
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

হয়রানি ঠেকাতে ওয়ারেন্ট সমন যাবে অনলাইনে

ফরিদপুর-৪ থেকে ভাঙ্গাকে আলাদা করতে হাইকোর্টে রুল

কর্মচারীকে মালিক সাজিয়ে ২১ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

সংশোধিত ওয়াক্ফ আইন খারিজ করেনি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট, কয়েকটি ধারা স্থগিত

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো রিট শুনব না : হাইকোর্ট

বিদেশে বসে আদালতে ‘সশরীরে’ হাজিরা দেন আসামি

রিমান্ড শেষে মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির কারাগারে
সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করার নির্দেশ: মানবাধিকার চুড়ান্ত লঙ্ঘন

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক জারি একটি নির্দেশনায় ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের কর্মীদের এসএমপি আওতাধীন এলাকায় প্রকাশ্যে মাঠে নামতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নির্দেশনাটি ২৮ সেপ্টেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর স্বাক্ষরে প্রকাশিত হয়, যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে এই সিদ্ধান্ত মানবাধিকার সংগঠন, আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের কাছে তীব্র প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছে, যারা এটিকে বাংলাদেশ সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।
মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ
বাংলাদেশ সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে প্রতিটি নাগরিকের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মিছিলের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, যা একটি মৌলিক
অধিকার হিসেবে গণ্য হয়। ৩৮ অনুচ্ছেদে আরও উল্লেখ আছে যে, নাগরিকরা শান্তিপূর্ণভাবে সমিতি ও সংঘ গঠনের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবেন। এই অধিকারগুলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মূল ভিত্তি, যা ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর প্রণীত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, বাংলাদেশ ২০০০ সালে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদ (ICCPR) স্বাক্ষর করেছে। ICCPR-এর ২১ অনুচ্ছেদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং ২২ অনুচ্ছেদে সংগঠন গঠন ও স্বাধীনতার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এই সনদ অনুযায়ী, কোনো রাষ্ট্র জননিরাপত্তা বা জনস্বাস্থ্যের কারণে সীমিত পরিসরে এই অধিকারে সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, তবে তা স্বচ্ছ, প্রয়োজনীয় এবং বৈষম্যহীন হতে হবে। মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের মতে, সিলেট পুলিশের এই blanket ban কোনো
নির্দিষ্ট ঘটনা বা হুমকির প্রেক্ষাপট ছাড়াই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে লক্ষ্য করে গৃহীত, যা আইনি ও নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। মানবাধিকারকর্মীদের প্রতিক্রিয়া মানবাধিকার সংগঠনগুলো, যেমন আইন ও মানবাধিকার কেন্দ্র (ASK) ও ওঝা, এই নির্দেশনাকে “অবৈধ ও জবরদস্ত” হিসেবে অভিহিত করেছে। তাদের দাবি, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটি রূপ, যা বিরোধী দলের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা। ASK-এর একজন কর্মকর্তা জানান, “এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে, কারণ এটি সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থী।” তিনি আরও বলেন, জননিরাপত্তার নামে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে পূর্ব পরামর্শ ও স্বতন্ত্র তদন্ত প্রয়োজন, যা এ ক্ষেত্রে অবহেলিত হয়েছে। নাগরিক সমাজের একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম জানান, “পুলিশের
এই ক্ষমতা সীমাবদ্ধ, এবং এটি কোনো রাজনৈতিক দলকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যায় না। এটি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় বা দলের বিরুদ্ধে বৈষম্য সৃষ্টি করছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের ২৬ অনুচ্ছেদে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।” তিনি আরও সরকারকে এই নির্দেশনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। এই নির্দেশনা জারির পটভূমিতে গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তার পরবর্তী রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে। এই আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও কারাবাসে রয়েছেন, যা মানবাধিকার সংগঠনগুলো “রাজনৈতিক হেনস্থার অংশ” হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই নতুন নিষেধাজ্ঞা সেই ধারায় একটি প্রসারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বিরোধী দলের কার্যক্রমকে আরও সংকুচিত করতে পারে। সামাজিক মাধ্যমে এ বিষয়ে তীব্র
