ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আজকের স্বর্ণের দাম: ১ নভেম্বর ২০২৫
তীব্র অর্থ সংকটে সরকার
বাংলাদেশের রিজার্ভ-মূল্যস্ফীতি নিয়ে আইএমএফের সন্তোষ প্রকাশ
বৈদেশিক অর্থায়ন ব্যর্থ, তহবিলের টাকায় ইস্টার্ন রিফাইনারি-২ নির্মাণের সিদ্ধান্ত
আইএমএফ: দুর্বল ব্যাংকগুলোকে অঙ্গীকারনামার ঋণ দিলে আর্থিক খাতে ঝুঁকি বাড়বে
অর্থনীতিতে বহুমুখী চাপ: ব্যয়ের লাগাম টানতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার
লোকদেখানো ভারত-বিদ্বেষ: দুবাই থেকে বাংলাদেশের কেনা চালের উৎস সেই ভারত!
বিশ্ববাজারে গমের দাম কমতে কমতে অর্ধেকে নামলেও দেশে আটার দাম আকাশছোঁয়া, এই বৈষম্য কমবে কবে?
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ২০২২ সালে বিশ্ববাজারে গমের দাম রেকর্ড ছুঁয়েছিল। সেই প্রভাব পড়েছিল বাংলাদেশেও। এক লাফে বেড়ে গিয়েছিল আটার দাম। কিন্তু তিন বছর ধরে বিশ্ববাজারে গমের দাম টানা কমলেও দেশে আটার দাম তেমন কমেনি। উল্টো প্যাকেট আটার দাম এখন মোটা চালের চেয়েও বেশি। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যআয়ের মানুষ।
সাধারণের প্রশ্ন, বৈষম্য কমানোর কথা বললেও কেন ইউনূস সরকার এই দামের বৈষম্য কমাতে পারছে না?
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার জানায়, ২০২২ সালের ১৬ই মে বিশ্ববাজারে প্রতি টন গমের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৪৫৭ ডলার। একই বছরের ২৪শে অক্টোবর তা নেমে আসে ৩৩৫ ডলারে, আর ২০২৫ সালের ২০শে অক্টোবর দাঁড়ায় ২১৮ ডলারে।
অর্থাৎ তিন বছরে গমের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। তবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বিশ্ববাজারে এমন পতনের প্রভাব দেশের বাজারে পড়েনি। ২০২২ সালের অক্টোবরে খোলা আটার কেজি ছিল ৫৫-৫৮ টাকা, আর প্যাকেট আটা ৫৮-৬০ টাকা। বর্তমানে রাজধানীর বাজারে খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫২ টাকায়, কিন্তু প্যাকেট আটা বেড়ে ৫৫-৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। খোলা আটা কিছুটা কমলেও প্যাকেট আটার দাম উল্টো বেড়েছে। ২ কেজির প্যাকেট আগে বিক্রি হতো ১১০-১১৫ টাকায়, এখন গায়ে লেখা দাম ১৩০ টাকা। ফলে প্যাকেট আটা এখন মোটা চালের দামকেও ছাড়িয়ে গেছে যেখানে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫২-৫৫ টাকায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, গমের আন্তর্জাতিক দাম কমলেও ডলারের দর বৃদ্ধি
তাদের আমদানি ব্যয় বাড়িয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে ডলারের দাম ছিল প্রায় ১০৬ টাকা, বর্তমানে তা ১২২ টাকার কাছাকাছি। তবে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তখন প্রতি টন গমের দাম ছিল ৩৩৫ ডলার, অর্থাৎ স্থানীয় মুদ্রায় ৩৫,৫১০ টাকা। এখন দাম ২১৮ ডলার, অর্থাৎ ২৬,৫৯৬ টাকা। অর্থাৎ ডলারের দাম বাড়লেও তিন বছর আগের তুলনায় এখন প্রতি টন গম প্রায় ৯ হাজার টাকা সস্তায় আমদানি করা সম্ভব। বসুন্ধরা মাল্টি ফুড অ্যান্ড বেভারেজের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের প্রধান রেদওয়ানুর রহমান বলেন, ২০২২ সালের তুলনায় এখন বিশ্ববাজারে গমের দাম ৫৭ শতাংশের মতো কম। কিন্তু ডলারের দাম বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে অনেক বড় আমদানিকারক আমদানি বন্ধ রেখেছেন বা
সীমিত আকারে করছেন। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কমছে না। গমের দাম নির্ভর করে প্রোটিনের পরিমাণের ওপর। ভালো গমের দাম বেশি। এফওবি (ফ্রেইট অন বোর্ড) মূল্যের সঙ্গে অন্তত ৫০ ডলার পরিবহন খরচ যোগ হয়। কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)এর সিনিয়র সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, যুদ্ধের সময় গমের দাম বাড়লে ব্যবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গে আটা ও ময়দার দাম বাড়িয়েছিল। এখন বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশে তা সমন্বয় করা হয়নি। দুর্বল তদারকির সুযোগে গুটিকয়েক কোম্পানি বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, আমদানিকারকরা কত দরে গম এনেছেন, কত কর দিয়েছেন—এসব বিশ্লেষণ করে ট্যারিফ কমিশনের দেখা উচিত, অতি মুনাফা হচ্ছে কিনা। আটা
