বিএনপির হুম্মাম ছাড়াও ৬ জন, জামায়াতের আমিরুজ্জামান – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৩ মার্চ, ২০২৫
     ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

আরও খবর

তারেকের দেশে ফেরার আগে লন্ডনে জামায়াত আমির: সমঝোতা নাকি গোপন ষড়যন্ত্রের ছক?

নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে জাপা, মনোনয়ন বিক্রি শুরু

বিজয় দিবসের দিন জামায়াত আমিরের অভিনব প্রতারণা

পাহাড়ে শিবিরের গোপন প্রশিক্ষণ নির্বাচন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ

ত্রিশ লক্ষ শহীদের পবিত্র রক্ত বিধৌত বাংলার সবুজ জমিন ফুঁড়ে উদিত হওয়া স্বাধীনতার রক্তলাল সূর্য খচিত আমাদের জাতিয় পতাকা।

ক্ষমতার লোভে ইতিহাস স্বীকারের ভান: জামায়াতের ‘ক্ষমা’ নয়, এটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা

দেশ আবার সারের জন্য ফেটে পড়ছে—এই হলো বিদেশিদের পোষ্য জামাতি ইউনুস সরকারের আসল চেহারা!

বিএনপির হুম্মাম ছাড়াও ৬ জন, জামায়াতের আমিরুজ্জামান

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৩ মার্চ, ২০২৫ | ৬:১০ 136 ভিউ
চট্টগ্রামের শস্যভান্ডারখ্যাত গুমাই বিল পড়েছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়। সবজি উৎপাদনেও রয়েছে এই উপজেলার খ্যাতি। লুসাই কন্যা কর্ণফুলী নদীর দুপাশের পাহাড় ও সমতল বিস্তৃত সবুজ জনপদ রাঙ্গুনিয়া। চট্টগ্রাম-৭ সংসদীয় আসনে রাঙ্গুনিয়ার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পাশের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরনদ্বীপ ইউনিয়নও। এ আসনের পরবর্তী সংসদ সদস্য প্রার্থী নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোয় শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনা-কল্পনা আর হিসাবনিকাশ। বিগত তিন মেয়াদে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে ভোটের দেখা পাননি ভোটাররা। প্রশ্নবিদ্ধ এসব নির্বাচনে একক আধিপত্য ছিল বর্তমানে বিদেশে পলাতক সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর সেই হিসাব এবার পালটে গেছে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ‘সাজানো মামলায়’ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর

ছেলে ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী এই আসন থেকে এবার নির্বাচনের জন্য কোমর বেঁধে নেমেছেন। তিনি ছাড়াও আরও অন্তত ৬ বিএনপি নেতা চান মনোনয়ন। আর জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে আছেন অধ্যক্ষ মাওলানা আমিরুজ্জামান। চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে একাধিকবার বিএনপির প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন। সেই আসন ফিরে পেতে এবার মাঠে বিএনপি। তবে বিএনপিতে বিভক্তি থাকায় ভোটের মাঠ এখনো চাঙা হয়নি। পতিত আওয়ামী লীগ মাঠছাড়া হওয়ার পর বিএনপির গ্রুপিং অনেকটা প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। এ আসনে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর প্রার্থী হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। পাশের উপজেলা রাউজানে বাড়ি হলেও হুম্মাম কাদের সম্প্রতি রাঙ্গুনিয়ার খামারবাড়িতে ইফতার মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত

দিয়েছেন। বিএনপি থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু আহমেদ হাসনাত, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য শওকত আলী নূর, অধ্যাপক আজম খাঁন ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এসএ মুরাদ চৌধুরী প্রার্থী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ আসনে জামায়াতে ইসলামী কোনো সময় বিজয়ী না হলেও পট পরিবর্তনের পর ভিন্নভাবে মাঠে আগাচ্ছে তারা। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তারা প্রকাশ্যে রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও এবার সাংগঠনিক সভা-সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে অবস্থান জানান দিচ্ছেন। সম্প্রতি ঘোষিত জামায়াতের প্রার্থী কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যক্ষ

মাওলানা আমিরুজ্জামান সাংগঠনিকভাবে প্রায় ইফতার মাহফিলে যোগ দিচ্ছেন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ-সদস্য মো. নুরুল আলম তালুকদারও এবার নিজের দল থেকে প্রার্থী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিগত সময়ে একতরফা বিতর্কিত নির্বাচনে তিনি ড. হাছান মাহমুদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট থেকে। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি নির্বাচন করেছিলেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামী ঐক্যজোটও প্রার্থী দেবে। বিএনপি থেকে ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে হেভিওয়েট নেতা প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রার্থী হন। প্রথম দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রয়াত সাদেক চৌধুরীকে হারিয়ে জয়ী হন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ড. হাছান মাহমুদ জয়ী হন।

২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে ভোটে অংশ নেয়নি বিএনপি। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন দৌড়ে থাকা বিএনপির প্রার্থীকে পেছনে ফেলে জোট শরিক এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল আলম ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন। ওই সময় প্রথমে মনোনয়ন দেওয়া হয় বিএনপির অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহারকে। একদিন পর পরিবর্তন করে দেওয়া হয় নুরুল আলমকে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও মনোনয়ন পেতে আশায় রয়েছেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। পাশাপাশি রাউজানের সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারও তৎপর এই আসনে অতীতের ধারাবাহিকতা রক্ষায়। তবে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী মনে করছেন, বিএনপির আসন পুনরুদ্ধারে ভোটের মাঠে ‘বহিরাগত’ আর ‘রাঙ্গুনিয়ার ছেলে’ ইস্যু না টেনে যার হাতেই ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হোক না কেন,

