মাতৃরূপে ঈশ্বরের উপাসনা – ইউ এস বাংলা নিউজ




মাতৃরূপে ঈশ্বরের উপাসনা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ অক্টোবর, ২০২৪ | ১০:৪৭ 10 ভিউ
পৌরাণিক ধারা ও লোকায়ত ধারার মধ্য দিয়ে দেবী হয়েছেন আমাদের পরিবারের অঙ্গ, আমাদের একান্ত কাছের মানুষটি। দেবী ও মানবী ভাব মিশে একটি নতুন মাত্রা আমাদের দেবী-ভাবনায় সংযুক্ত হয়েছে। অবশেষে হিন্দুর শক্তিভাবনায় দুটি নাম প্রধান স্থান লাভ করেছে—দুর্গা এবং কালী। এই দুই মায়ের মধ্যেই হিন্দুর ধর্মভাবনায় মাতৃরূপে ঈশ্বরের উপাসনা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। এই দুই দেবীর পূজাই আজ ভারতবর্ষে, বিশেষত বঙ্গদেশে হিন্দুর সর্বাধিক জনপ্রিয় মাতৃপূজা। ধর্মতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব এবং নৃতত্ত্ব বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণের গবেষণা যা-ই বলুক না কেন, সাধারণ বুদ্ধিতে মনে হয়, সভ্য মানুষ যখন প্রথম ঈশ্বরের কল্পনা করেছিল অথবা মানুষ যখন তার চেয়ে উচ্চতর বা ঊর্ধ্বতর কোনো অলৌকিক অথবা অতিপ্রাকৃত শক্তির প্রথম কল্পনা করেছিল, তখন

সে ঈশ্বরকে অথবা সেই অতি-মানবিক শক্তিকে নারী হিসেবেই ভেবেছিল। আমাদের মনে হয়, মানব-ইতিহাসে ঈশ্বর-ধারণার সেই সূচনা। বলা বাহুল্য, মানুষের মানসচক্ষে ঈশ্বরের যে-রূপটি তখন ভেসে উঠেছিল তা ছিল স্বাভাবিকভাবেই তার আপন গর্ভধারিণীরই মহত্তর, আদর্শায়িত রূপকল্প। অর্থাৎ সভ্য মানুষের চিন্তায় ঈশ্বর সম্ভবত মাতৃরূপেই প্রথম কল্পিত হয়েছেন। আমরা যে নিছকই কল্পনায় পক্ষবিস্তার করে এ কথা বলছি, তা নয়। আমাদের ধারণার ভিত্তি অবশ্যই আছে। মানবসভ্যতার প্রাচীনতম সাহিত্য বা মানুষের প্রাচীনতম ‘লিপিবদ্ধ ইতিহাস’ ঋগ্বেদে আমরা আমাদের ধারণার সমর্থন পাচ্ছি। ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের দশম অনুবাকের ১২৫তম সূক্তটি ‘দেবীসূক্ত’ নামে প্রসিদ্ধ। মানবসভ্যতার পূর্বাহ্ণে উচ্চারিত এই সূক্তে আমরা ঋষি অম্ভৃণের কন্যা ঋষি বাকের উপলব্ধির সঙ্গে পরিচিত হই। ঋষি বাক

উপলব্ধি করেছিলেন : জগৎ-প্রপঞ্চের পিছনে জগৎ-কারণরূপে যিনি অবস্থান করছেন, যার অঙ্গুলিহেলনে বা ইচ্ছানুসারে সূর্য চন্দ্র গ্রহ নক্ষত্র প্রভৃতি পরিচালিত হচ্ছে, যার প্রভাব ভিন্ন রুদ্র তার ধনুকে জ্যা-রোপণে অসমর্থ, ব্রহ্মাণ্ডের সকল কিছুর মধ্যে যিনি ওতপ্রোতভাবে অনুস্যূত ও পরিব্যাপ্ত এবং তার বাইরেও যিনি বিদ্যমান, তিনি একজন নারী। তিনিই জগতের ঈশ্বরী-আদ্যাশক্তি। দেবীসূক্তের পর ‘রাত্রিসূক্ত’। ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের দশম অনুবাকের ১২৭তম সূক্তটিই বিখ্যাত ‘রাত্রিসূক্ত’। এই সূক্তে তৎকালীন মানুষের যে-পরিচয় আমরা পাচ্ছি সে-মানুষ হিংস্র প্রাণী ও দুর্ধর্ষ দস্যুদের পীড়নে আর্ত এবং সন্ত্রস্ত, শত্রুর (অসুরের?) আক্রমণের আশঙ্কায় সদাউদ্বিগ্ন। শঙ্কাহীন নিরুদ্বেগ জীবন ও শত্রুনাশের জন্য সে তাই ব্যাকুলভাবে প্রার্থনারত। স্মরণাতীত কালে আমাদের এই অগ্রজদের প্রার্থনা কার কাছে?

