ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দায়িত্বরত ইনচার্জ ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না অন্য পুলিশ সদস্যরা
গোপালগঞ্জ কিলিং তদন্ত প্রতিবেদন: জনতা-এনসিপি উভয়পক্ষ দায়ী, মামলা-গ্রেপ্তার শুধু গোপালগঞ্জবাসীর বিরুদ্ধে!
রাজধানীতে সারাদিনে অন্তত সাত স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, তিনটি বাসে আগুন
মোহাম্মদপুরে চাপাতিসহ ২ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইদ মামুন গুলিতে নিহত
টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে বিএনপির হামলায় কর্মকর্তাসহ আহত ৪
বাংলাদেশিসহ মালয়েশিয়া-থাই সমুদ্রসীমায় ৯০ অভিবাসীকে নিয়ে নৌকাডুবি
রাসায়নিকের বিষাক্ত ধোঁয়ায় অজ্ঞান, পুড়ে অঙ্গার শ্রমিকরা: ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে আগুনের ঘটনায় ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় এত মৃত্যুর কয়েকটি কারণ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
তাদের ধারণা, কারখানার পাশে থাকা রাসায়নিকের গুদামে বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে বিষাক্ত সাদা ধোঁয়া বা টক্সিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে, যা ছিল প্রাণঘাতী।
এদিকে, সবগুলো লাশ উদ্ধার হয়েছে পোশাক কারখানা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে।
দেখা গেছে, মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকার মধ্যেই রাসায়নিকের গুদামটির অবস্থান। এর ঠিক সামনেই পোশাক কারখানা। আশপাশে আরও রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা সেবাকেন্দ্রসহ আরও বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা।
মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পাঁচ তলা একটি পোশাক কারখানা এবং এর লাগোয়া একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। ছবি: সংগৃহীত
কারখানা দুটির আগুন নিয়ন্ত্রণ
ও উদ্ধার কাজের সময় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, পাশের কারখানার আগুন দ্রুত সরু গলির ওপারের পোশাক কারখানার ভবনের নিচে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে পোশাক কারখানার কর্মীরা নিচে নামতে পারেননি। আবার ছাদের দরজায় তালা থাকায় ধোঁয়া থেকে বাঁচতে ওপরেও যেতে পারেননি। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এ কারণে কর্মস্থলেই বিষাক্ত ধোঁয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন পোশাক কারখানাটির ওপর তলায় থাকা কর্মীরা। পরে সেই ভবনের ওপরের দিকে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়লে পুড়ে অঙ্গার হতে হয় তাদের। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পোশাক কারখানায় তল্লাশি অভিযান শেষের তথ্য দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রাথমিক তদন্তের
ভিত্তিতে বলেন, চারতলা পোশাক কারখানার উপরে ছাদ টিনের। ছাদে যাওয়ার জন্য সেখানে একটি গ্রিলের দরজা রয়েছে। সেটি তালা মারা ছিল। এ কারণে তারা উপরের দিকে যেতে পারেননি। তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে পরিমাণ কেমিকেল বিস্ফোরণ, সেটার ফ্ল্যাশওভারে টক্সিক গ্যাসের কারণে আকস্মিকভাবে ওনারা অজ্ঞান হয়েছেন। পরে তারা সরতে পারেননি। উপরে যেতে পারেননি, নিচেও যেতে পারেননি। রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসার তথ্য দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, সেখানেও মৃতদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তারা। তিনি বলেন, পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামের কোনটিরই অনুমোদন ছিল না। কোনো ধরনের নিরাপত্তা পরিকল্পনা ছিল না। স্বজনরা ছবি তুলে ধরে নিখোঁজদের খোঁজ করছেন। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার
মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে। ছবি: সংগৃহীত আগুন লাগা এই পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদাম কোনটারই অনুমোদন ছিল না বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, রাসায়নিকের গুদামের পাশে একটি ‘ওয়াশ ইউনিট’ রয়েছে। সেখানে প্রথম আগুন লাগে। সেই আগুন পাশের রাসায়নিকের গুদামের ছড়িয়ে পড়লে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আগুন পোশাক কারখানার ওই পাঁচতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ওই কারখানা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় আরএন ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানা রয়েছে। সেখানে গেঞ্জি তৈরি করা হতো। দোতলায় ছিল টি-শার্ট প্রিন্ট ফ্যাক্টরি, নাম স্মার্ট প্রিন্টিং। আর পাঁচতলায় বিসমিল্লাহ ফ্যাশন নামে আরেকটি প্রিন্ট কারখানা চলছিল। আগুন লাগার পর কারখানা ভবন থেকে শ্রমিকেরা নানাভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা
করেন। এর মধ্যেই অনেকে আটকা পড়েন। তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে যে কারখানায় আগুন লেগেছে, তা বিজিএমইএ এর সদস্যভুক্ত কোনো পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি ওয়াশিং কারখানা। এটির নাম শাহ আলী ওয়াশিং লিমিটেড বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য দিয়েছে সংগঠনটি।
ও উদ্ধার কাজের সময় পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, পাশের কারখানার আগুন দ্রুত সরু গলির ওপারের পোশাক কারখানার ভবনের নিচে ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে পোশাক কারখানার কর্মীরা নিচে নামতে পারেননি। আবার ছাদের দরজায় তালা থাকায় ধোঁয়া থেকে বাঁচতে ওপরেও যেতে পারেননি। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এ কারণে কর্মস্থলেই বিষাক্ত ধোঁয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন পোশাক কারখানাটির ওপর তলায় থাকা কর্মীরা। পরে সেই ভবনের ওপরের দিকে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়লে পুড়ে অঙ্গার হতে হয় তাদের। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে পোশাক কারখানায় তল্লাশি অভিযান শেষের তথ্য দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রাথমিক তদন্তের
ভিত্তিতে বলেন, চারতলা পোশাক কারখানার উপরে ছাদ টিনের। ছাদে যাওয়ার জন্য সেখানে একটি গ্রিলের দরজা রয়েছে। সেটি তালা মারা ছিল। এ কারণে তারা উপরের দিকে যেতে পারেননি। তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে পরিমাণ কেমিকেল বিস্ফোরণ, সেটার ফ্ল্যাশওভারে টক্সিক গ্যাসের কারণে আকস্মিকভাবে ওনারা অজ্ঞান হয়েছেন। পরে তারা সরতে পারেননি। উপরে যেতে পারেননি, নিচেও যেতে পারেননি। রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসার তথ্য দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, সেখানেও মৃতদেহ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তারা। তিনি বলেন, পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামের কোনটিরই অনুমোদন ছিল না। কোনো ধরনের নিরাপত্তা পরিকল্পনা ছিল না। স্বজনরা ছবি তুলে ধরে নিখোঁজদের খোঁজ করছেন। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার
মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে। ছবি: সংগৃহীত আগুন লাগা এই পোশাক কারখানা ও রাসায়নিকের গুদাম কোনটারই অনুমোদন ছিল না বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, রাসায়নিকের গুদামের পাশে একটি ‘ওয়াশ ইউনিট’ রয়েছে। সেখানে প্রথম আগুন লাগে। সেই আগুন পাশের রাসায়নিকের গুদামের ছড়িয়ে পড়লে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আগুন পোশাক কারখানার ওই পাঁচতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ওই কারখানা ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় আরএন ফ্যাশন নামের একটি পোশাক কারখানা রয়েছে। সেখানে গেঞ্জি তৈরি করা হতো। দোতলায় ছিল টি-শার্ট প্রিন্ট ফ্যাক্টরি, নাম স্মার্ট প্রিন্টিং। আর পাঁচতলায় বিসমিল্লাহ ফ্যাশন নামে আরেকটি প্রিন্ট কারখানা চলছিল। আগুন লাগার পর কারখানা ভবন থেকে শ্রমিকেরা নানাভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা
করেন। এর মধ্যেই অনেকে আটকা পড়েন। তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে যে কারখানায় আগুন লেগেছে, তা বিজিএমইএ এর সদস্যভুক্ত কোনো পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়। এটি একটি ওয়াশিং কারখানা। এটির নাম শাহ আলী ওয়াশিং লিমিটেড বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য দিয়েছে সংগঠনটি।