প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একজন ব্যবহারকারী (X হ্যান্ডল: @HumanRightsBD) লিখেছেন, “এটি গণতন্ত্রের মৃত্যু। নাগরিকদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে।” অন্যদিকে, সরকার সমর্থক কিছু ব্যক্তি দাবি করছেন যে, এটি শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ। সিলেট পুলিশের এই নির্দেশনা মানবাধিকারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে। এটি কি শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নাকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটি অংশ, তা নিয়ে বিতর্ক চলমান। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র ও নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
অধিকার হিসেবে গণ্য হয়। ৩৮ অনুচ্ছেদে আরও উল্লেখ আছে যে, নাগরিকরা শান্তিপূর্ণভাবে সমিতি ও সংঘ গঠনের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারবেন। এই অধিকারগুলো বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মূল ভিত্তি, যা ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর প্রণীত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, বাংলাদেশ ২০০০ সালে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদ (ICCPR) স্বাক্ষর করেছে। ICCPR-এর ২১ অনুচ্ছেদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং ২২ অনুচ্ছেদে সংগঠন গঠন ও স্বাধীনতার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এই সনদ অনুযায়ী, কোনো রাষ্ট্র জননিরাপত্তা বা জনস্বাস্থ্যের কারণে সীমিত পরিসরে এই অধিকারে সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, তবে তা স্বচ্ছ, প্রয়োজনীয় এবং বৈষম্যহীন হতে হবে। মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের মতে, সিলেট পুলিশের এই blanket ban কোনো
নির্দিষ্ট ঘটনা বা হুমকির প্রেক্ষাপট ছাড়াই একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে লক্ষ্য করে গৃহীত, যা আইনি ও নৈতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। মানবাধিকারকর্মীদের প্রতিক্রিয়া মানবাধিকার সংগঠনগুলো, যেমন আইন ও মানবাধিকার কেন্দ্র (ASK) ও ওঝা, এই নির্দেশনাকে “অবৈধ ও জবরদস্ত” হিসেবে অভিহিত করেছে। তাদের দাবি, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটি রূপ, যা বিরোধী দলের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা। ASK-এর একজন কর্মকর্তা জানান, “এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে, কারণ এটি সংবিধানের মৌলিক নীতির পরিপন্থী।” তিনি আরও বলেন, জননিরাপত্তার নামে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে পূর্ব পরামর্শ ও স্বতন্ত্র তদন্ত প্রয়োজন, যা এ ক্ষেত্রে অবহেলিত হয়েছে। নাগরিক সমাজের একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব ও আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম জানান, “পুলিশের
এই ক্ষমতা সীমাবদ্ধ, এবং এটি কোনো রাজনৈতিক দলকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যায় না। এটি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় বা দলের বিরুদ্ধে বৈষম্য সৃষ্টি করছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের ২৬ অনুচ্ছেদে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।” তিনি আরও সরকারকে এই নির্দেশনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। এই নির্দেশনা জারির পটভূমিতে গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও তার পরবর্তী রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে। এই আন্দোলনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার ও কারাবাসে রয়েছেন, যা মানবাধিকার সংগঠনগুলো “রাজনৈতিক হেনস্থার অংশ” হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই নতুন নিষেধাজ্ঞা সেই ধারায় একটি প্রসারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা বিরোধী দলের কার্যক্রমকে আরও সংকুচিত করতে পারে। সামাজিক মাধ্যমে এ বিষয়ে তীব্র
প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একজন ব্যবহারকারী (X হ্যান্ডল: @HumanRightsBD) লিখেছেন, “এটি গণতন্ত্রের মৃত্যু। নাগরিকদের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে।” অন্যদিকে, সরকার সমর্থক কিছু ব্যক্তি দাবি করছেন যে, এটি শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ। সিলেট পুলিশের এই নির্দেশনা মানবাধিকারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে। এটি কি শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নাকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটি অংশ, তা নিয়ে বিতর্ক চলমান। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র ও নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্কে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।