ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
স্বর্ণের দামে বড় লাফ, রোববার থেকে কার্যকর
৪০ টাকার পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি!
বৈশ্বিকভাবে নেতিবাচক পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাত
বিশ্ববাজারে ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, নতুন রেকর্ড রুপায়
১০ মণ ওজনের শাপলাপাতা মাছ, ১ লাখ ৩১ হাজারে বিক্রি
স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, শুক্রবার থেকে কার্যকর
বাজারের অবিক্রীত মোবাইল ফোন নিয়ে বিশেষ বার্তা বিটিআরসির
পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ, ইউনুস সরকার নিখোঁজ
পাবনার সাঁথিয়ার কৃষক ৬০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। সেই একই পেঁয়াজ ঢাকায় গিয়ে ১২০ টাকা। মাঝখানে দ্বিগুণ দাম বাড়ছে, কিন্তু এক পয়সাও যাচ্ছে না যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলিয়েছে তার পকেটে। মুহাম্মদ ইউনুসের তথাকথিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী করছে এই অবস্থায়? কিছুই না। একেবারে কিছুই না।
বাজার নিয়ন্ত্রণ বলে যে একটা জিনিস থাকে, সেটা নিয়ে এই সরকারের মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। জুলাই মাসে যে তাণ্ডব চালিয়ে, যে রক্তপাত ঘটিয়ে, যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ক্ষমতায় বসেছেন ইউনুস এবং তার দল, তাদের কাছে এসব সাধারণ মানুষের সমস্যা কোনো ব্যাপারই না। দরিদ্র মানুষ কী দামে পেঁয়াজ কিনছে, কৃষক কতটা
ঠকছে, এসব তাদের চিন্তার বাইরে। করমজা চতুরহাটের বাজারে যা ঘটছে, সেটা শুধু পেঁয়াজের সমস্যা না। এটা পুরো অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণহীনতার চিত্র। কৃষক থেকে পাইকারের হাতে যাচ্ছে ১৫-২০ টাকা বাড়তি। পাইকার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে আরও ১০-২০ টাকা। তারপর ঢাকায় এসে আরও ২০-৩০ টাকা। প্রতিটা স্তরে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভ করছে, আর শেষ পর্যন্ত ভোগান্তি হচ্ছে দুই পক্ষের: যে উৎপাদন করছে আর যে ভোক্তা হিসেবে কিনছে। আগের সরকারকে নিয়ে যত সমালোচনাই থাকুক, বাজার ব্যবস্থাপনায় একটা নজরদারি ছিল। টিসিবির মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা থাকত। দাম বেশি বাড়লে আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হতো, কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হতো। কিন্তু এখন? এখন দেশে যেন কোনো সরকারই নেই।
ইউনুস সাহেব আর তার উপদেষ্টারা বসে আছেন সংস্কারের নামে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে, আর বাজারে চলছে যার যা ইচ্ছা তাই। আমদানির খবরে দাম কমেছে ২০ টাকা। মানে সরকার যদি সময়মতো সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে এই দামটা আগেই নামানো যেত। কিন্তু সেজন্য তো দক্ষতা লাগে, বাজার বোঝার ক্ষমতা লাগে, মানুষের কষ্টের ব্যাপারে একটু সংবেদনশীলতা লাগে। ইউনুসের সরকারে সেসব কিছুই নেই। আছে শুধু মাইক্রোক্রেডিটের অভিজ্ঞতা, যেটা দিয়ে গরিব মানুষকে কীভাবে সুদের জালে আটকে রাখা যায় সেটা শেখানো হয়, কিন্তু কীভাবে একটা দেশ চালাতে হয় সেটা না। সাঁথিয়ার কৃষক সুমিত মন্ডল বলছেন, কয়েক বছর লাভ না হওয়ায় পেঁয়াজ আবাদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছিলেন। এবার শুরুতে ভালো
দাম পেয়েছেন, কিন্তু এখন আবার দাম কমছে আমদানির কারণে। মানে কৃষক কখনোই নিশ্চিত না যে তার উৎপাদিত ফসলের দাম কী হবে। এই অনিশ্চয়তা দূর করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু যে সরকারের নিজের অস্তিত্বই অবৈধ, সে সরকার কৃষকের স্বার্থ দেখবে কেন? পুরোনো দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। এটা কোনো স্বাভাবিক বাজার পরিস্থিতি না। এটা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণহীন বাজারের চিত্র। মজুতদাররা যা খুশি দাম হাঁকছে, সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, আর সরকার নামের যে প্রতিষ্ঠানটা এসব নিয়ন্ত্রণ করার কথা, সেটা একেবারে নিষ্ক্রিয়। যে সরকার রাস্তায় সহিংসতা আর রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, যাদের পেছনে রয়েছে বিদেশি শক্তির সমর্থন আর মদদ, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পাশ
কাটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে, তাদের কাছে সাধারণ মানুষের পেঁয়াজের দাম নিয়ে মাথাব্যথা থাকার কথা না। তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কীভাবে যতদিন সম্ভব ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়, কীভাবে বিদেশি প্রভুদের খুশি রাখা যায়, কীভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা যায়। দেশের অর্থনীতি এখন ভাসছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নেই। ডলারের দাম বাড়ছে। রিজার্ভ কমছে। আর এর মধ্যে পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হচ্ছে আকাশচুম্বী। সরকার কিছু করছে না, কারণ তাদের সেই সক্ষমতা নেই, সেই ইচ্ছা নেই, সেই বৈধতাও নেই।
ঠকছে, এসব তাদের চিন্তার বাইরে। করমজা চতুরহাটের বাজারে যা ঘটছে, সেটা শুধু পেঁয়াজের সমস্যা না। এটা পুরো অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণহীনতার চিত্র। কৃষক থেকে পাইকারের হাতে যাচ্ছে ১৫-২০ টাকা বাড়তি। পাইকার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে আরও ১০-২০ টাকা। তারপর ঢাকায় এসে আরও ২০-৩০ টাকা। প্রতিটা স্তরে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভ করছে, আর শেষ পর্যন্ত ভোগান্তি হচ্ছে দুই পক্ষের: যে উৎপাদন করছে আর যে ভোক্তা হিসেবে কিনছে। আগের সরকারকে নিয়ে যত সমালোচনাই থাকুক, বাজার ব্যবস্থাপনায় একটা নজরদারি ছিল। টিসিবির মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা থাকত। দাম বেশি বাড়লে আমদানির ব্যবস্থা নেওয়া হতো, কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হতো। কিন্তু এখন? এখন দেশে যেন কোনো সরকারই নেই।
ইউনুস সাহেব আর তার উপদেষ্টারা বসে আছেন সংস্কারের নামে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে, আর বাজারে চলছে যার যা ইচ্ছা তাই। আমদানির খবরে দাম কমেছে ২০ টাকা। মানে সরকার যদি সময়মতো সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে এই দামটা আগেই নামানো যেত। কিন্তু সেজন্য তো দক্ষতা লাগে, বাজার বোঝার ক্ষমতা লাগে, মানুষের কষ্টের ব্যাপারে একটু সংবেদনশীলতা লাগে। ইউনুসের সরকারে সেসব কিছুই নেই। আছে শুধু মাইক্রোক্রেডিটের অভিজ্ঞতা, যেটা দিয়ে গরিব মানুষকে কীভাবে সুদের জালে আটকে রাখা যায় সেটা শেখানো হয়, কিন্তু কীভাবে একটা দেশ চালাতে হয় সেটা না। সাঁথিয়ার কৃষক সুমিত মন্ডল বলছেন, কয়েক বছর লাভ না হওয়ায় পেঁয়াজ আবাদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছিলেন। এবার শুরুতে ভালো
দাম পেয়েছেন, কিন্তু এখন আবার দাম কমছে আমদানির কারণে। মানে কৃষক কখনোই নিশ্চিত না যে তার উৎপাদিত ফসলের দাম কী হবে। এই অনিশ্চয়তা দূর করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু যে সরকারের নিজের অস্তিত্বই অবৈধ, সে সরকার কৃষকের স্বার্থ দেখবে কেন? পুরোনো দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। এটা কোনো স্বাভাবিক বাজার পরিস্থিতি না। এটা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণহীন বাজারের চিত্র। মজুতদাররা যা খুশি দাম হাঁকছে, সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, আর সরকার নামের যে প্রতিষ্ঠানটা এসব নিয়ন্ত্রণ করার কথা, সেটা একেবারে নিষ্ক্রিয়। যে সরকার রাস্তায় সহিংসতা আর রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, যাদের পেছনে রয়েছে বিদেশি শক্তির সমর্থন আর মদদ, যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পাশ
কাটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে, তাদের কাছে সাধারণ মানুষের পেঁয়াজের দাম নিয়ে মাথাব্যথা থাকার কথা না। তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কীভাবে যতদিন সম্ভব ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়, কীভাবে বিদেশি প্রভুদের খুশি রাখা যায়, কীভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা যায়। দেশের অর্থনীতি এখন ভাসছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নেই। ডলারের দাম বাড়ছে। রিজার্ভ কমছে। আর এর মধ্যে পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হচ্ছে আকাশচুম্বী। সরকার কিছু করছে না, কারণ তাদের সেই সক্ষমতা নেই, সেই ইচ্ছা নেই, সেই বৈধতাও নেই।