কার উদ্দেশে তারা নতজানু? রাত্রিসূক্তের ঋষি কুশিকের ভাষায় তিনি হলেন সর্বব্যাপিনী, বিশ্ববিধাত্রী, বিশ্বত্রাত্রী, বিশ্বপ্রসবিত্রী, জগৎ-প্রকাশিকা আদ্যাশক্তি। ঋষি তাকে ‘রাত্রি’ নামে অভিহিত করেছেন। ভাষ্যকারের মতে, ‘রাত্রি’ শব্দের অর্থ—‘অভীষ্টদাত্রী’ (‘রাত্রি = দদাতি অভিষ্টম্ ইতি রাত্রিঃ৷’) শুধু ঋগ্বেদেই নয়, সামবেদেও ‘রাত্রিসূক্ত’ আছে। সেখানেও দেখি, আদ্যাশক্তির আদেশে সূর্য, বায়ু, বরুণ, পৃথিবী নিজ নিজ ভূমিকা পালন করছেন। অসুরবধের জন্য, অমঙ্গলনাশের জন্য তিনি বারবার পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। যজুর্বেদ ও অথর্ববেদের মধ্যেও বিভিন্ন স্ত্রী-দেবতার উল্লেখ রয়েছে। বিভিন্ন বেদের আরণ্যক, ব্রাহ্মণ ও উপনিষদ অংশ বহু স্ত্রী-দেবতার নাম বহন করছে। পণ্ডিতদের মতে, দেবীসূক্তের বাক এবং রাত্রিসূক্তের রাত্রি পরবর্তীকালে যথাক্রমে সরস্বতী ও কালীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। ঋগ্বেদের পরিশিষ্টের অন্তর্গত ‘শ্রীসূক্ত’-এর মধ্যে

ঋগ্বেদের শেষের দিকের শক্তিভাবনার উল্লেখ পাই। পণ্ডিতদের মতে ‘শ্রীসূক্ত’-এর শ্রী পরবর্তীকালে লক্ষ্মীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। বৈদিক যুগের পর মহাভারত ও পুরাণের মধ্যে স্ত্রী-দেবতার আরাধনা একটি উল্লেখযোগ্য আকার ধারণ করতে দেখা যায়। পাশাপাশি বিশাল তন্ত্রসাহিত্যের মধ্যেও শাক্ত আরাধনা এক প্রবল আকার ধারণ করে। ‘তন্ত্রসাহিত্য’ বলতে বৈষ্ণব, শৈব ও শাক্ত ধর্মীয় সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারাকে বোঝালেও ‘তন্ত্র’ বলতে সাধারণত মানুষ শাক্ত ধর্মীয় সাহিত্যকেই বোঝে। তবে শাক্ত তন্ত্রসাহিত্যের বা তান্ত্রিকী ধারার সময় নিয়ে মতভেদ আছে। কেউ কেউ তন্ত্রকে বৈদিক যুগের সমসাময়িক, এমনকি তার চেয়েও প্রাচীন বলে মত প্রকাশ করেছেন। তবে তন্ত্রসাহিত্যের কাল সম্ভবত অতটা প্রাচীন নয় এবং অনেক তন্ত্রই বহু পরবর্তী কালে রচিত। তবে ধর্মীয়

সাহিত্য হিসেবে সুপ্রাচীন না হলেও ধর্মীয় পদ্ধতি হিসেবে তন্ত্র যে যথেষ্টই প্রাচীন, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তন্ত্রসাহিত্যের সূচনা যখনি হোক না কেন, অন্তত দেড় হাজার বছর আগে হিন্দুর ধর্মসাহিত্য ও ধর্মসাধনা প্রধানত বৈদিক এবং তান্ত্রিক এই দুই ধারায় বিভক্ত ছিল। শুধু বৈদিক যুগেই নয়, প্রাক্-বৈদিক যুগেও মানুষ ঈশ্বরকে মাতৃরূপে উপাসনা করত। হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারোর ধ্বংসাবশেষ থেকে সুপ্রাচীন (পৃথিবীর