৫০ বছরে অর্ধেক কমেছে ভারতের জন্ম ও মৃত্যু হার – ইউ এস বাংলা নিউজ




৫০ বছরে অর্ধেক কমেছে ভারতের জন্ম ও মৃত্যু হার

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৪:৪১ 89 ভিউ
ভারতে গত ৫০ বছরে জন্ম ও মৃত্যুহার দুই-ই অর্ধেক কমেছে। দেশটির সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৯৭১ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার ছিল ৩৬.৯ আর এখন ২০২৩ সালে তা নেমে এসেছে ১৮.৪-এ। অর্থাৎ জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি স্পষ্টভাবে মন্থর হচ্ছে। শুধু জন্মহার নয়, মৃত্যুহারও একই সময়ে ১৪.৯ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৪-এ। অর্থাৎ স্বাস্থ্যসেবা, আয়ুষ্কাল এবং সামাজিক উন্নতি মিলিয়ে ভারত এখন এক নতুন জনসংখ্যাগত বাস্তবতায় প্রবেশ করেছে। গত এক দশকে জন্মহার কমার প্রবণতা আরও স্পষ্ট হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার ছিল ২১.৪, দশ বছরে কমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৪-এ। নগরায়ণ, পরিবার পরিকল্পনার বিস্তার এবং নারীশিক্ষার অগ্রগতি জন্মহার কমানোর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। শহরাঞ্চলে জন্মহার এখন ১৪.৯,

আর গ্রামে ২০.৩। তবে আঞ্চলিক বৈষম্য বড় আকারে চোখে পড়ছে—বিহারে সর্বোচ্চ জন্মহার ২৫.৮, আর আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সর্বনিম্ন ১০.১। অন্যদিকে মৃত্যুহারের দিকেও বৈষম্য রয়েছে। শহরে মৃত্যুহার ৫.৭, গ্রামে ৬.৮। ছত্তিশগড়ে সর্বোচ্চ ৮.৩, আর চণ্ডীগড়ে সর্বনিম্ন ৪.০। সামগ্রিকভাবে মৃত্যুহার হ্রাস মানে আয়ুষ্কাল বেড়েছে, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রোগব্যাধি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শিশুমৃত্যুর হারও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০১৩ সালে প্রতি হাজার শিশু মৃত্যুহার ছিল ৪০, এখন ২০২৩ সালে তা ২৫। দশ বছরে ৩৭ শতাংশ হ্রাস শিশুস্বাস্থ্য ও মাতৃসুরক্ষায় সাফল্যের পরিচায়ক। তবে দরিদ্র রাজ্যগুলিতে এই হার এখনও উদ্বেগজনক। জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ভারতের জন্মহার দ্রুত হ্রাস পাওয়া মানে দেশের ভবিষ্যৎ জনসংখ্যার চাপ কমা। অনেক দক্ষিণী রাজ্য ইতোমধ্যেই

প্রতিস্থাপনযোগ্য প্রজনন স্তরে পৌঁছে গেছে। তবে উত্তর ভারতের কয়েকটি রাজ্যে এখনো জন্মহার অনেক বেশি। ফলে দেশের ভেতরেই জনসংখ্যার ভারসাম্য বদলাবে। এতে একদিকে শ্রমশক্তির সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও, অন্যদিকে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাত বৃদ্ধি ভারতের অর্থনীতিকে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’-এর সুফল দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সুফল কাজে লাগাতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
রাজধানীর ধানমন্ডি-তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের ব্যাপক শোডাউন-মিছিল মালয়েশিয়ায় অভিযানে ৩৪ বাংলাদেশিসহ আটক ৯৪ অস্থির নিত্যপণ্যের দাম, স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও নিখোঁজের তিন দিন পর মিলল সেই জমিয়ত নেতার লাশ ইউক্রেনে স্থল নৌ ও আকাশপথে সেনা পাঠাতে প্রস্তত ২৬ দেশ চীনের সঙ্গে ‘বিশাল অঙ্কের’ চুক্তি স্বাক্ষর পাকিস্তানের সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিপুল অঙ্কের অর্থপাচারের রুট উন্মোচন করল সিআইডি শবনম ফারিয়ার পোস্ট, কমেন্টে যা বললেন সারজিস মিথ্যা-ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জর্জরিত সাংবাদিক নাজমুশ সাহাদাতের পরিবার গণপূর্তের দুই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নাগরিকত্বের আগেই ভোটার সোনিয়া গান্ধী, আদালতে মামলা ৫০ বছরে অর্ধেক কমেছে ভারতের জন্ম ও মৃত্যু হার নতুন পরিচয়ে হাজির হচ্ছেন সাদিয়া আয়মান মাত্র ২ ঘণ্টায় মালয়েশিয়ায় ৩৯৬ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার, ফেরত পাঠানো হবে শীঘ্রই বিএনপির বালুখেকো ও ভূমিদস্যু নেতাদের বিরুদ্ধে ভূমি কর্মকর্তার মামলা নিরাপদ নন সাধারণ মানুষ ট্রাম্পের ইচ্ছায় বদলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম দেখ আমিনা মায়ের কোলে দোলে শিশু ইসলাম দোলে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে আবারও ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প ডিম-পেঁয়াজ-কাঁচামরিচ আমদানির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত