
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বাগেরহাটে ৩ দিনের হরতালের ঘোষণা

দুই মহাসড়ক অবরোধ

লালন আখড়ায় পুলিশ মোতায়েন

রাজশাহীতে পুলিশের উপস্থিতিতে খানকা শরিফে উগ্রবাদীদের হামলা

মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৮, পুলিশ জানে না কিছু

গোয়ালন্দে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, নিহত ১

নুরা পাগলের কবর অবমাননার ঘটনায় সরকারের তীব্র নিন্দা
মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস বিকৃতকারী বদরুদ্দীন উমর আর নেই

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে আজীবন বিকৃত করার অভিযোগে বিতর্কিত বামধারার লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী বদরুদ্দীন উমর (৯৪) মারা গেছেন।
রোববার সকালে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে জন্ম নেওয়া বদরুদ্দীন উমর কর্মজীবনের শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে। পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বিদেশি সংস্থা ও প্রভাবশালী মহলের তহবিলের বিনিময়ে তিনি
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বিতর্কিত বয়ান তৈরি করতেন। এসব লেখা ও বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন এবং স্বাধীনতার ন্যায্যতা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চালান বলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষজন অভিযোগ করে আসছিলেন। চলতি বছর সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করলেও বদরুদ্দীন উমর তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় কিংবা বেসরকারি কোনো পুরস্কার গ্রহণ না করার অবস্থান বজায় রেখেছিলেন। উমর দীর্ঘদিন ধরেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্যের কারণে সমালোচিত ছিলেন। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যা লেখা হয়েছে তার “৮০ থেকে ৯০ শতাংশই মিথ্যা।” এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বানানোকে তিনি “ইতিহাসের আবর্জনা” আখ্যা
দেন। পরিণত বয়স থাকা সত্ত্বেও কেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি, ঢাকা শহরজুড়ে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের নাকের ডগায় কীভাবে নিরাপদে-নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াতে সক্ষম হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে- এমন সব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর জীবদ্দশায় দিতে পারেননি বদরুদ্দীন। এ ছাড়া তিনি প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন—“মুজিব কিসের জাতির পিতা।” তার এসব মন্তব্য ও লেখালেখি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার দৃষ্টান্ত হিসেবে বারবার সমালোচিত হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এক সাক্ষাৎকারে বদরুদ্দীন উমর বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা ‘নির্বুদ্ধিতা’। তবে তার দাবি ছিল সরকারি ও দলীয় বয়ানের একচোখা ইতিহাসচর্চার বিরুদ্ধে। বিতর্কিত অবস্থান নিয়েও দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন, লেখালেখি ও গবেষণায় সক্রিয় ছিলেন বদরুদ্দীন উমর। তার মৃত্যুর পর দাফন
ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কে পরে জানানো হবে বলে পরিবার জানিয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বিতর্কিত বয়ান তৈরি করতেন। এসব লেখা ও বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করেন এবং স্বাধীনতার ন্যায্যতা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চালান বলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষজন অভিযোগ করে আসছিলেন। চলতি বছর সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করলেও বদরুদ্দীন উমর তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় কিংবা বেসরকারি কোনো পুরস্কার গ্রহণ না করার অবস্থান বজায় রেখেছিলেন। উমর দীর্ঘদিন ধরেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্যের কারণে সমালোচিত ছিলেন। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যা লেখা হয়েছে তার “৮০ থেকে ৯০ শতাংশই মিথ্যা।” এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বানানোকে তিনি “ইতিহাসের আবর্জনা” আখ্যা
দেন। পরিণত বয়স থাকা সত্ত্বেও কেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি, ঢাকা শহরজুড়ে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের নাকের ডগায় কীভাবে নিরাপদে-নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াতে সক্ষম হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে- এমন সব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর জীবদ্দশায় দিতে পারেননি বদরুদ্দীন। এ ছাড়া তিনি প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন—“মুজিব কিসের জাতির পিতা।” তার এসব মন্তব্য ও লেখালেখি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার দৃষ্টান্ত হিসেবে বারবার সমালোচিত হয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে এক সাক্ষাৎকারে বদরুদ্দীন উমর বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা ‘নির্বুদ্ধিতা’। তবে তার দাবি ছিল সরকারি ও দলীয় বয়ানের একচোখা ইতিহাসচর্চার বিরুদ্ধে। বিতর্কিত অবস্থান নিয়েও দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন, লেখালেখি ও গবেষণায় সক্রিয় ছিলেন বদরুদ্দীন উমর। তার মৃত্যুর পর দাফন
ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কে পরে জানানো হবে বলে পরিবার জানিয়েছে।