শাশুড়ির অত্যাচারে পুত্রবধূর আত্মহত্যা চেষ্টা, সইতে না পেরে নিজেকেই শেষ করেন পলাশ – ইউ এস বাংলা নিউজ




শাশুড়ির অত্যাচারে পুত্রবধূর আত্মহত্যা চেষ্টা, সইতে না পেরে নিজেকেই শেষ করেন পলাশ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৯ মে, ২০২৫ | ১১:৪৫ 49 ভিউ
আলোচিত র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহার আত্মহননের পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার স্ত্রীকে দায়ী করে দেওয়া হয়েছে একের পর স্ট্যাটাস। তবে ফরিদপুরে পলাশের শ্বশুরবাড়ি ও প্রতিবেশীরা জানালেন ভিন্নকথা। ফরিদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা ভরত সাহা (৬২)। তার ২০ বছর বয়সি একমাত্র কন্যা সুস্মিতা সাহার দুই বছর আগে বিয়ে হয় পলাশের সঙ্গে। শুক্রবার বিকালে মেয়ে জামাইয়ের জন্য বিলাপ করছেন শ্বশুর ভরত সাহা। তিনি বলছেন, তার মেয়েকে অনেক ভালোবাসত পলাশ, নিজের হাতে খাইয়ে দিত, সময় পেলে বেড়াতে নিয়ে যেত, যেটা সহ্য হতো না পলাশের মায়ের। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমরা বড় লোকের সঙ্গে মেয়ে দিতে চাইনি, ছেলে অনেক শখ করে আমার মেয়েটাকে

একরকম জোর করেই নিয়েছে। ছেলের আগ্রহ দেখেই আমরা শেষপর্যন্ত মেয়েটাকে দিয়েছি; কিন্তু আমার মেয়ে তার শাশুড়ির অত্যাচারে স্বামীকে বাঁচাতে পারল না। মেয়েটা আমার কয়েকবার আত্মহত্যা করতে গেছে, এখন আমি ভয় পাচ্ছি মেয়েটা নিজেকে না শেষ করে দেয়।’ সুস্মিতার চাচাতো ভাই ব্যাংকার পার্থ সাহা জানান, ১৮ বছর হওয়ার পর আমার বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় পলাশ। পলাশের আগ্রহ দেখে আমরা বোনকে দেই; কিন্তু বিয়ের পর কোনোদিন ওদের বাড়ি আমরা যেতে পারিনি, সব সময় শুনতাম বোনটাকে ওরা যৌতুকের জন্য অত্যাচার করত; কিন্তু পলাশের কথা সব সময় শুনেছি ভালো, সে আমার বোনকে অনেক ভালোবাসত। সুস্মিতাদের প্রতিবেশী গৃহবধূ দীপা সরকার জানালেন, তিন দিন আগে মোবাইল ফোনে কথা

হয় তার সঙ্গে। সুস্মিতা বলেছিল ডাল রান্না খুব ভালো হওয়ায় তার প্রশংসা করেছিল পলাশ, সঙ্গে সঙ্গে খাবার টেবিলেই তার শাশুড়ি আরতি সাহা ডালের বাঁটি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। সেদিন রাতেই সুইসাইডের জন্য পদক্ষেপ নেয় সুস্মিতা। ফেসবুকে পোস্ট দেয়। সেই পোস্ট তার শাশুড়ি আরতি সাহার পিড়াপিড়িতে তুলে নিতে বাধ্য হয় সুস্মিতা। আত্মহত্যার দিন সকালে অফিসে আসার সময় পলাশ সুস্মিতাকে জানালা দিয়ে টাটা দিয়েছিল, সেটা নিয়েও শাশুড়ি আরতি সাহা আক্রমণ করে সুস্মিতাকে। তার কিছুক্ষণ পরেই নিজেকে শেষ করে দেয় পলাশ। চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় র্যাব কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহা ‘আত্মহত্যা’ করেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় র্যাব-৭ এর নগরীর বহদ্দারহাট ক্যাম্পে

নিজ অফিস কক্ষে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। পলাশ সাহার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। পারিবারিক কলহের জেরে পলাশ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা পুলিশের। তার হাতে লেখা সুইসাইড নোটে লেখা আছে- ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কোঅর্ডিনেট করে।’ পলাশের ফুপাতো বোনের মেয়ে ভাগনি প্রিয়তা পূজা সাহা তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দিয়ে লিখেন- পলাশের মৃত্যুর জন্য তার পরিবারের মানুষের দোষ সব

থেকে বেশি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
৩ দেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠক স্বামীর যে শর্ত মানতেই হয়, ফাঁস করলেন দুবাই ধনীর স্ত্রী বন্ধ বাঙলা কলেজের ওয়েবসাইট, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা কমল জ্বালানি তেলের দাম যুদ্ধবিমান ভূপাতিত নিয়ে তোপের মুখে নরেন্দ্র মোদি পিএসজি না ইন্টার—কাকে মুকুট পরাবে ইউরোপ? ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী হামলায় নিহত পাকিস্তানের জেলা প্রশাসক ট্রাম্পের উপদেষ্টা থাকাকালে নিয়মিত মাদক নিতেন ইলন মাস্ক বরিশালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল, প্রস্তুত আশ্রয় কেন্দ্র বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুধার্ত এলাকা এখন ‘গাজা’ বিসিবিতে রদবদলের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে আইসিসি: ক্রীড়া উপদেষ্টা দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস, ভারতে মৃত্যু ৭ জনের ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করল যুক্তরাজ্য গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘খুব কাছাকাছি’: ট্রাম্প ‘১০০ মাইলের’ শোয়েব আখতারকে শতকোটির মানহানি মামলার হুমকি ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কিনা, যা জানাল আবহাওয়া অফিস ঢাকার ৪ ফ্লাইট নামল চট্টগ্রামে গ্লোবাল বিজনেস অ্যান্ড সিএসআর অ্যাওয়ার্ডস পেলেন কাজী ইফতেখার রহমান মেঘনায় ৩৯ যাত্রী নিয়ে ডুবে গেল ট্রলার