ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ফেনীতে চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতি, আটক যুবদল নেতা কারাগারে
কারাগারে চিকিৎসা না পেয়ে আরও এক বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
ফেনীতে চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতি, আটক যুবদল নেতা কারাগারে
মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ অফিস পুড়িয়ে দিলো জামায়াত বিএনপি
নোয়াখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবদল ক্যাডার চান মিয়া অস্ত্রসহ গ্রেফতার
ইউনূস সরকারের সমালোচনা করে ফেসবুকে রিল: গ্রেফতার ১৯ বছরের ছাত্রলীগ সদস্য ফাইজা
সিরাজগঞ্জ কারাগারে ৮৩ বছর বয়স্ক এনায়েতপুর থানা আ.লীগ সভাপতি বাচ্চুর মৃত্যু; পরিবারের অভিযোগ ‘পরিকল্পিত হত্যা’
বাগেরহাটে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড: হাত-পা বাঁধা অবস্থায় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার, তীব্র উত্তেজনা
বাগেরহাট সদর উপজেলায় নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। আজ সকালে মুনিগঞ্জ সেতুর (Munigunj Bridge) নিচ থেকে হাত-পা দড়ি দিয়ে শক্তভাবে বাঁধা অবস্থায় প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ইব্রাহীম ভাই (৬৫)-এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দাবি করেছে, এটি পূর্বপরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।
নিহত ইব্রাহীম ভাই বাগেরহাট সদর উপজেলার নোনাডাংগা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে পরিচিত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে মুনিগঞ্জ ব্রীজের নিচে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি পা বাঁধা অবস্থায় একটি মৃতদেহ দেখতে পেয়ে সদর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে বাগেরহাট সদর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে
পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা নেতা ইব্রাহীম প্রথমে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং সেখানে নির্যাতন চালানোর পর শ্বাসরোধ বা আঘাতের মাধ্যমে হত্যা করে মরদেহটি সেতুর নিচে ফেলে দেয়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার আগে তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল বলে পুলিশ ধারণা করছে। 'আওয়ামী লীগ কর্মীদের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই' এই নৃশংস ঘটনার পর পুরো বাগেরহাট জেলায় তীব্র উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডকে সরাসরি রাজনৈতিক সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে বিরোধী পক্ষকে দায়ী করেছেন। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়:
"ইব্রাহীম ভাই ছিলেন দলের একজন পরীক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা। তাঁকে যে কায়দায় হত্যা করা হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট যে এর পেছনে রয়েছে গভীর চক্রান্ত। আমরা আজ অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলছি—এই দেশে আওয়ামী লীগ কর্মীদের আজকে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নাই। যারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে এভাবে পা বাঁধা অবস্থায় মারা যান, তাদের জীবনের মূল্য কি নেই?" বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই হত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) সাংবাদিকদের জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তিনি নিশ্চিত করেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং হত্যারহস্য উন্মোচনে এরই মধ্যে তদন্ত
শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, "আমরা সকল দিক খতিয়ে দেখছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।" বাগেরহাট থেকে এই বার্তা, মনে রেখো বাংলাদেশ: একজন প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মীর পা বাঁধা মরদেহ আজ দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে এক কঠিন প্রশ্নচিহ্ন রেখে গেল।
পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা নেতা ইব্রাহীম প্রথমে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং সেখানে নির্যাতন চালানোর পর শ্বাসরোধ বা আঘাতের মাধ্যমে হত্যা করে মরদেহটি সেতুর নিচে ফেলে দেয়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার আগে তাকে নির্যাতন করা হয়েছিল বলে পুলিশ ধারণা করছে। 'আওয়ামী লীগ কর্মীদের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই' এই নৃশংস ঘটনার পর পুরো বাগেরহাট জেলায় তীব্র উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই হত্যাকাণ্ডকে সরাসরি রাজনৈতিক সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে বিরোধী পক্ষকে দায়ী করেছেন। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়:
"ইব্রাহীম ভাই ছিলেন দলের একজন পরীক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা। তাঁকে যে কায়দায় হত্যা করা হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট যে এর পেছনে রয়েছে গভীর চক্রান্ত। আমরা আজ অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলছি—এই দেশে আওয়ামী লীগ কর্মীদের আজকে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নাই। যারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে এভাবে পা বাঁধা অবস্থায় মারা যান, তাদের জীবনের মূল্য কি নেই?" বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই হত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) সাংবাদিকদের জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তিনি নিশ্চিত করেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং হত্যারহস্য উন্মোচনে এরই মধ্যে তদন্ত
শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, "আমরা সকল দিক খতিয়ে দেখছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।" বাগেরহাট থেকে এই বার্তা, মনে রেখো বাংলাদেশ: একজন প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মীর পা বাঁধা মরদেহ আজ দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে এক কঠিন প্রশ্নচিহ্ন রেখে গেল।



