মাশরাফির উপস্থিতিতে অস্ত্র দেখিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স দখল নেওয়া হয় – ইউ এস বাংলা নিউজ




মাশরাফির উপস্থিতিতে অস্ত্র দেখিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স দখল নেওয়া হয়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:৩০ 100 ভিউ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা ইস্যুতে হঠাৎ তোলপাড় দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকানা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন দলটির সাবেক চেয়ারম্যান সারোয়ার চৌধুরী। এরই মধ্যে এক বিবৃতিতে অভিযোগ উড়িয়ে দেয় সিলেট স্ট্রাইকার্স কর্তৃপক্ষ। এবার ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্টে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন সেই সারোয়ার। বুধবার (২ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে প্রথম মৌসুমেই সিলেটের ফাইনাল খেলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা অনেকেই হয়ত আমাকে চিনবেন সিলেট স্ট্রাইকারস-এর মাধ্যমে। ২০২৩ বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকারস নিজেদের প্রথম সিজনেই ফাইনাল খেলে, রানার্স আপ হয়। মাঠের সফলতা ছিল অসাধারণ, কিন্তু আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে

সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল আমাদের দেশি খেলোয়াড়দের চমৎকার পারফরম্যান্স। দ্বিতীয় মৌসুমে অপ্রত্যাশিত বাধার মুখোমুখি হওয়ার অভিযোগ তুললেন সারোয়ার চৌধুরী। তিনি বলেন, মাঠে খেলা ভালোই হয়েছিল, তাই না? সফল একটা সিজন গড়েছিলাম আমরা। সেই সিজনে আমি ছিলাম দলের চেয়ারম্যান; স্বপ্ন বড় হচ্ছিল, স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। কিন্তু ২০২৪ সালের বিপিএলের আগে হঠাৎ করেই এক অপ্রত্যাশিত বাঁধার মুখোমুখি হই। মাঠের সফলতা সত্ত্বেও আমি পরের সিজনে দলের সাথে থাকতে পারিনি, তারা আমাকে থাকতে দেয় নাই। এবং সিলেট ৭ দলের মধ্যে ৬ নাম্বার পজিশনে থেকে বিপিএলটা শেষ করে। আর সিলেট যে আগের সিজনের মত উজ্জীবিত ছিল না, এমনটা দর্শকরাই মনে করেছেন এবং প্রফেশনালিজমের অভাব

নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মাশরাফির সাথে পরিচয়ের সূত্রপাত নিয়ে সারোয়ার চৌধুরী বলেন, আমি মূলত আমেরিকায় ব্যবসা করি, এছাড়াও আমি নিউইয়র্কভিত্তিক (NYBCL Cricket League) এনওয়াইবিসিএল এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং দীর্ঘ ৫ বছর এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং নিউইয়র্ক ভিত্তিক বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে আমার হেলাল বিন ইউসুফের সাথে পরিচয় এবং তার মাধ্যমেই আমার মাশরাফি বিন মর্তুজার সাথে পরিচয় হয়। হ্যাঁ, মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশ দলের আমার অন্যতম প্রিয় একজন প্লেয়ার ছিলেন। আর সেই প্রিয় প্লেয়ার যখন নিজেই আমাকে বিপিএলে দল নেওয়ার আহ্বান করলেন, তখন আমি সানন্দে, বিশ্বাসের সাথে তা গ্রহণ করলাম। কিন্তু তখনও আমি জানতাম না যে এক পর্যায়ে যেয়ে, যাকে আমি

এতটা পছন্দ করতাম সেই মাশরাফির রাজনৈতিক অফিসে, তার এবং যার মাধ্যমে এখানে আশা সেই হেলাল বিন ইউসুফে শুভ্রের উপস্থিতিতে অবরুদ্ধ করে এবং অস্ত্র দেখিয়ে আমাকে হুমকি দেওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না—যাকে এতটা ভালোবাসতাম, সেই মানুষই এমনভাবে আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে! এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ অভিজ্ঞতা। তিনি আরও বলেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা এতদিন বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন ছিলেন। ক্রিকেটার হিসেবে তার অবশ্যই অনেক জনপ্রিয়তা ছিল/আছে। আমি নিজেও উনার এই অজানা হিংস্র চরিত্র দেখার আগে অনেক বড় ফ্যান ছিলাম এবং আমি জানি তখন হয়ত কেউ অভিযোগ করলে আমারও বিশ্বাস করতে কঠিন হত। আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন বিষয় ছিল

