শি-ট্রাম্প কূটনীতিতে ধাক্কা খেয়ে চাপে মোদি – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৯ আগস্ট, ২০২৫
     ৪:৫৯ অপরাহ্ণ

শি-ট্রাম্প কূটনীতিতে ধাক্কা খেয়ে চাপে মোদি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৯ আগস্ট, ২০২৫ | ৪:৫৯ 80 ভিউ
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর উচ্চ বিলাসী প্রচেষ্টা ভেস্তে যাওয়ায় কূটনৈতিক মঞ্চে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এতে নয়াদিল্লির বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—এমনটাই জানিয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। শনিবার (৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে মোদির প্রথম বড় কূটনৈতিক বাজি ছিল বেইজিংয়ের ওপর। গুজরাটে শি-কে লালগালিচা সংবর্ধনা দেন, নদীর ধারে দোলনায় বসে আলাপের ছবি তুলে ধরেন—সবই সৌহার্দ্যের ইঙ্গিত হিসেবে। কিন্তু সেই সময়ই লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন সেনাদের সংঘর্ষ হয়। পরবর্তী কয়েক বছরে একাধিকবার এমন সংঘাত ঘটে, যা ভারতের সেনাদের হিমালয়ে দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান নিশ্চিত করে। পরে মোদি

নজর দেন ওয়াশিংটনের দিকে। চীনকে মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখেন এবং সেই সম্পর্কের ওপর বড় বিনিয়োগ করেন। এমনকি প্রোটোকল ভেঙে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন—হিউস্টনে জনসমাবেশে বক্তৃতা দেন। বাইডেন প্রশাসন সেই রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব সত্ত্বেও সম্পর্ক উষ্ণ রাখে। গত বছর মার্কিন কংগ্রেসে বক্তৃতায় মোদি হাস্যরস করে বলেন, ‘এআই মানে আমেরিকা ও ইন্ডিয়া’। কিন্তু ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এই সৌহার্দ্য দ্রুত মিলিয়ে যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, ভারতের অর্থনীতিকে ‌‘মৃত’ বলে অভিহিত করেন এবং রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে অভিযোগ তোলেন। এরপর পাকিস্তানকে সমান মর্যাদা দিয়ে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প—যা নয়াদিল্লি প্রকাশ্যে অস্বীকার করে, যাতে

পহেলগাম হামলার পরবর্তী সীমান্ত সংঘর্ষের ঘটনায় মোদির ‘দৃঢ় নেতৃত্বের’ ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ থাকে। এই কূটনৈতিক ধাক্কায় ভারত আবার ফিরে গেছে পরিচিত নীতি ‘কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনে’—গভীর মিত্রতা এড়িয়ে বৈপরীত্যপূর্ণ একাধিক অংশীদারিত্ব বজায় রাখার কৌশলে। সীমান্ত বিরোধ ও পাকিস্তানকে চীনের প্রকাশ্য সমর্থন থাকা সত্ত্বেও বেইজিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ পুনরায় সক্রিয় করেছেন মোদি। একইসঙ্গে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে “ভারত-রাশিয়া বিশেষ ও সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্ব” পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং এ বছর তাকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, এসব প্রত্যাখ্যান ভারতের উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ধাক্কা দিয়েছে। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিরুপমা রাও মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্বের

কৌশলগত ভিত্তিকে ওলটপালট করে দিয়েছে।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাবেক উপদেষ্টা ও লেখক সঞ্জয়া বারু বলেন, ট্রাম্প ও মোদির ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ধাঁচে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আসলে দুই ব্যক্তির ‘ইগো’র লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে, মোদি প্রকাশ্যে ওয়াশিংটনের সমালোচনা সীমিত রেখেছেন। বরং তিনি নিজের অবস্থানকে কৃষক, জেলে ও দুগ্ধ খামারিদের স্বার্থরক্ষার অংশ হিসেবে তুলে ধরে বলেছেন, এই রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য ‘ভারতকে বড় মূল্য দিতে হলেও’ তিনি প্রস্তুত।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ দেশে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নেবেন সাকিব, কাজ করতে চান মানুষের জন্য দুর্নীতির বরপুত্র’র মুখে নীতি কথা শীতের ভরা মৌসুমেও অসহনীয় সবজির দাম মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক দুবাইয়ের চাকরির প্রলোভনে পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঐতিহাসিক অডিওতে জিয়ার স্বীকারোক্তি: বঙ্গবন্ধুর নামেই স্বাধীনতার ঘোষণা, স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’ ‘ভুয়া তথ্যে চাকরি, ধরা পড়ে পায়ে ধরে কান্না’: শাহরিয়ার কবিরের জালিয়াতির মুখোশ উন্মোচন করলেন ব্যারিস্টার জিন্নাত আলী চৌধুরী কথিত জুলাই আন্দোলনে পর হওয়া বেশীরভাগ মামলার ভুয়া মামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল চাঁদাবাজি ‘দেশ ধ্বংস করে ফেলছে এই স্টুপিড জেনারেশন’—জুলাই থেকে চলমান অরাজকতায় অতিষ্ঠ জনতা, ভাইরাল নারীর ক্ষোভ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দিনেদুপুরে মা মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা ত্বকের কোলাজেন বাড়াবে ৬ খাবার বরিশালে তোপের মুখে ব্যারিস্টার ফুয়াদ যুক্তরাষ্ট্রের ফেলে যাওয়া অস্ত্রই তালেবানের নিরাপত্তার মূল ভিত্তি খেলাপি ঋণ আদায়ে তিন মাসে ১৫ হাজার মামলা আবারও বেড়েছে মূল্যস্ফীতি মাদুরো যেভাবে ব্যর্থ করছেন ভবিষ্যদ্বাণী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর যুক্তরাষ্ট্রের শাহজালালে যাত্রীর লাগেজে মিলল ৯৩ হাজার ইউরো শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