অন্যান্য স্বজন ও প্রতিবেশীর চোখও পানিতে ছলছল করছিল। এর আগে আলিফের মরদেহ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সদরের ড. কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম স্টেডিয়াম মাঠে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো এলাকায়। এর আগেই পুরো মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। বিকেল পৌনে ৫টায় ফারাঙ্গা পশ্চিম কূল হজরত আবদুল লতিফ শাহ মাজার মাঠ প্রাঙ্গণে সর্বশেষ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। দেশজুড়ে বিক্ষোভ রাজধানীর তোপখানায় গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এটা হিংসার চূড়ান্ত জায়গায় যাচ্ছে। এ ঘটনা যখন শুরু হয়েছে, তখন প্রতিবেশী দেশের বক্তব্য-বিবৃতি আমাদের চিন্তিত করে। গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, ভারত সরকার যে ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছে, এটাকে মনে করি এক ধরনের উস্কানি দেওয়ার শামিল। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, হত্যার যে ধরন, তা দেখে বোঝা যায়, তারা উস্কানি দিচ্ছে, যাতে মুসলমানরা তাদের (হিন্দুদের) ওপর হামলা করে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সম্প্রীতির সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখবেন, ইসকনের উগ্রবাদীরা সিলেটে রথযাত্রায় হামলা করেছিল। কুড়িগ্রামে এই উগ্রবাদীরা গ্রাম থেকে সনাতনী ভাইবোনদের তাড়িয়ে দিয়ে দখল করেছিল। ইসকন মানেই সনাতনী নয়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে মিছিল, সমাবেশ ও বিবৃতি দিয়েছে। সমাবেশ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও কেউ যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে, সে ব্যাপারে সরকার ও জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ বিবৃতিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানায়। এ ছাড়া আলিফ হত্যার বিচার এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হাইকোর্ট ও ঢাকা জজ আদালত, মেহেরপুর, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, নরসিংদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইলের মধুপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটিয়া, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চিন্ময় দাসের মুক্তি দাবি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সনাতন মঞ্চ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মিথুন ভট্টাচার্য, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী মহেশ্বনান্দ পুরি মহারাজ ও সুস্মিতা কর। শিবচরে ইসকন কার্যালয় বন্ধ মাদারীপুরের শিবচরে বিক্ষোভের মুখে ইসকন অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকালে আলেম সমাজ ও বিক্ষুব্ধরা টিঅ্যান্ডটি রোডের ইসকন অনুমোদিত শ্রীশ্রী রাধারমণ নাম হট্ট মন্দিরের সামনে এসে জড়ো হয়ে ইসকন সাধুদের (প্রভুদের) আধা ঘণ্টার মধ্যে চলে যেতে আলটিমেটাম দেন। এক পর্যায়ে শিবচর থানা পুলিশের পাহারায় সাধুরা প্রাইভেটকারে চড়ে চলে যান। ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা জামালগঞ্জে চিন্ময় দাসের মুক্তি চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় অভি দাস নামের এক কিশোরকে পুলিশে দিয়েছেন তার বাবা বিমল দাস। তার ওই পোস্ট নিয়ে স্থানীয় আলেম-ওলামাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গতকাল সকালে অভিযুক্ত অভিকে তার বাবা থানায় হস্তান্তর করেন।
আজ বৃহস্পতিবারও আদালত বর্জনসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে। এদিকে চার দফা জানাজা শেষে গতকাল চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে আলিফের দাফন সম্পন্ন হয়। তাঁর লাশ গ্রামে নেওয়ার পর কান্নার রোল পড়ে যায়। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। মরহুমের জানাজায় ঢল নামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী আলিফকে (৩৫) হত্যা করা হয়। এ জন্য ইসকন কর্মীদের দায়ী করেছেন আইনজীবীরা। ইসকন নিষিদ্ধের দাবি সারজিস-হাসনাতের দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত
আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আলিফ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছেন তারা। বুধবার দুপুরে নগরের টাইগারপাস মোড়ে আয়োজিত শোক এবং সম্প্রীতি সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা। এ সময় ভারতে বসে শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ‘ইসকন জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী’ বলে স্লোগান দেন। নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করার কারণে চারপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সারজিস আলম বলেন, ‘দেশের সাধারণ সনাতনীরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনার দালালরা ইসকনকে উস্কে দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। যে রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, সেই রক্তের