একটি অত্যাবশ্যক পণ্য, তাই ভোক্তার স্বার্থে বাজার বিশ্লেষণ জরুরি। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহম্মেদ বলেন, গমের আমদানি মূল্য, শুল্কহার ও স্থানীয় দাম নির্ধারণের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। তবে ভোক্তা অধিদপ্তর বাজার তদারকি করছে, এবং আটার দামের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বাংলাদেশে বছরে গমের চাহিদা ৭০-৮০ লাখ টন, যার মধ্যে উৎপাদন হয় মাত্র ১২-১৩ লাখ টন। বাকিটা আমদানিনির্ভর। গত অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে মোট ৬২ লাখ টন গম আমদানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ১১ লাখ টনের বেশি।
অর্থাৎ তিন বছরে গমের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। তবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বিশ্ববাজারে এমন পতনের প্রভাব দেশের বাজারে পড়েনি। ২০২২ সালের অক্টোবরে খোলা আটার কেজি ছিল ৫৫-৫৮ টাকা, আর প্যাকেট আটা ৫৮-৬০ টাকা। বর্তমানে রাজধানীর বাজারে খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫২ টাকায়, কিন্তু প্যাকেট আটা বেড়ে ৫৫-৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। খোলা আটা কিছুটা কমলেও প্যাকেট আটার দাম উল্টো বেড়েছে। ২ কেজির প্যাকেট আগে বিক্রি হতো ১১০-১১৫ টাকায়, এখন গায়ে লেখা দাম ১৩০ টাকা। ফলে প্যাকেট আটা এখন মোটা চালের দামকেও ছাড়িয়ে গেছে যেখানে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫২-৫৫ টাকায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, গমের আন্তর্জাতিক দাম কমলেও ডলারের দর বৃদ্ধি
তাদের আমদানি ব্যয় বাড়িয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবরে ডলারের দাম ছিল প্রায় ১০৬ টাকা, বর্তমানে তা ১২২ টাকার কাছাকাছি। তবে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তখন প্রতি টন গমের দাম ছিল ৩৩৫ ডলার, অর্থাৎ স্থানীয় মুদ্রায় ৩৫,৫১০ টাকা। এখন দাম ২১৮ ডলার, অর্থাৎ ২৬,৫৯৬ টাকা। অর্থাৎ ডলারের দাম বাড়লেও তিন বছর আগের তুলনায় এখন প্রতি টন গম প্রায় ৯ হাজার টাকা সস্তায় আমদানি করা সম্ভব। বসুন্ধরা মাল্টি ফুড অ্যান্ড বেভারেজের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের প্রধান রেদওয়ানুর রহমান বলেন, ২০২২ সালের তুলনায় এখন বিশ্ববাজারে গমের দাম ৫৭ শতাংশের মতো কম। কিন্তু ডলারের দাম বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে অনেক বড় আমদানিকারক আমদানি বন্ধ রেখেছেন বা
সীমিত আকারে করছেন। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম কমছে না। গমের দাম নির্ভর করে প্রোটিনের পরিমাণের ওপর। ভালো গমের দাম বেশি। এফওবি (ফ্রেইট অন বোর্ড) মূল্যের সঙ্গে অন্তত ৫০ ডলার পরিবহন খরচ যোগ হয়। কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)এর সিনিয়র সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, যুদ্ধের সময় গমের দাম বাড়লে ব্যবসায়ীরা সঙ্গে সঙ্গে আটা ও ময়দার দাম বাড়িয়েছিল। এখন বিশ্ববাজারে দাম কমলেও দেশে তা সমন্বয় করা হয়নি। দুর্বল তদারকির সুযোগে গুটিকয়েক কোম্পানি বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। র্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, আমদানিকারকরা কত দরে গম এনেছেন, কত কর দিয়েছেন—এসব বিশ্লেষণ করে ট্যারিফ কমিশনের দেখা উচিত, অতি মুনাফা হচ্ছে কিনা। আটা
একটি অত্যাবশ্যক পণ্য, তাই ভোক্তার স্বার্থে বাজার বিশ্লেষণ জরুরি। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফারুক আহম্মেদ বলেন, গমের আমদানি মূল্য, শুল্কহার ও স্থানীয় দাম নির্ধারণের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। তবে ভোক্তা অধিদপ্তর বাজার তদারকি করছে, এবং আটার দামের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। বাংলাদেশে বছরে গমের চাহিদা ৭০-৮০ লাখ টন, যার মধ্যে উৎপাদন হয় মাত্র ১২-১৩ লাখ টন। বাকিটা আমদানিনির্ভর। গত অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে মোট ৬২ লাখ টন গম আমদানি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ১১ লাখ টনের বেশি।



