যে পদ্ধতি নির্বাচন চায় জামায়াত? – ইউ এস বাংলা নিউজ




যে পদ্ধতি নির্বাচন চায় জামায়াত?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ৫:৪৩ 54 ভিউ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সংসদীয় আসনভিত্তিক নির্বাচনের পরিবর্তে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চায়। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। এ ছাড়া নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল; দুবারের বেশি কোনো ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ না রাখা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ও দলীয় প্রতীক ব্যবহার পদ্ধতি বাতিল করার প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত। সোমবার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত সংস্কার প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন-ইসি সংস্কার কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হয়। লিখিত প্রস্তাবনায় ২২টি বিষয় উল্লেখ করেছে দলটি। জামায়াতের প্রস্তাবনায় বলা হয়- নির্বাচনের অংশীজন হিসেবে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তারা দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। জামায়াতের ২২ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করা। ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করা। ভোটার তালিকা হতে মৃত ও ভুয়া ভোটার বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য, নির্ভুল ও হালনাগাদ ভোটার তালিকা তৈরি করা। জাতীয় সংসদে অধিকতর দল ও মতের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional Representation) পদ্ধতি চালু করা। দুই বারের বেশি কোনো ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ না রাখা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ও দলীয় প্রতীক ব্যবহারের পদ্ধতি বাতিল করা। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি তার চাকরি বা পদ হতে অব্যাহতি বা দায়িত্বমুক্ত হওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার

পূর্বে জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না রাখা। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বাতিল করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্য কোনো নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মোতাবেক রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সেনাবাহিনী মোতায়েনের সুযোগ রাখা (এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সেনা মোতায়েনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রাখা যাবে না)। নির্বাচনে মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনীকে নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা এবং প্রয়োজনবোধে উক্ত সেনাসদস্যদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা। রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা বা জনবলকে প্রাধান্য দেওয়া। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এর ৮৯ (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত ধারা মোতাবেক নির্বাচনি অপরাধ বিচারের নিমিত্তে মোবাইল কোর্ট

পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা। নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ার পর হাই কোর্ট বিভাগে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দরখাস্ত (মামলা) দায়ের করা হলে অনূর্ধ্ব ১২ মাসের মধ্যে তা নিষ্পত্তির বিধান করা। নির্বাচনি দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ উঠলে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত করা। নির্বাচনকালে সরকারের সব প্রশাসনিক কার্যক্রমে নির্বাচন কমিশনের নজরদারির সুযোগ রাখা। নির্বাচনকালে ন্যূনতম ৩০ দিনের জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের যেকোনো সংসদীয় আসনের নির্বাচন সম্পূর্ণ বা আংশিক

বাতিল বা স্থগিত করার ক্ষমতা সংবলিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ (ক) অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করা। ভোট গ্রহণ ও ভোট গণনাকালে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত নিরপেক্ষ সাংবাদিক এবং দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের উপস্থিত থাকার সুযোগ রাখা। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা। নির্বাচিত সব জনপ্রতিনিধিকে প্রতি অর্থবছরে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ সম্পদ বিবরণী তথা আয়কর রিটার্ন (আয়কর অফিসের রশিদসহ) এর কপি নির্বাচন কমিশনে দাখিল করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা। এবং সর্বশেষ, কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে মনোনয়নের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটারদের মধ্য হতে ওই দলের নেতা-কর্মীদের ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী মনোনীত করার ব্যবস্থা করা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
চায়ের দোকানে তালা দেওয়ার অভিযোগ জবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনসিপিতে বিশেষ কমিটি গঠন ‘পতিতাদের শ্রমিক ঘোষণার প্রস্তাব ইসলামের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ নারী সংস্কার কমিশন ও তাদের প্রস্তাবনা বাতিলের আহ্বান লেবাননে বিস্ফোরণে তিন সেনা নিহত মৃত্যুপুরী গাজায় মৃত্যুঞ্জয়ী কিশোরী গাজায় জীর্ণ তাঁবুতে শীর্ণ জীবন ভারতে দলিত তরুণকে অপহরণ, নির্যাতন ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ বিশেষ সম্মাননা পেলেন বুবলী জাবিতে নতুন ভবনের স্থান নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, যা জানালো কর্তৃপক্ষ বন্ধুদের পছন্দের রিলস পাঠানোর নতুন ফিচার আনল ইনস্টাগ্রাম রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংক নয় লেবাননে বিস্ফোরণে তিন সেনা নিহত লেবাস বদলে বাজার নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ঘাটতি পূরণে বিদেশি ঋণে নির্ভরতা ৯৮ বছর ধরে চলছে কুরআন তিলাওয়াত বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত তোফায়েলের পালক পুত্রের ৩৪ কোটি টাকার সম্পদ! বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন প্রকল্প বাতিল নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়ায় পাশে থাকবে তুরস্ক