সভ্যতাগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম?) সিন্ধুসভ্যতার যেসব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে তা থেকে প্রমাণিত হয় যে, ওই দুই প্রাচীন নগরের অধিবাসীদের প্রধান উপাস্য ছিলেন স্ত্রী-দেবতারা। তান্ত্রিক পদ্ধতির বীজ কি সেখানেই নিহিত ছিল? কে জানে তবে সিন্ধুসভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোতে যেসব স্ত্রী-দেবতার মূর্তি পাওয়া গিয়েছে সেগুলোকে নিঃসন্দেহে পরবর্তীকালের

শক্তিমূর্তিগুলোর আদিরূপ বলা যেতেই পারে। নৃতত্ত্ববিদদের মতে, ওই মূর্তিগুলো প্রধানত শস্য, প্রাণশক্তি ও প্রজননশক্তির প্রতীক-স্বরূপিণী মাতা বসুন্ধরা বা পৃথিবীর। শুধু ভারতের প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতার ইতিহাসই নয়, পৃথিবীর অন্যান্য প্রাচীন সভ্যতাগুলোর ইতিহাস বিচার-বিশ্লেষণ করলেও ঈশ্বরকে মাতৃরূপে উপাসনা যে মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা থেকেই উদ্ভূত, তা স্পষ্টই বোঝা যায়। ‘স্বাভাবিক প্রবণতা’ কেন বলছি? পৃথিবীর প্রথম আলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ মাকেই প্রথম দেখে। সেজন্যই বোধ হয় আমাদের কণ্ঠ-উৎসারিত প্রথম শব্দটিও ‘মা’। একমাত্র মায়ের সঙ্গেই মানুষের ‘নাড়ি’র সম্পর্ক। এই সম্পর্ক যেমন জৈবিক biological) অর্থে সত্য, তেমনি সত্য মানসিক (mental), মনস্তাত্ত্বিক (psychological) এবং আধ্যাত্মিক (spiritual) অর্থেও। সব অর্থেই মানুষ মায়ের সঙ্গেই সর্বাপেক্ষা নিকট সম্পর্কে সম্পর্কিত। সে কারণেই জন্মলগ্ন থেকেই মানুষের চরিত্রের ওপর মায়ের প্রভাব জ্ঞাতসারে অথবা অজ্ঞাতসারে বেশি ক্রিয়াশীল থাকে। মায়ের ওপরই শিশুর সবচেয়ে বেশি নির্ভরতা, মা-ই শিশুর সবচেয়ে বেশি বিশ্বস্ত জন। যখন সে ভয় পায় তখন সে মায়ের কোলেই আশ্রয় খোঁজে, যখন তার আনন্দ হয় সবার আগে সে মাকেই সেই আনন্দের ভাগীদার করতে চায়। দুঃখে এবং আনন্দে, ভয়ে অথবা উদ্বেগে মাকেই সে প্রথম খোঁজে। মায়ের সঙ্গে মানুষের এই সম্পর্কের জন্যই দেখা যায়, মা যখন শিশুসন্তানকে দুষ্টুমির জন্য মারেন তখন এক হাতে চোখের জল মুছতে মুছতে অন্য হাতে শিশুটি মাকেই জড়িয়ে ধরে। কারণ, জন্মলগ্ন থেকেই তার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় তাকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে, যে-হাত তাকে আঘাত করেছে, সেই হাতই তাকে পরক্ষণে বুকে জড়িয়ে ধরবে এবং যে-চোখ এবং যে-মুখ এতক্ষণ সে ক্রোধে জ্বলতে দেখেছিল, সেই চোখই কয়েক মুহূর্ত পরে জলে ভাসবে এবং সেই মুখই তার অশ্রুলিপ্ত মুখকে চুমোয় চুমোয় ভরে দেবে। বস্তুত, মানুষ যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে বা শ্রদ্ধা করে অথবা যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা অর্পণ করতে চায়, তার মধ্যে সম্ভবত সে তার অজ্ঞাতসারে নিজের মা-কেই দেখতে চায়। এটিই মানুষের সহজাত মনস্তত্ত্ব। সভ্য মানুষ যখন ইতিহাসের ঊষালগ্নে ঈশ্বরের শরণাপন্ন হয়েছিল তখন তার ভাবনায় বোধ হয় এই মনস্তত্ত্বই ক্রিয়াশীল ছিল। যাই হোক, ঈশ্বরের মাতৃরূপের এই ভাবনা ভারতবর্ষে প্রাক্-বৈদিক, বৈদিক, তান্ত্রিক ও পৌরাণিক—এই চার প্রধান ধারায় অভিব্যক্ত হয়েছে। বৈদিক ভাবনা পরবর্তীকালে উপনিষদের মধ্যে ক্রমবিবর্তিত হয়ে যে-রূপ লাভ করেছিল তারই উত্তরোত্তর অভিব্যক্তি দেখা গিয়েছে রামায়ণ, মহাভারত এবং পুরাণ ও উপপুরাণগুলোতে। পাশাপাশি প্রাক্-বৈদিক যুগে দেবী-ভাবনার ধারণা একটি নির্দিষ্ট ধারায় বিকাশলাভ করে চলেছিল। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, আমরা যাকে ‘তন্ত্র’ বলে জানি, তার উৎস আছে প্রাক্-বৈদিক যুগের দেবী-ভাবনায়। সুপ্রাচীন কাল থেকেই কিন্তু আরও একটি ধারা ছিল। সে-ধারাটি হলো আদিবাসী, উপজাতি ও সমাজের নিম্নবর্ণের মধ্যে প্রচলিত লোকায়ত ধারা। পরবর্তীকালে প্রতিটি ধারাই একে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, একের মধ্যে অন্যের চিন্তাভাবনা ও পদ্ধতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। ভারতের সর্বত্রই এই সংমিশ্রণ ও পারস্পরিক প্রভাবের ব্যাপারটি কমবেশি ঘটেছে। বৈদিক সাহিত্যে দেবীকে অদিতি, উষা, অম্বিকা, উমা, সরস্বতী, দুর্গা, সাবিত্রী, পৃথিবী প্রভৃতি বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হলেও ‘কালী’ ও ‘চণ্ডী’ নামটি কোথাও পাওয়া যায় না। ‘কালী’ নামটি মুণ্ডক উপনিষদে প্রথম পাওয়া গেলেও নামটি সেখানে কোন স্ত্রী-দেবতার নাম নয়। ‘কালী’ সেখানে অগ্নির সপ্ত জিহ্বার একটির নাম। ‘কালী’ নামটি প্রথম পাওয়া যায় মহাভারতে। ‘চণ্ডী’র প্রথম সাক্ষাৎ পাওয়া যায় পৌরাণিক দেবী হিসেবে সাহিত্যে। ‘চণ্ডী’ বা ‘চণ্ডিকা’ নামে তাকে সর্বাধিক বেশি অভিহিত হতে দেখি অবশ্য মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্তর্গত ‘দেবীমাহাত্ম্যে’ যা ‘চণ্ডী’ বা ‘দুর্গা-সপ্তশতী’ নামে বহু প্রসিদ্ধ। ‘কালী’ নামটিও সেখানে এসেছে উল্লেখযোগ্যভাবেই। ক্রমে দুর্গা ও কালী সেখানে একই মহাদেবীর বিভিন্ন রূপ বলে বর্ণিত হয়েছেন। ক্রমে দুর্গা, কালী প্রভৃতি পরিচিত নামের সঙ্গে অন্যান্য পুরাণ বা উপপুরাণে ‘চামুণ্ডা’, ‘উগ্রচণ্ডী’, ‘উগ্রচণ্ডিকা’ নাম মূলা শক্তি বা আদ্যাশক্তি সম্পর্কে প্রযুক্ত হয়েছে। ক্রমে ‘চণ্ডী’ হয়েছেন ‘মঙ্গলচণ্ডী’, যিনি মানুষের সকল অশুভ ও অমঙ্গলকে নাশ করেন। চণ্ডীর মঙ্গলচণ্ডী হয়ে ওঠা অবশ্য এক দিনে বা এক যুগে হয়নি। এই বিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আছে বৈদিক, প্রাক্-বৈদিক, তান্ত্রিক, পৌরাণিক ও লোকায়ত ঐতিহ্যের পারস্পরিক ক্রিয়া ও বিক্রিয়ার পর্ব। এইভাবে পৌরাণিক ধারা ও লোকায়ত ধারার মধ্য দিয়ে দেবী হয়েছেন আমাদের পরিবারের অঙ্গ, আমাদের একান্ত কাছের মানুষটি। দেবী ও মানবী ভাব মিশে একটি নতুন মাত্রা আমাদের দেবী-ভাবনায় সংযুক্ত হয়েছে। অবশেষে হিন্দুর শক্তিভাবনায় দুটি নাম প্রধান স্থান লাভ করেছে—দুর্গা এবং কালী। এই দুই মায়ের মধ্যেই হিন্দুর ধর্মভাবনায় মাতৃরূপে ঈশ্বরের উপাসনা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। এই দুই দেবীর পূজাই আজ ভারতবর্ষে, বিশেষত বঙ্গদেশে হিন্দুর সর্বাধিক জনপ্রিয় মাতৃপূজা। লেখক: অধ্যক্ষ ও সম্পাদক, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
৭০০ ফুট সড়কে শত সমস্যা পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন আসছে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিতে সেনাবাহিনীতে নতুন দুই লেফটেন্যান্ট জেনারেল, ডিজিএফআই মহাপরিচালক হলেন জাহাঙ্গীর আলম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ভারতের অভিযোগ ভিত্তিহীন অযাচিত মুম্বাইয়ে সাবেক মন্ত্রী সিদ্দিককে গুলি করে হত্যা কৌশলী বিএনপির ‘সমন্বয়’ পরিকল্পনা, বাদ জামায়াত রাষ্ট্র সংস্কারের সংলাপে না ডাকায় আমরা বিব্রত: জি এম কাদের তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন মালেক ‘হ্যারিসের হানিমুন’ শেষ, ট্রাম্পের বাজিমাত! দেশেই আছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল, রাজি আত্মসমর্পণেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসহ ৩৮৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধ মামলা বাফুফেতে ‘আয়নাঘর’ কী বলছেন অধিনায়ক ডিজিটাল পদ্ধতিতে মতামত নেবে নির্বাচন সংস্কার কমিশন খুচরায় ডিমের ডজন সর্বোচ্চ ১৯০ টাকা বেরোবি রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গুম ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল : এমএ মালেক সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মুর্তজা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসনের আহ্বান ড. ইউনূসের