
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

অলিম্পিক সভাপতি নির্বাচিত হয়ে জিম্বাবুইয়ান কভেন্ট্রির ইতিহাস

আইপিএলের দল থেকে প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানালেন তাসকিন

নাঈমের ম্যাচ জেতানো ঝড়ো সেঞ্চুরি, বিফলে সোহানের শতক

গাজা ও লেবাননের জন্য ৩.৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান কুয়েতের

হামজা ও বাংলাদেশের প্রশংসায় ভারতের কোচ

ভারতকে হারানোর লক্ষ্য নিয়ে শিলংয়ে পা রাখল বাংলাদেশ

নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেলেন সাকিব
সাকিব কি জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন?

সংবাদটা গতকালই এসেছে, যেখানে খেলতে গিয়ে বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে এসেছিল সেই ইংল্যান্ডের মাটিতেই বোলিং পরীক্ষায় পাস করেছেন সাকিব আল হাসান। খবরটা বেশ স্বস্তির অন্তত সাকিবের জন্য। এই নিষেধাজ্ঞার কারণেই যে ব্যাটার সাকিব খেলতে পারেননি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে। শুধু কি তাই, ইসিবির এই এক সিদ্ধান্তেই যে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বাজার শেষ হতে বসেছিল সাকিবের। সেই বাজারটা যদি এবার ফেরত পাওয়া যায়। যদি আবারও ফেরা যায় ক্রিকেটে। মন্দ কি?
সাকিবকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তার ভক্তরাও। সাকিবকে কল্পনায় আবারও মাঠের ক্রিকেটে দেখছেন কেউ কেউ। অনেকে তো আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে সাকিবকে দেখা শুরু করেছেন জাতীয় দলের জার্সিতে। সত্যিই কি এতটা সহজ সাকিবের
জাতীয় দলে ফেরা? সাকিব চাইলেই ফিরতে পারবেন? বন্ধ দরজা খোলা যায় এমন চাবি আছে সাকিবের হাতে? আর তাছাড়া সেই দরজা বন্ধের দায় কি কেবলই বিসিবির। তিনি নিজে এর জন্য কি কোনোভাবেই দায়ী নন? সাকিবের দায় খোঁজতে গেলে আবারও ফিরতে হবে সাত মাস আগে জুলাই আন্দোলনের সময়টাতে। তার রাজনৈতিক দল পতিত আওয়ামী লীগের কর্মীরা ও তাদের পুলিশ বাহিনী যখন নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বন্ধুক-তলোয়ার হাতে। যখন প্রতিদিনই রাস্তায় লম্বা হচ্ছিল লাশের মিছিল। ভাইয়ের লাশ কাঁধে নিয়ে রাজপথে নেমেছিল বোন। রংপুরে পুলিশের বন্ধুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানো আবু সাঈদ। আন্দোলনরত ছাত্রদের পিপাসার কষ্ট লাগবে পানি দিতে এসে যখন লাশ
হলেন মীর মুগ্ধ। যখন সাকিবের পরা বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন জানানোয় কারাগারে যেতে হয়েছিল ১৮ না পেরনো তরুণকে। তখন কোথায় ছিলেন সাকিব? সাকিবকে ভালোবেসে তার এমন হাজারো ভক্ত তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বারবার হ্যাশটেগ দিয়ে সাকিবকে এই আন্দোলনে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বলেছিলেন। দেশের সবচেয়ে বড় স্পোর্টস আইকনের কাছে এই দাবি কি খুব বেশি ছিল ভক্তদের? ক্ষমতার মোহ ভুলে তিনি কি পারতেন না সেদিন পদত্যাগের ঘোষণা দিতে। ছাত্রদের সমর্থন জানাতে? রাজপথে নেমে ছাত্রদের পাশে দাঁড়াবেন সাকিব; সেই আশা নিশ্চয় কেউ করেনি? কেবল চেয়েছিল সাকিবের কাছ থেকে ফেসবুকে একটা সমর্থন জানানো পোস্ট। বাস এ-টুকোয়। এটুকো দিতেই দেশের
পোস্টার বয়ের এত কার্পণ্য। অথচ, দেখুন সাত হাজার মাইল দূর আর্জেন্টিনা থেকে বাংলাদেশের ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এঞ্জো ফার্নান্দেজ। বাংলাদেশে ছাত্ররা মারা গেছে তার কি দায় পড়েছে এখানে সমর্থন জানানোর? তবুও তিনি তা করেছেন বিবেকের তাড়নায়। যেমনটা আমরা প্রতিনিয়ত করছি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পক্ষে, উইঘুর সম্প্রদায়ের পক্ষে। অথচ, যারা দেশ মৃত্যুপুরীতে রূপ নিয়েছে তার কোনো দায় নেই। ফেসবুকে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে বরং তিনি এই ছাত্রদেরই অপমান করেছেন। স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে কানাডায় চিড়িয়াখানায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। সেই ছবি পোস্ট দিয়ে ছাত্রদেরই অপমান করেছেন। মাঠে এক ভক্ত সাকিবকে ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানাতে বললে, তিনি বরং পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ওই ভক্তকেই। দেশের