প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে একাট্টা হয়ে কাজ করা উচিত। জানতে চাইলে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, আমার বাবার স্বপ্ন ছিল রাঙ্গুনিয়াবাসীকে নিয়ে সারা জীবন তাদের পাশে থাকার। তাই আমারও ইচ্ছা, রাঙ্গুনিয়াবাসীর পাশে থেকে বাবার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা। ইনশাআল্লাহ দল যদি মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি রাঙ্গুনিয়া থেকেই নির্বাচনে লড়ব। আর দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার হয়েই কাজ করব। দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আশা করি, দল মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে সবকিছু বিবেচনা করবে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার বলেন, রাঙ্গুনিয়ার মানুষের সুখ-দুঃখে সব সময় পাশে ছিলাম। ভবিষ্যতেও থাকব। রাজনীতি করতে গিয়ে গত ১৬ বছর জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেছি।

তবুও দল ছেড়ে যাইনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর আবার নিয়ে নেয়। দলের নির্দেশনা মেনে প্রার্থী হইনি। আশা করছি, দল আমাকে এবার নিরাশ করবে না। জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আমিরুজ্জামান বলেন, দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। অবশ্যই আমি দলের মান রাখার চেষ্টা করব। আমি পেশাগত কারণে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জড়িত ছিলাম। আমার প্রচুর ছাত্র-শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে। প্রতিদিন ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, নির্বাচনে তারা আমাকে রায় দেবে। বিগত ৬টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ আসনে একক কোনো দলের আধিপত্য নেই। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে এমপি হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. ক্যাপ্টেন আবুল কাশেম। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা রাউজানের প্রয়াত ফজলুল কাদের চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির টিকিটে তার ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বিজয়ী হন। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জয়ী হন। ১৯৯১ সালে জয়ী হন ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা প্রয়াত মোহাম্মদ ইউসুফ। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিজয়ী হন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ নুরুল আলম। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন জয়ী হন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। ২০০১ সালেও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী জয়ী হন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতা ড. হাছান মাহমুদ জয়ী হন। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হাছান মাহমুদ নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনেও হাছান মাহমুদ এমপি নির্বাচিত হন। সবশেষ ২০২৪ সালের ‘ডামি’ নির্বাচনেও হাছান মাহমুদ চতুর্থবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নয়া বন্দোবস্তের বাংলাদেশে জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে জামাতময় বিজয় উৎসব! তারেকের দেশে ফেরার আগে লন্ডনে জামায়াত আমির: সমঝোতা নাকি গোপন ষড়যন্ত্রের ছক? ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ধ্বংসের মুখে, ইউনূস শাসনে অর্থনীতি ধ্বস! শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইসিটির রায় ‘আইনগতভাবে অবৈধ’: মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন বিদেশি বীরপ্রতীকের গল্প Bangladesh’s Export Downturn: Four Months of Decline সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের লুটপাট : জুলাইয়ের খুনিদের আসল চেহারা বিজয় দিবসে বীর বাঙালীর কণ্ঠরোধ,স্বাধীনতার বিজয় আজ হুমকির মুখে *শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জামাত নেতাদের হীন উদ্দেশপ্রণোদিত ঘৃণ্য মন্তব্যের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি* রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে তদন্ত অব্যাহত হাজারীবাগে এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমির মরদেহ উদ্ধার চিকেন’স নেক’ সুরক্ষায় মিজোরামে চতুর্থ সেনাঘাঁটির ভাবনা ১৯ ডিসেম্বর সীমান্তবর্তী পারভা ও সিলসুরি পরিদর্শনে ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি-ইন-সি বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা হুমকি: সাম্প্রতিক ঘটনা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বিজয়ের দিনে মামলা ছাড়াই যুবলীগ নেতা গ্রেফতার জুড়ীতে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্রিটিশ সংসদে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা অবাধ নির্বাচন ও সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার: মুক্তির আহ্বান অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ‘দেখামাত্র গ্রেপ্তার’ নির্দেশ: ইউনুস সরকারের নগ্ন ফ্যাসিবাদ পদত্যাগের পর রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগের ঘটনায় চাপের মুখে প্রশাসন, ব্যাখ্যা নেই দুই সাবেক উপদেষ্টার ! ‘ভ্যালুলেস সোনাদিয়া-সেন্টমার্টিনের গুরুত্ব বাড়িয়েছে মালাক্কা প্রণালী’ চৌধুরী মুজাহিদুল হক সৌরভ মায়ের বয়সী নারীকে ধানমন্ডি ৩২ এর রাস্তায় হে/নঃস্তা করা এনসিপি নেত্রী রুমির ঝু/ল/ন্ত ম/র/দেঃহ উদ্ধার: ফেনী সদর: শর্শদি বাজার শাখায় গ্রামীণ ব্যাংকে অগ্নিসংযোগ, তিন মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই