বাংলাদেশে ইসলামি উগ্রবাদ হলে ভারতের উগ্রবাদীদের জন্য সহায়ক হয় – ইউ এস বাংলা নিউজ




বাংলাদেশে ইসলামি উগ্রবাদ হলে ভারতের উগ্রবাদীদের জন্য সহায়ক হয়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৭ অক্টোবর, ২০২৪ | ৯:২৪ 60 ভিউ
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে ‘অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তার মতে, বাংলাদেশে ইসলামি উগ্রবাদ তৈরি হলে ভারতের যারা উগ্রবাদী রয়েছে, তাদের জন্য সহায়ক হয়। সেই জায়গা থেকে এই অপপ্রচার চালানো হয়ে থাকতে পারে। রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক সেমিনারে এ কথাগুলো বলেন নাহিদ ইসলাম। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে নিয়ে ভারতের দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে অপপ্রচার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এই আন্দোলনকে নিয়ে ভারতসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী অভ্যুত্থানের অন্যতম আন্দোলনকারী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ

সহকারী মাহফুজ আলমকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। ভারতের পত্রিকা ‘ইকোনমিক টাইমস’ কোনও ধরনের তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই মাহফুজ আলম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছে। সেই একই সুর আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রতিফলিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ ধরনের অপপ্রচারকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হচ্ছে যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নাহিদ ইসলাম বলেন, যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মাহফুজ আলম বৈশ্বিক মঞ্চে দাঁড়ালেন এবং আন্দোলনকে বৈশ্বিকভাবে পরিচিত করালেন, তখন থেকেই এই অপপ্রচার ছড়ানোর বিষয়টি বেশি করে হচ্ছে। কী উদ্দেশ্যে এসব ছড়ানো হচ্ছে, তা বোঝা দরকার বলে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের এই অভ্যুত্থানকে একধরনের ইসলামি উগ্রবাদের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে বাংলাদেশে একধরনের

উগ্রবাদের উত্থান ঘটছে এবং তাদের হাতেই এই অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। যেটি একেবারেই সত্য নয়; বরং একটি ইঞ্জিনিয়ারিং করা হচ্ছে। কারণ আমরা জানি, বাংলাদেশে ইসলামি উগ্রবাদ তৈরি হলে ভারতের যারা উগ্রবাদী রয়েছে, তাদের জন্য সহায়তা হয়। বিভিন্নভাবে এই অভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানকে ইসলামিক উগ্রবাদের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যা একেবারে সত্য নয়। সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানকে বিপ্লবে রূপ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যদি গণতান্ত্রিক দক্ষিণ এশিয়া তৈরি করতে চাই, তাহলে

আমাদের অবশ্যই সব ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
জন্মদিনে ‘ধুরন্ধর’ রূপে দেখা দিলেন রণবীর গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮২ ফিলিস্তিনির টেক্সাসে বন্যায় মৃত বেড়ে ৭৮, নিখোঁজ ৪১ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না ঢাকার যেসব এলাকায় লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা ইলন মাস্ককে রাজনীতির বিষয়ে যে পরামর্শ দিলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী হামাস ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হবেন না ইসরাইল: নেতানিয়াহু ইসরাইলকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে ব্রিকস সম্মেলন শুরু করলেন লুলা গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত ৫ বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস রিটার্ন জমা দিলে পাবেন যেসব ছাড় নেতানিয়াহুর ওপর খেপলেন ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ৩২ নম্বর ভাঙার ঘটনাকে বীভৎস মববাজি বললেন রুমিন ফারহানা খোঁজ মিলল সেই ডিজিএমের, কোথায় ছিলেন তিনি সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক সাইফ পাওয়ার টেকের অধ্যায় শেষ, চট্টগ্রাম বন্দরের দায়িত্বে নৌবাহিনী গাজীপুর মহানগর বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার ‘পাগল তত্ত্ব’ ব্যবহার করে বিশ্বকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ইনিংসেই ডাবল সেঞ্চুরি? এমন কীর্তি ক্রিকেট ইতিহাসে হয়েছে মাত্র তিনবার। আর এখন সে তালিকার শীর্ষে উইয়ান মুল্ডার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে অপরাজিত ২৬৪ রানে দিন শেষ করেছেন—যা এ ধরনের ম্যাচে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এর আগে ১৯৬৮ সালে ভারতের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে ২৩৯ রান করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্রাহাম ডাউলিং। সেটাই এতদিন ছিল অধিনায়কত্বে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। আরও আগে ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবনারায়ণ চন্দরপল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ২০৩*। ২৭ বছর বয়সী মুল্ডারের এই অধিনায়কত্ব আসলে অনেকটাই আকস্মিক। নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা হ্যামস্ট্রিং চোটে জিম্বাবুয়ে সফরে যাননি। সহ-অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও অভিজ্ঞ পেসার কাগিসো রাবাদাকেও বিশ্রামে রাখা হয়। এর ফলে প্রথম টেস্টে নেতৃত্ব পান স্পিনার কেশব মহারাজ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় কুঁচকিতে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান তিনিও। তখনই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় মুল্ডারের কাঁধে। আর সেই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারই করেছেন তিনি। ৩৪টি চার ও ৩টি ছক্কার মাধ্যমে দুর্দান্ত ইনিংস গড়ে প্রথম দিন শেষ করেছেন ২৬৪* রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় ৯০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬৫। এটাই প্রথম নয়। সিরিজের প্রথম টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন মুল্ডার, করেছিলেন ১৪৭ রান। ফলে তার ফর্ম বলছে, তিনি শুধু স্ট্যান্ড-ইন অধিনায়ক নন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ভবিষ্যতের অন্যতম বড় ভরসাও বটে। রেকর্ড বইয়ে নাম উঠলো যাদের অধিনায়কত্বের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি: উইয়ান মুল্ডার (দ.আফ্রিকা) – ২৬৪* বনাম জিম্বাবুয়ে, বুলাওয়ে ২০২৫ গ্রাহাম ডাউলিং (নিউজিল্যান্ড) – ২৩৯ বনাম ভারত, ১৯৬৮ শিবনারায়ণ চন্দরপল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) – ২০৩* বনাম দ.আফ্রিকা, ২০০৫ এছাড়া, মুল্ডার হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার—১৯৫৫ সালে জ্যাকি ম্যাকগ্লু প্রথম এই কীর্তি করেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। বিভিন্ন নিয়মিত তারকার অনুপস্থিতিতে হঠাৎ নেতৃত্ব পাওয়া মুল্ডার ব্যাট হাতে যা করে দেখিয়েছেন, তা শুধু রেকর্ড নয়—একটি বার্তাও। হয়তো ভবিষ্যতের নিয়মিত অধিনায়ক হওয়ার দিকেও তাকিয়ে আছেন তিনি। আর এমন অভিষেকের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বও নিশ্চয় তার নামটি একটু আলাদা করে মনে রাখবে।