
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

হামাসের দাবি, দোহায় ইসরাইলি হামলা থেকে নেতারা অক্ষত

কাতারে ইসরাইলের প্রধান টার্গেট কে এই খলিল আল-হাইয়া

এবার কাতারে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল

এক মাসে ছয় আরব দেশে ইসরাইলের বোমা হামলা

‘নেপালে অভ্যুত্থানের অন্যতম কারণ পিআর পদ্ধতির নির্বাচন’

জেন-জিকে সামনে রেখে বিক্ষোভের নেপথ্যে কারা

নেপালের মন্ত্রীদের হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নিচ্ছে সেনাবাহিনী
বিক্ষোভের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী

নেপালের মাইতিঘরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন ইচ্ছা থাপা। সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের স্নাতক করছেন তিনি।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগ বন্ধ ও দুর্র্নীতি বিষয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল থাপা-ও। কিন্তু পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে বিক্ষোভ ছেড়ে চলে আসেন তিনি। তার মতে- আন্দোলনের প্রকৃত রেশ আর নেই, কোথাও গণ্ডগোল আছে। মূলত পুরো বিক্ষোভের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। কাঠমান্ডু পোস্ট।
থাপা বলেন, ‘এটি একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হওয়ার কথা ছিল। সেই কারণেই আমরা সেখানে ছিলাম। কিন্তু এখন এটি শুধু একটি খারাপ স্বপ্ন যা থেকে আমি চোখ খুলে দেখছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে প্রত্যাশা বনাম বাস্তবতায় ব্যাপক ফারাক। যদি স্পষ্ট নেতৃত্ব থাকত, তাহলে আরও
ভালো হতো। আন্দোলনের মূল এজেন্ডা ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বাইরের শক্তিগুলো তাদের নিজস্ব স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’ তবে আন্দোলনের পক্ষেও কথা বলেছেন অনেকে। পূর্ববর্তী এমন আরও আন্দোলনে অংশ নেওয়া এমনই একজন ৫৭ বছর বয়সি বিনয় কার্কি। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করার সময় আমরা আগেও একই রকম প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলাম। আজ তরুণরাও একই কাজ করছে। আমরা যে ব্যবস্থার জন্য লড়াই করেছি তার অপব্যবহার হচ্ছে। তাই যুবসমাজকে সচেতন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা ভালো।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রজন্ম আমাদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং অবগত। আমি মনে করি তারা আরও ভালো করতে পারে এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা পরিবর্তন
করতে পারে।’ সামাজিক উদ্যোক্তা এবং হাট্টি হাট্টি নেপালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রিয়া সিগডেল বলেন, ‘সরকারের পদক্ষেপের অভাব এবং গুরুত্বের অভাবের কারণেই এটি ঘটেছে। তারা দাবি করেছিল যে তারা রাবার বুলেট ছুড়েছে, কিন্তু হাসপাতালে আমরা আসল ধাতব বুলেট দেখেছি। এটি যুবসমাজকে চুপ করে দেওয়ার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর দমন করার বিষয়টি তুলে ধরে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন থামতে পারি না। অনেক নিরীহ তরুণ মারা গেছে। আমরা যদি চুপ করে থাকি, তাহলে এই নেতারা এবং তাদের সন্তানরা একই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা চালিয়ে যাবে। এখন যেহেতু সরকার আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে তাদের কথা শোনার জন্য আমাদের মরতে হবে, তাহলে আমরা মরব। কিন্তু আমরা থামব না।
দায়ীদের জবাবদিহি করতে হবে এবং এই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।’
ভালো হতো। আন্দোলনের মূল এজেন্ডা ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বাইরের শক্তিগুলো তাদের নিজস্ব স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’ তবে আন্দোলনের পক্ষেও কথা বলেছেন অনেকে। পূর্ববর্তী এমন আরও আন্দোলনে অংশ নেওয়া এমনই একজন ৫৭ বছর বয়সি বিনয় কার্কি। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করার সময় আমরা আগেও একই রকম প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলাম। আজ তরুণরাও একই কাজ করছে। আমরা যে ব্যবস্থার জন্য লড়াই করেছি তার অপব্যবহার হচ্ছে। তাই যুবসমাজকে সচেতন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে দেখা ভালো।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রজন্ম আমাদের চেয়ে বেশি শিক্ষিত এবং অবগত। আমি মনে করি তারা আরও ভালো করতে পারে এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা পরিবর্তন
করতে পারে।’ সামাজিক উদ্যোক্তা এবং হাট্টি হাট্টি নেপালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রিয়া সিগডেল বলেন, ‘সরকারের পদক্ষেপের অভাব এবং গুরুত্বের অভাবের কারণেই এটি ঘটেছে। তারা দাবি করেছিল যে তারা রাবার বুলেট ছুড়েছে, কিন্তু হাসপাতালে আমরা আসল ধাতব বুলেট দেখেছি। এটি যুবসমাজকে চুপ করে দেওয়ার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর দমন করার বিষয়টি তুলে ধরে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন থামতে পারি না। অনেক নিরীহ তরুণ মারা গেছে। আমরা যদি চুপ করে থাকি, তাহলে এই নেতারা এবং তাদের সন্তানরা একই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থা চালিয়ে যাবে। এখন যেহেতু সরকার আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে তাদের কথা শোনার জন্য আমাদের মরতে হবে, তাহলে আমরা মরব। কিন্তু আমরা থামব না।
দায়ীদের জবাবদিহি করতে হবে এবং এই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।’