মাশরাফিকে নতুনভাবে দেখা। তিনি শুধু বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কই নন, তিনি তখন সরকার দলীয় এমপি, এবং সেই সরকার ছিল স্বৈরাচারী। এমন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব ছিল। তাই আমি আমার এবং আমার পরিবার-পরিজনের যারা অনেকেই বাংলাদেশেই বসবাস করেন তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কিছু করতে পারিনি। এতদিন পর আইনি লড়াইয়ে নামার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে আমাকে যখন অবরুদ্ধ করে হুমকি দেওয়া হল, এবং সেই সময় সরকারের প্রভাবশালী কারও বিরোধিতা করলে গুম হওয়া খুব অবাস্তব আশঙ্কা ছিল না। তাই হুমকি আমাকে সিরিয়াসভাবেই নিতে হয়েছে। কিন্তু এখন? এখন সময় বদলেছে, ছাত্রদের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের সফলতার পর দেশ নতুন আলোর দিকে

এগিয়ে যাচ্ছে, এখন আমি ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং বাংলাদেশ একদিন সমস্ত বাধা অতিক্রম করবে। জীবনের হুমকি একবার সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবে নিরাপত্তার চিন্তা রয়েই যায়। কিন্তু মহান আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আমি আইনি লড়াইয়ে নেমেছি এবং লড়াই চালিয়ে যাব, আমি শীঘ্রই একটি প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সবকিছু পরিষ্কারভাবে তুলে ধরব, ইনশা আল্লাহ্। আশা করি আপনারা পাশে থাকবেন এবং আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের সাবেক মালিক সারোয়ার চৌধুরী রাজধানীর পল্লবী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয় মাশরাফিকে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মাশরাফির কার্যালয়ে বসে সারোয়ার চৌধুরীর মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মাদার প্রতিষ্ঠান ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিকানা কেড়ে নেয় সিলেট স্ট্রাইকার্সের সহ-মালিক হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র। মামলাটিতে মাশরাফি ছাড়াও হেলাল বিন ইউসুফ শুভ্র, মো. ইমাম হাসান, অজ্ঞাতপরিচয় (রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কম্পানির এক কর্মকর্তা), কে এম রাসেলসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
পাকিস্তানে হামলার ভুয়া ভিডিও প্রচার, ক্ষমা চাইলেন ভারতীয় সাংবাদিক খুলনাসহ যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ গাজা নিয়ে নেতানিয়াহুর ভয়ংকর হুমকি ‘দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়বে’ এনবিআর বিভক্তির কারণ জানাল সরকার কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব ট্রাম্পের, কী বলছে ভারত? নেতানিয়াহু গাজায় সেনাদের যুদ্ধাপরাধে পাঠাচ্ছেন, দাবি সাবেক সেনাপ্রধানের পানি সংকটের কারণে পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি হুমকির মুখে সৌদি সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, শুরু হলো শীর্ষ বৈঠক শুটিং অসমাপ্ত রেখেই ঢাকায় ফিরলেন তটিনী রমনা বোমা হামলা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড পুতিন-জেলেনস্কির বৈঠকের আগে রাশিয়াকে যে হুমকি দিল ইউরোপ মামলা বাণিজ্যে বেপরোয়া গাজীপুরের বিএনপি নেতা স্বপন সারা দেশে অনলাইনে এনআইডি কার্যক্রম বন্ধ পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ যুদ্ধবিরতির পর জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর অভিযান, নিহত ৩ দুর্ভিক্ষের ‘গুরুতর ঝুঁকিতে’ গাজার ২১ লাখ বাসিন্দা মেয়র নির্বাচনে জয়ী হচ্ছেন ফিলিপাইনের কারাবন্দী সাবেক প্রেসিডেন্ট অবসর ঘোষণার পরই বৃন্দাবনে হাজির কোহলি, নিলেন গুরুর আশির্বাদ গ্রেফতার মমতাজ, যা বললেন ইলিয়াস হোসেন