জন্য আপনি কি করেছেন? সেই সাকিবকে আবারও দেশের জার্সিতে মাঠে দেখার স্বপ্ন কি করে দেখেন আপনি? প্রশ্ন করুণ নিজেকে- ৩৭ বছর বয়সি সাকিবের আর কি-ই-বা দেওয়ার আছে দেশকে? নয়তো সাকিবের মিল খুঁজুন তারাপদ রায়ের কবিতায়- আমরা যে গাছটিকে কৃষ্ণচূড়া ভেবেছিলাম যার উদ্দেশে ধ্রুপদী বিন্যাসে কয়েক অনুচ্ছেদ প্রশস্তি লিখেছিলাম গতকাল বলাইবাবু বললেন, ‘ঐটি বানরলাঠি গাছ।’
জাতীয় দলে ফেরা? সাকিব চাইলেই ফিরতে পারবেন? বন্ধ দরজা খোলা যায় এমন চাবি আছে সাকিবের হাতে? আর তাছাড়া সেই দরজা বন্ধের দায় কি কেবলই বিসিবির। তিনি নিজে এর জন্য কি কোনোভাবেই দায়ী নন? সাকিবের দায় খোঁজতে গেলে আবারও ফিরতে হবে সাত মাস আগে জুলাই আন্দোলনের সময়টাতে। তার রাজনৈতিক দল পতিত আওয়ামী লীগের কর্মীরা ও তাদের পুলিশ বাহিনী যখন নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বন্ধুক-তলোয়ার হাতে। যখন প্রতিদিনই রাস্তায় লম্বা হচ্ছিল লাশের মিছিল। ভাইয়ের লাশ কাঁধে নিয়ে রাজপথে নেমেছিল বোন। রংপুরে পুলিশের বন্ধুকের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানো আবু সাঈদ। আন্দোলনরত ছাত্রদের পিপাসার কষ্ট লাগবে পানি দিতে এসে যখন লাশ
হলেন মীর মুগ্ধ। যখন সাকিবের পরা বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে ছাত্রদের আন্দোলনে সমর্থন জানানোয় কারাগারে যেতে হয়েছিল ১৮ না পেরনো তরুণকে। তখন কোথায় ছিলেন সাকিব? সাকিবকে ভালোবেসে তার এমন হাজারো ভক্ত তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বারবার হ্যাশটেগ দিয়ে সাকিবকে এই আন্দোলনে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বলেছিলেন। দেশের সবচেয়ে বড় স্পোর্টস আইকনের কাছে এই দাবি কি খুব বেশি ছিল ভক্তদের? ক্ষমতার মোহ ভুলে তিনি কি পারতেন না সেদিন পদত্যাগের ঘোষণা দিতে। ছাত্রদের সমর্থন জানাতে? রাজপথে নেমে ছাত্রদের পাশে দাঁড়াবেন সাকিব; সেই আশা নিশ্চয় কেউ করেনি? কেবল চেয়েছিল সাকিবের কাছ থেকে ফেসবুকে একটা সমর্থন জানানো পোস্ট। বাস এ-টুকোয়। এটুকো দিতেই দেশের
পোস্টার বয়ের এত কার্পণ্য। অথচ, দেখুন সাত হাজার মাইল দূর আর্জেন্টিনা থেকে বাংলাদেশের ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এঞ্জো ফার্নান্দেজ। বাংলাদেশে ছাত্ররা মারা গেছে তার কি দায় পড়েছে এখানে সমর্থন জানানোর? তবুও তিনি তা করেছেন বিবেকের তাড়নায়। যেমনটা আমরা প্রতিনিয়ত করছি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পক্ষে, উইঘুর সম্প্রদায়ের পক্ষে। অথচ, যারা দেশ মৃত্যুপুরীতে রূপ নিয়েছে তার কোনো দায় নেই। ফেসবুকে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ানোর বদলে বরং তিনি এই ছাত্রদেরই অপমান করেছেন। স্ত্রী ও পরিবার নিয়ে কানাডায় চিড়িয়াখানায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। সেই ছবি পোস্ট দিয়ে ছাত্রদেরই অপমান করেছেন। মাঠে এক ভক্ত সাকিবকে ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানাতে বললে, তিনি বরং পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন ওই ভক্তকেই। দেশের
জন্য আপনি কি করেছেন? সেই সাকিবকে আবারও দেশের জার্সিতে মাঠে দেখার স্বপ্ন কি করে দেখেন আপনি? প্রশ্ন করুণ নিজেকে- ৩৭ বছর বয়সি সাকিবের আর কি-ই-বা দেওয়ার আছে দেশকে? নয়তো সাকিবের মিল খুঁজুন তারাপদ রায়ের কবিতায়- আমরা যে গাছটিকে কৃষ্ণচূড়া ভেবেছিলাম যার উদ্দেশে ধ্রুপদী বিন্যাসে কয়েক অনুচ্ছেদ প্রশস্তি লিখেছিলাম গতকাল বলাইবাবু বললেন, ‘ঐটি বানরলাঠি গাছ।’