ওপর দাঁড়িয়ে ভারতের কিছু প্রেতাত্মাও উস্কানি দেয়। ছোটখাটো কিছু জঙ্গি ইসকনকে দেশছাড়া করা আমাদের জন্য হাতের ময়লা। কোনো উগ্রবাদী সংগঠনকে বাংলাদেশে কোনো জায়গা দেওয়া হবে না।’ হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে ইসকন। উগ্র হিন্দুত্ববাদী এই জঙ্গি সংগঠন আলিফ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ভারতে বসে স্বৈরাচার হাসিনা যত ষড়যন্ত্র করুক না কেন, আমরা রুখে দেব। বাংলাদেশে সব ধর্মের সহাবস্থান থাকবে। ধর্মের নামে উগ্রবাদের ঠাঁই নেই এখানে। অবিলম্বে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ আদালতে নথিপত্রে আগুন ইসকনকে সহায়তার অভিযোগে গতকাল চট্টগ্রাম আদালতের ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের অফিসের (মুন্সি সমিতি) নথিপত্রে আগুন দিয়েছেন ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। দুপুরে আদালতের প্রবেশমুখে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার উল্টো পাশে
ওই সমিতির অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিসংযোগের ফলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি পুড়ে যায়। কয়েকজন মুন্সি জানান, আইনজীবীরা সমিতির কাগজপত্র জ্বালিয়ে দিয়েছেন। সমিতির কিছু সনাতনী ভাই ইসকনের পক্ষে পোস্ট দিয়েছিল। এ নিয়ে মুসলিম আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ কাজ করেছেন। এদিকে আইনজীবী হত্যাকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ার চারপাশে গতকাল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হত্যাকাণ্ডের পর গত মঙ্গলবার রাত থেকে নগরের ওষুধের বড় পাইকারি মোকাম হাজারী গলিসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি মার্কেটে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে আতঙ্কে গতকালও হাজারী গলির বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। এতে বিভিন্ন স্থান থেকে ওষুধ কিনতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়েন। কোনো গোষ্ঠী যেন টার্গেট না হয়: ভূমি উপদেষ্টা দুপুরে
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আলোচনা সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেছেন, ‘কোনো অপরাধীর জন্য কোনো সংগঠন বা কোনো দল কিংবা কোনো গোষ্ঠী যাতে টার্গেটে পরিণত না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। একজন ব্যক্তি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে সে জন্য সে নিজে দায়ী। তার সামাজিক, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় পরিচয় সামনে আনা ঠিক না। আইন অনুযায়ী তার যে সাজা হাওয়া দরকার, তাকে সেটাই পেতে হবে। যে সংগঠনের সঙ্গে তাঁর (চিন্ময় কৃষ্ণ) সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়েছে, সে সংগঠন তাঁকে অস্বীকার করেছে। তারা এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে। আজও কর্মবিরতি আইনজীবীদের আলিফ হত্যার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবারও দ্বিতীয় দিনের মতো আদালতের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত
নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে গতকাল আদালতে আইনজীবীদের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত ছিল। এর আগে দুপুরে আইনজীবীরা শোক মিছিল করেন। শিবির-হেফাজতের বিক্ষোভ আলিফ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে শোডাউন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে শিবিরের কর্মসূচিতে সংগঠনটির চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে ওয়াসা মোড়ে হেফাজতে ইসলাম মিছিল করে। হেফাজতের দু’জন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সচিব ও স্থানীয় নেতারা এতে বক্তব্য দেন। জানাজায় হত্যাকারীদের বিচার দাবি চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদে আলিফের প্রথম জানাজায় উপস্থিত হয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই না কতিপয় সন্ত্রাসীর কারণে সাধারণ সনাতনী কিংবা অন্য মানুষ কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হোক। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ নগরী চাই।’ নগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘১৫ দিন ধরে আমি বলে আসছি, এই চিন্ময় দাস প্রেস ক্লাবের সামনে উস্কানিমূলক সমাবেশ করেছেন। আমি বলেছি, তারা বেড়ে যাচ্ছে। তাদের আর কোনো কর্মসূচি করতে দেবেন না।’ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গণে আসামির প্রিজনভ্যান ঘেরাও করে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে। এটিও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড বলে আমরা মনে করি। চোখের জলে আলিফকে বিদায় গতকাল দুপুরের দিকে আলিফের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ফারাঙ্গায় পৌঁছালে স্থানীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বুক চাপড়ে কাঁদতে দেখা যায় আলিফের অনেক স্বজনকেও। তাঁর পিতা জামাল উদ্দিন, মা হোসনে আরা বেগম ও স্ত্রী ইসরাত জাহান তারিন বারবার মূর্ছা যান। আলিফ তাঁর অনাগত সন্তানের মুখ দেখতে পেলেন না বলে মা হোসনে আরা এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অন্যান্য স্বজন ও প্রতিবেশীর চোখও পানিতে ছলছল করছিল। এর আগে আলিফের মরদেহ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সদরের ড. কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম স্টেডিয়াম মাঠে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে পুরো এলাকায়। এর আগেই পুরো মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। বিকেল পৌনে ৫টায় ফারাঙ্গা পশ্চিম কূল হজরত আবদুল লতিফ শাহ মাজার মাঠ প্রাঙ্গণে সর্বশেষ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। দেশজুড়ে বিক্ষোভ রাজধানীর তোপখানায় গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এটা হিংসার চূড়ান্ত জায়গায় যাচ্ছে। এ ঘটনা যখন শুরু হয়েছে, তখন প্রতিবেশী দেশের বক্তব্য-বিবৃতি আমাদের চিন্তিত করে। গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, ভারত সরকার যে ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছে, এটাকে মনে করি এক ধরনের উস্কানি দেওয়ার শামিল। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, হত্যার যে ধরন, তা দেখে বোঝা যায়, তারা উস্কানি দিচ্ছে, যাতে মুসলমানরা তাদের (হিন্দুদের) ওপর হামলা করে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সম্প্রীতির সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখবেন, ইসকনের উগ্রবাদীরা সিলেটে রথযাত্রায় হামলা করেছিল। কুড়িগ্রামে এই উগ্রবাদীরা গ্রাম থেকে সনাতনী ভাইবোনদের তাড়িয়ে দিয়ে দখল করেছিল। ইসকন মানেই সনাতনী নয়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে মিছিল, সমাবেশ ও বিবৃতি দিয়েছে। সমাবেশ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও কেউ যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে, সে ব্যাপারে সরকার ও জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ বিবৃতিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আহতদের সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানায়। এ ছাড়া আলিফ হত্যার বিচার এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হাইকোর্ট ও ঢাকা জজ আদালত, মেহেরপুর, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, নরসিংদী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইলের মধুপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটিয়া, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চিন্ময় দাসের মুক্তি দাবি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে সনাতন মঞ্চ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মিথুন ভট্টাচার্য, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী মহেশ্বনান্দ পুরি মহারাজ ও সুস্মিতা কর। শিবচরে ইসকন কার্যালয় বন্ধ মাদারীপুরের শিবচরে বিক্ষোভের মুখে ইসকন অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সকালে আলেম সমাজ ও বিক্ষুব্ধরা টিঅ্যান্ডটি রোডের ইসকন অনুমোদিত শ্রীশ্রী রাধারমণ নাম হট্ট মন্দিরের সামনে এসে জড়ো হয়ে ইসকন সাধুদের (প্রভুদের) আধা ঘণ্টার মধ্যে চলে যেতে আলটিমেটাম দেন। এক পর্যায়ে শিবচর থানা পুলিশের পাহারায় সাধুরা প্রাইভেটকারে চড়ে চলে যান। ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা জামালগঞ্জে চিন্ময় দাসের মুক্তি চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় অভি দাস নামের এক কিশোরকে পুলিশে দিয়েছেন তার বাবা বিমল দাস। তার ওই পোস্ট নিয়ে স্থানীয় আলেম-ওলামাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গতকাল সকালে অভিযুক্ত অভিকে তার বাবা থানায় হস্তান্তর করেন।