
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে চাকসুর ফল

৪৭তম বিসিএসের প্রিলি আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

একাদশে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর

গোলাম রাব্বানীর ভর্তি বাতিল, অবৈধ হচ্ছে ডাকসুর জিএস পদও
পোষ্য কোটা পুর্নবহালের প্রতিবাদে টানা বৃষ্টিতেও আমরণ অনশন, অসুস্থ দুই শিক্ষার্থী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেছেন একদল শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলেও অনড় থাকেন তারা। টানা বৃষ্টিতে ১ টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই শিক্ষার্থী।
এর আগে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মাথায় ও শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে বসেন এক শিক্ষার্থী। পরে তাদের সঙ্গে সংহতি জানান আরও কয়েকজন।
অসুস্থ দুই শিক্ষার্থী হলেন- আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী রমজানুল মোবারক, সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সাঈদ ইস্পাহানী। তারা দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের
চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পরে তাদের সঙ্গে রাত ১২টার দিকে কথা বলতে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান। কিন্ত তারা কর্মসূচির বিষয়ে অনড় থাকেন। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব দেখা করতে এসে কোনো আশ্বাস দেননি। এতে তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝুম বৃষ্টি শুরু হলেও তারা অনড় থাকেন। পরে বৃষ্টিতে ভিজে তাদের দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনশনরত শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে লড়াই করে যাব। আমাদের জীবন থাকতে আমরা পোষ্য কোটা মেনে নেব না।’ আরেক শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান
খান বলেন, ‘পোষ্যকোটা একটি মীমাংসিত ইস্যু এটা নিয়ে আমাদের আবারও অনশনে বসতে হয়েছে। আমরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাই।’ এ ব্যাপারে ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক মুঠোফোনে বলেন, ‘অনশনরত দুই শিক্ষার্থী বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ পড়েছে। তাদেরকে মেডিকেলে নিয়ে এসেছি। দুইজনের ঠান্ডা-জ্বর লেগে গেছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের একজনকে আবাসিক হলে এবং আরেকজনকে মেসে দিতে যাচ্ছি।’ পোষ্যাকোটার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘পোষ্যকোটার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিটও চলমান রয়েছে। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’ এর আগে, গত বৃহস্পতিবার প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১০টি শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্যের দায়িত্বে নিযুক্ত সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনের সভাপতিত্বে সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই সিদ্ধান্তের আগাম খবর জানতে পেরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। পরে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা নামাজের পরও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা একটা মীমাংসিত ইস্যু। এটি অন্যায্য ও অযৌক্তিক
একটি কোটা। এটিকে নামে-বেনামে ফিরিয়ে আনা চলবে না। তারা প্রয়োজনে রক্ত দেবেন, তবু ক্যাম্পাসে পোষ্য কোটা ফিরতে দেবেন না। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ক্যাম্পাসে যখন রাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে, সেই সময়ে এসে নির্বাচন বানচাল করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র কখনো বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।
চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। পরে তাদের সঙ্গে রাত ১২টার দিকে কথা বলতে আসেন প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান। কিন্ত তারা কর্মসূচির বিষয়ে অনড় থাকেন। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব দেখা করতে এসে কোনো আশ্বাস দেননি। এতে তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝুম বৃষ্টি শুরু হলেও তারা অনড় থাকেন। পরে বৃষ্টিতে ভিজে তাদের দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনশনরত শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে লড়াই করে যাব। আমাদের জীবন থাকতে আমরা পোষ্য কোটা মেনে নেব না।’ আরেক শিক্ষার্থী সজিবুর রহমান
খান বলেন, ‘পোষ্যকোটা একটি মীমাংসিত ইস্যু এটা নিয়ে আমাদের আবারও অনশনে বসতে হয়েছে। আমরা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাই।’ এ ব্যাপারে ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক মুঠোফোনে বলেন, ‘অনশনরত দুই শিক্ষার্থী বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ পড়েছে। তাদেরকে মেডিকেলে নিয়ে এসেছি। দুইজনের ঠান্ডা-জ্বর লেগে গেছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের একজনকে আবাসিক হলে এবং আরেকজনকে মেসে দিতে যাচ্ছি।’ পোষ্যাকোটার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘পোষ্যকোটার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিটও চলমান রয়েছে। আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।’ এর আগে, গত বৃহস্পতিবার প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক-
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১০টি শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্যের দায়িত্বে নিযুক্ত সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনের সভাপতিত্বে সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ভর্তি উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই সিদ্ধান্তের আগাম খবর জানতে পেরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। পরে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা নামাজের পরও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা একটা মীমাংসিত ইস্যু। এটি অন্যায্য ও অযৌক্তিক
একটি কোটা। এটিকে নামে-বেনামে ফিরিয়ে আনা চলবে না। তারা প্রয়োজনে রক্ত দেবেন, তবু ক্যাম্পাসে পোষ্য কোটা ফিরতে দেবেন না। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ক্যাম্পাসে যখন রাকসু নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে, সেই সময়ে এসে নির্বাচন বানচাল করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র কখনো বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।