 
                                                        
                                ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স                            
                        আরও খবর
 
                                টানা ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়
 
                                ১ অক্টোবর খুলছে না কেওক্রাডং পর্যটন কেন্দ্র
 
                                জীবনে অন্তত একবার একা ভ্রমণ করা উচিত, ৫ কারণে
 
                                হাওরের স্বচ্ছ জলে মুগ্ধ পর্যটক, বাড়ছে ভিড়
 
                                নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা খাগড়াছড়িতে মুগ্ধ পর্যটক
 
                                লম্বা ছুটি, তবু নেই আশানুরূপ পর্যটক
 
                                দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর রাজধানীর ঐতিহাসিক স্থাপনা
৭০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী পোদ্দার বাড়ি
 
                             
                                               
                    
                         ঐতিহ্য, স্থাপত্য ও শিল্প-কুশলতার এক অপূর্ব নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত পোদ্দার বাড়ি। যদি সময়মতো এর সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়, তবে ইতিহাসের গৌরবময় অতীত ধারণ করা এই প্রাসাদোপম স্থাপনাটি হতে পারে দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ।
ইট, ঢালাই লোহার ব্র্যাকেট, কাস্ট আয়রনের ভেন্টিলেটর ও গ্রিল, সিরামিক টাইলস, মোজাইক মেঝে আর নিখুঁত নকশার পোদ্দার বাড়ির স্থাপত্যে ফুটিয়ে তুলেছে ইউরোপীয় নান্দনিকতা ও ঔপনিবেশিক যুগের শৈলীর ছাপ। খিলান, কার্নিশ আর ছাদের কারুকাজ বাড়িটিকে দিয়েছে বহুগুণে শৈল্পিক মর্যাদা।
দোতলা বিশিষ্ট এই ভবনে রয়েছে ১১০টিরও বেশি কক্ষ, যেখানে ছিল মন্দির, গোসলখানা, নাচঘর, আঁতুড়ঘর, বৈঠকখানা, খাজাঞ্চিখানা, চিত্রশালা, দরবার কক্ষ, গুপ্তপথ ও পান্থশালা। বাড়ির ভেতরে ছিল রমণীদের জন্য 
তিন দিক ঘেরা পুকুরঘাট, খাল ও কূপ থেকে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, বিশাল ফুলের বাগান ও খেলার মাঠ, যা একে পরিণত করেছে এক প্রাসাদোপম ঐতিহ্যবাহী স্থাপনায়। স্থাপত্যের ধরনে মুঘল, গ্রিক, গান্ধারা ও ঔপনিবেশিক যুগের ছাপের পাশাপাশি স্থানীয় কারিগরদের দক্ষতার প্রমাণ রয়েছে প্রতিটি ইটে। ইতিহাস বলছে, পোদ্দার বাড়ির ঐতিহ্য প্রায় ৭০০ বছরের পুরোনো। রামমোহন পোদ্দার, শশী পোদ্দার, আনন্দ পোদ্দার ও গোপী পোদ্দার ছিলেন এই বংশের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব। তাদের নামেই গড়ে ওঠা আনন্দবাজার আজও স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। ৩৭২ বিঘা জমির মালিকানাধীন এই বিশাল সম্পত্তি বর্তমানে আউয়াল নামে এক আইনজীবীর দখলে রয়েছে। তার দাবি, তার বাবা আনোয়ার হোসেন পোদ্দারদের কাছ থেকে বাড়িটি কিনেছেন। ঐতিহাসিক পানাম নগরের নিকটবর্তী
এই বাড়ি সোনারগাঁ পৌরসভার পূর্ব ও উত্তর প্রান্তে অবস্থিত। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, শতাব্দী প্রাচীন এই নিদর্শন আজ অযত্ন-অবহেলায় ধ্বংসপ্রায়। প্রতিদিন ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে দেয়াল, কার্নিশ আর শৈল্পিক কারুকাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো সংরক্ষণ না করলে অমূল্য এই ঐতিহ্য চিরতরে হারিয়ে যাবে। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, ইতিহাস সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন এ বাড়িটি যদি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা যায়, তবে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে। অন্যদিকে, দায়িত্বরত কর্মকর্তা সহকারী কাস্টোডিয়ান মো. সিয়াম চৌধুরী জানান, ভবনটি যেহেতু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় নয়, তাই আপাতত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করা হবে।
                    
                                                          
                    
                    
                                    তিন দিক ঘেরা পুকুরঘাট, খাল ও কূপ থেকে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, বিশাল ফুলের বাগান ও খেলার মাঠ, যা একে পরিণত করেছে এক প্রাসাদোপম ঐতিহ্যবাহী স্থাপনায়। স্থাপত্যের ধরনে মুঘল, গ্রিক, গান্ধারা ও ঔপনিবেশিক যুগের ছাপের পাশাপাশি স্থানীয় কারিগরদের দক্ষতার প্রমাণ রয়েছে প্রতিটি ইটে। ইতিহাস বলছে, পোদ্দার বাড়ির ঐতিহ্য প্রায় ৭০০ বছরের পুরোনো। রামমোহন পোদ্দার, শশী পোদ্দার, আনন্দ পোদ্দার ও গোপী পোদ্দার ছিলেন এই বংশের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব। তাদের নামেই গড়ে ওঠা আনন্দবাজার আজও স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। ৩৭২ বিঘা জমির মালিকানাধীন এই বিশাল সম্পত্তি বর্তমানে আউয়াল নামে এক আইনজীবীর দখলে রয়েছে। তার দাবি, তার বাবা আনোয়ার হোসেন পোদ্দারদের কাছ থেকে বাড়িটি কিনেছেন। ঐতিহাসিক পানাম নগরের নিকটবর্তী
এই বাড়ি সোনারগাঁ পৌরসভার পূর্ব ও উত্তর প্রান্তে অবস্থিত। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, শতাব্দী প্রাচীন এই নিদর্শন আজ অযত্ন-অবহেলায় ধ্বংসপ্রায়। প্রতিদিন ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে দেয়াল, কার্নিশ আর শৈল্পিক কারুকাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো সংরক্ষণ না করলে অমূল্য এই ঐতিহ্য চিরতরে হারিয়ে যাবে। সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, ইতিহাস সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন এ বাড়িটি যদি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা যায়, তবে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে। অন্যদিকে, দায়িত্বরত কর্মকর্তা সহকারী কাস্টোডিয়ান মো. সিয়াম চৌধুরী জানান, ভবনটি যেহেতু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় নয়, তাই আপাতত কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উত্থাপন করা হবে।



